অন্যান্য

ধর্ষক ফেসবুকে সক্রিয়ঃ পুলিশ খুঁজে পাচ্ছেনা

রাঙামাটি থেকে এক তরুণীকে অপহরণের পর দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের মামলার প্রধান আসামি নুরুল আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সক্রিয় থাকলেও তাকে পুলিশ খুঁজে পাচ্ছেনা। ধর্ষক নিজের নাম বদলে সে মোহাম্মদ জাহিদুল আলম নাম দিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছে। আসামি নিজের অপরাধ ঢাকতে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও দলীয় প্রতীক নৌকাও তার স্ট্যাটাসে ব্যবহার করছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার এবং মানবাধিকার সংস্থা এই অভিযোগ করেছে।

এ ব্যাপারে তিন পার্বত্য জেলার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক টুকু তালুদার গণমাধ্যমকে জানান, ‘মূল আসামি তার ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছে। মোবাইল নম্বরও সচল আছে। পুলিশ চেষ্টা করলেই মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাকে ধরতে পারে। কিন্তু,পুলিশ কেন তাকে ধরার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে না সেটা বুঝতে পারছি না।’

জানা যায়, গত ১০ মে মামলা হওয়ার পর থেকে সে আত্মগোপনে আছে। কিন্তু অজ্ঞাত স্থান থেকেই ওই ভুয়া আইডিতে ১৪ মে রাত ১০টা ৮মিনিটে সে একটি ছবি অপলোড করে। ১৭ মে সকাল ৮টা ১২ মিনিটে আরও একটি ছবি আপলোড করে। এর আগে ২ মে সকাল ৬টা ৫২ মিনিটে মেয়েটিকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় ‘এতদিন আমি মনে করেছিলাম মেয়েটার ফ্যামিলি নিরীহ। মেয়েটা ঘরে যাওয়ার জন্য চলনার (ছলনার) আশ্রয় নিয়েছে তাই চুপ করে ছিলাম। ও এটার সুযোগ নিলো।’ সর্বশেষ ২৪ মে সকাল ১০টায় আবার প্রোফাইলের ছবিটি পরিবর্তন করে।

কাউখালী থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সুজন বলেন, ‘আমরা ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বরটি গতকাল থেকে বন্ধ পাচ্ছি। জেলা পুলিশ সুপারের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তার মোবাইল নম্বরটি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে বিস্তারিত জানানোর পর আমরা কাজে নামতে পারবো।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ বিকালে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উপজেলার ঘাগড়া-কাউখালী সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময় আদিবাসী এক তরুণীকে অপহরণ করা হয়। আর গত ৪ মে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে গত ১০ মে রাতে তরুণীর বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৩নং ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল আলমের (৩০) বিরুদ্ধে মামলা করেন।

Back to top button