নানিয়াচর গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকসভা ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
১৭ই নভেম্বর ১৯৯৩ সালের নানিয়াচর গণহত্যায় নিহতের স্মরণে আজ বিকেল বিকেল ৫ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে চবি পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ এস. আলম কটেজ দপ্তর প্রাঙ্গনে এক শোকসভা ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২নং শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক তরুন বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায়, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ- সভাপতি প্লেটো খীসার সভাপতিত্বে শোকসভার শুরুতে গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এরপর নানিয়াচর গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে শোকসভায় বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ম্যাকলিন চাকমা,পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক তথ্য প্রচার সম্পাদক অলি চাকমা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক সুমেধ চাকমা প্রমুখ।
শোকসভায় বক্তরা বলেন,১৯৯৩ সালের এইদিনে রাঙামাটি জেলার নানিয়াচরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনী ও সেটলার বাঙালিরা নিরীহ জুম্মদের উপর নির্বিচার হামলা চালিয়ে ৩০ জনের অধিক জুম্মকে নির্মমভাবে হত্যা ও বহু লোককে আহত করে এবং ৩০ টির অধিক ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বুক থেকে জুম্মদের অস্তিত্বকে চিরতরে ধ্বংস করতে শাসকগোষ্ঠীর নীল নকশার অংশ হিসেবে এ হত্যাকান্ড চালানো হয় বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।
বক্তারা বলেন, নানিয়াচরের গণহত্যার মত পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সেটলার বাঙালিরা আরও অনেক হত্যাকান্ড চালিয়েছে।কিন্তু এ গণহত্যার বিচার এখনও জুম্ম জণগন পাইনি।তাই এ ধরণের হত্যাকান্ড প্রতিহত করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে সামিল হয়ে জুম্ম জাতির অস্তিত্ব লড়াই সংগ্রামে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য বক্তারা আহ্বান জানান।
শোকসভা শেষে ১৭ই নভেম্বর ১৯৯৩ সালে নানিয়াচর গণহত্যায় নিহত জুম্মদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।