দেশ মুক্ত করতে ভোট দিতে বলেছেন খালেদা: রিজভী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে সাধারণ ভোটার, ধানের শীষের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী দুঃশাসন বিরোধী বার্তা দিয়েছেন জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়া ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন- রোববার (৩০ ডিসেম্বর) আপনাদের সুযোগ আসবে স্বৈরশাসকদের হাত থেকে মুক্তি লাভের। দেশ মুক্ত করার। সকল হুমকি-ধমকি ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আপনাদের এক একটি ভোট নিশ্চিত করতে পারে জনগণের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ভোটার, দলীয় নেতাকর্মী ও এজেন্টদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ফজরের নামাজ পড়েই ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন। ভোট শুরুর আগে ব্যালট বক্স পরীক্ষা করবেন। ভোট দিয়ে কেন্দ্রের আশপাশে থাকবেন। আপনারা শুধু সাধারণ ভোটারই নন, ভোটারদের অতন্দ্র প্রহরী। ভোটগ্রহণ শেষে ভোটগণনা করে কে কতো ভোট পেলেন, তা নিশ্চিত না হয়ে সাদা কাগজে সই করবেন না। কোনো অবস্থাতেই প্রিজাইডিং অফিসারের সই ছাড়া সই করবেন না। ফলাফল নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যাবেন। এছাড়া শনিবার বিকেল থেকেই পালাক্রমে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবেন।
তিনি বলেন, রোববারের নির্বাচন নিয়ে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী নানা কায়দা-কানুন ও পরিকল্পনা করছে। তারা ময়ূরের সিংহাসন থেকে ছিটকে পড়ার ভয়ে এই কয়েকদিন রক্তাক্ত হামলায় সারাদেশকে আতঙ্কের জনপদে পরিণত করেছে। বিএনপির মিছিল ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালানোসহ সহিংস আক্রমণে তাদের রক্ত ঝরাচ্ছে। আগের রাতে ব্যালটে নৌকা মার্কায় সিল মেরে রাখার পরিকল্পনাসহ নানামুখী নীলনকশা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ থাকলেও আওয়ামী ক্যাডাররা বিভিন্ন আসনে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা ও গ্রেফতারের হিড়িকের ধারাবাহিকতায় গত ০১ সেপ্টেম্বর থেকে এর মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে চরমে। তফসিল ঘোষণার পর মামলা-হামলা-গ্রেফতারের স্পিড লিমিট নেই। যেনো এই নির্বাচনের চূড়ান্তক্ষণে সারা বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি করেছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।
রিজভী বলেন, গত ১০ বছর ইতিহাস লেখলে দেখা যাবে শুধু আতঙ্ক, ভয়, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, সহিংসতা, রক্তপাত আর বিরোধী দলসহ ভিন্ন মত ও বিশ্বাসের ব্যক্তিদের দমনের দশক। গণতন্ত্রের অস্থিমজ্জাকে নিংড়িয়ে নিয়ে গোরস্থানে পাঠানোর দশক। আর বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ফাঁসির মঞ্চে তোলার দশক।