শিল্প ও সংস্কৃতি

ত্রিপিটকের বাংলা ভাষার মোড়ক উম্মোচন

রাঙামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মগ্রস্থ ত্রিপিটকের বাংলা ভাষার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। রাজবন বিহারে ত্রিপিটকের বাংলা ভাষার মোড়ক উম্মোচন করেন চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন ও ধর্মগুরু শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।

রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আফসার আহম্মেদ, পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. দীলিপ কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান জীনবদি মহাস্থবির, সহযোগী অধ্যাপক জ্ঞানরত্ন মহাস্থবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মধু মঙ্গল চাকমা।

ত্রিপিটকের ভাষা সবার মাঝে অনুধাবন করতে হবে এমন মন্তব্য করে চাকমা রাণী ইয়েন ইয়েন বলেন, ত্রিপিটক পাঠ করলে মানুষের অন্ধবিশ্বাস ও স্বার্থকতা দূর হবে। তিনি সবাইকে প্রকৃত বৌদ্ধ ধর্ম পালনে উদ্বুদ্ধ হওয়া কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আফসার আহম্মেদ বলেন, শুদ্ধ বাংলায় ত্রিপিটকের বাংলা ভাষা প্রকাশনা দেশ ও জাতির জন্য একটি গৌরবের কাজ, এটা সমগ্র জাতিকে গৌরবময় করেছে। এদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার সূত্র করেছেন বৌদ্ধরা, গৌতম বুদ্ধই প্রথম নারী মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন।

ত্রিপিটক পাবলিশিং সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক জীনবদি মহাস্থবির বলেন, বিশ্বের মাত্র চারটি দেশ দেশীয় ভাষায় ত্রিপিটক প্রকাশনা প্রকাশ করেছে। বাংলা ভাষায় ত্রিপিটক প্রকাশে দেশ ও জাতির কাছে দুর্লভ ত্রিপিটকের রত্ন সম্ভার এক মাইল পলক সৃষ্টি করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের শিক্ষিক নিয়োগের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়না। এতে বিভাগ চলবে কিভাবে, বৌদ্ধচর্চা হবে কিভাবে। যদি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রহয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হয় তাহলে যেন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর পালি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. দীলিপ কুমার বড়ুয়া বলেন, বার্মা, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও জাপান এরা রাজকীয় পৃষ্টপোষকতায় রাষ্ট্রীয় ভাষায় ত্রিপিটক রচনা করেন। কিন্তু পার্বত্যঞ্চলে ত্রিপিটক প্রকাশনা নিজের উদ্যোগ করা হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

এসময় সাবেক পার্বত্য উপ-মন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পার্বত্য নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি চাঁদ রায়, জেলা পরিষদ সদস্য চিংকিউ রেওয়াজা ও হাজার হাজার বৌদ্ধধর্মালম্বী উপাসক-উপাসিকা উপস্থিত ছিলেন।

Back to top button