আঞ্চলিক সংবাদ

দিনাজপুরে আদিবাসী জমি দখলের চক্রান্তের অভিযোগ

ভূমি অফিসের কর্মকতার সহযোগিতায় একদল জালিয়াতি চক্র দিনাজপুরের করনাই এলাকায় তার ১১ একর জমি ষড়যন্ত্র করে জবরদখলের চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন জিতেন হাঁসদা । রবিবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সন্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সন্মেলনে জিতেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমল হালকো।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দিনাজপুর সদরের করনাই এলাকার বাসিন্দা মো. আফসার আলী, মো. গুদর আলী, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মানারুল ইসলাম ও মো. সাইদুল ইসলাম গং দলিল জাল করে করনাই মৌজায় আদিবাসী জিতেনের ১১ একর জমি জবরদখল করার চেষ্টা করছে।
ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে জাল দলিল তৈরি করা হয়। ২০১৬ সালে মিস ক্যাস ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তৎকালীন এসিল্যান্ড অফিসার গোলাম রাব্বানী জালিয়াতি চক্রের পক্ষে রায় দিয়ে আইনী জটিলতা তৈরি করে বলেও জানানো হয়।
অফিসার গোলাম রাব্বানি(বর্তমানে অন্যত্র বদলি) ও কানুনগো মো. সাইফুল ইসলাম ১০ লাখ ঘুষ নিয়ে (১০)১৫/২০১৬-১৭ একটি মিস ক্যাসের উদ্ভব ঘটায়। মিস ক্যাসে এসিল্যান্ড ৭৭ ও ২৮১ নং ভুয়া দলিল দেখিয়ে জালিয়াতি চক্রের পক্ষে রায় দেয়া হয়। যেখানে ১৯৫৬ সালের উল্লেখ করা হয়েছে। এই ভুয়া দলিলের ভিত্তিতে জালিয়াতি চক্র জমির ভুয়া মালিক সেজেছে।
সদরের করনাই মৌজার ৪৯৩ নং খতিয়ানের ২৪২৪ দাগের ১৪ একর জমির রেকর্ড ছিলো নারায়ণ মাঝির পুত্র বড়কা মাঝির নামে। ওয়ারিশানা হিসেবে পৈত্রিক সূত্রে এই জমির প্রকৃত মালিক মৃত রোমান হাঁসদার ছেলে জিতেন হাঁসদা ও তার ওয়ারিশগন। ভুয়া দলিলের জোরে বর্তমানে সংঘবদ্ধ জালিয়াতি চক্রটি ১৪ একরের মধ্যে ১১ একর জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়।
সংবাদ সন্মেলনে জিতেন হাঁসদা জানান এ বিষয়ে তিনি দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অফিসে ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। তিনি ভূমি দখলের সাথে জড়িত চক্র ও ভূমি অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানান। সংবাদ সন্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, যোশাই, সোহেল ও প্রিজেল টুডু প্রমূখ।

Back to top button