নাচোলে এক আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করেছে ভূমিদস্যুরা
চাপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ভূমিদস্যু কতৃক পিটিয়ে অাহত এক আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা অামিন হেমব্রম(৭০) সহ অাহত পরিবারের অন্য ৩ সদস্য কে গত ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ সরেজমিন পরিদর্শন করেন জাতীয় অাদিবাসী পরিষদের প্রতিনিধিগণ।
এ সময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন নাচোল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সভাপতি মতিউর রহমান, জাতীয় অাদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন,সাধারণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুন্ডা,দপ্তর সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, কোষ্যাধ্যক সুধির তির্কী, রাজশাহী মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অান্দ্রিয়াস বিশ্বাস, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারন সম্পাদক টুনু পাহান, নাচোল উপজেলার সভাপতি বিধান সিং, অাদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নকুল পাহান, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক দিলীপ পাহান,কেন্দ্রীয় সদস্য অনিল গজার প্রমূখ।
প্রতিনিধিগণ অাহত অাদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা সহ পরিবারের সদস্য দের নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে দেখতে যান অত:পর নাচোল উপজেলার পুলিশ অফিসার এর সাথে সাক্ষাৎ করেন ও ঘটনার সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন এবং পুলিশ অফিসার অাশ্বাস দেন যে, অাসামী কে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অবশেষে প্রতিনিধিগণ ঘটনাস্থল অাহত অাদিবাসী মুক্তিযোদ্ধার গ্রামের বাড়ি রুদ্রকুন্ড তে যান এবং যে ৬ বিঘা জমি নিয়ে সমস্যা তা পরিদর্শন করেন ও অাহত পরিবার সহ গ্রামের লোকজন কে নিয়ে বৈঠক করেন।
উল্লেখ্য,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জমি-সংক্রন্ত বিরোধের জেরে গত ২৮ নভেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার সকালে এক আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধাসহ পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে অাহত করেছে একই গ্রামের ভূমিদস্যু ইয়াসিন আলির ছেলে তোফাজ্জল হক (৪৫) ও তাজেমুল হক (৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের রুদ্রকুন্ড গ্রামে। আহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত ম-ল হেমব্রমের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আমিন হেমব্রম (৭০), ঈশ্বর হেমব্রম (৬৫), পঞ্চ হেমব্রম (৬০) ও সনতি হেমব্রম (৪০)। আহতরা বর্তমানে নাচোল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা আমিন হেমব্রম বলেন, ‘রুদ্রকুন্ড মৌজার প্রায় ৬ বিঘা জমি নিয়ে একই গ্রামের ইয়াসিন আলির ছেলে তোফাজ্জল হক (৪৫) ও তাজেমুল হকের (৩৫) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামলা চলে আসছিল। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালত থেকে আমাদের অনুকূলে রায় হওয়ায় মঙ্গলবার ভোর ৬টায় জমিতে ধান কাটতে গেলে তোফাজ্জলের লাঠিয়াল বাহিনী ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমিসহ আরো ৩ জন আহত হই।এ বিষয়ে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।