জাতীয়

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে গণমাধ্যমের কাছে ঐক্যফ্রন্টের সহযোগিতা কামনা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাব হতে পারে সে জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ শুক্রবার গুলশানের লেকশোর হোটেলে আয়োজিত ‘সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময়’ অনুষ্ঠানে ফ্রন্টের নেতারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মতবিনিময় শেষে ফ্রন্টের অন্যতম নেতা ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনটা থেকে আমরা তিন ঘণ্টা সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। মূল্যবান হয়েছে। কেননা, তারা বিভিন্ন ব্যাপারে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমাদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।’

কামাল হোসেন জানান, তারা মনে করেন— আমাদের এবার যেগুলো থেকে বিরত থাকতে হয়, সবাইকে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করতে হয়, যে জনগণ সত্যিকার অর্থে নির্ভয়ে স্বাধীনভাবে যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এবং নির্বাচন যেন সত্যিকার অর্থে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। যেটা আমাদের জন্য সত্যিকার অর্থে মূল্যবান মনে করি এবং আমাদের সেই চেষ্টা থাকবে। সরকারের যেসব জিনিস আমরা চিহ্নিত করেছি, আশা করবো সংবাদপত্র এ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবে।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব ও ফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা সহযোগিতা দরকার, সবই চেয়েছি।’

মতবিনিময় শেষে গণফোরামের নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, ‘নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছি আমরা। তারা যেন লেখালেখি করে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেন, সে জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় যেতে পারলে কী কী করবে, এমন প্রশ্নে আমরা বলেছি, ১১ দফা দিয়েছি। সেটা বাস্তবায়ন করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন যেন হয়, তারা কীভাবে সাহায্য করবেন, তা আলোচনা করেছি।’

এর আগে বিকাল তিনটায় শুরু হয় মতবিনিময় অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নুরুল কবীর, আমাদের নতুন সময় সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, ভোয়া’র (ভয়েজ অব আমেরিকা) প্রতিনিধি আমীর খসরু, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তুজা, ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মুন্সি আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশের খবরের উপদেষ্টা সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন, এএফপির ব্যুরো প্রধান শফিকুল আলম, রয়টার্সের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম কাদিরসহ সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদক মিলিয়ে প্রায় ৩০-৩৫ জন সিনিয়র সাংবাদিক।

Back to top button