জাতীয়

তিন মাসে ধর্ষণের শিকার ১৮৭ জন নারী

সারাদেশে ২০১৮ সালের প্রথম তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮৭ নারী। এরমধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৯ ও আত্মহত্যা করেছেন দুই জন। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে ২১ নারীর ওপর। শনিবার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে (২০১৮ সালের জানুয়ারি-মার্চ) এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
আসকের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই তিন মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছে ৪৬ জন। যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ২৭ জন নারী। এর ফলে আত্মহত্যা করেছেন একজন, প্রতিবাদ করায় নিহত হয়েছেন ২ জন পুরুষ। এছাড়া হয়রানি ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ৩২ জন নারী ও পুরুষ।
প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্নস্থানে শিশুদের হত্যা এবং নির্যাতনের সংখ্যা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত তিন মাসে ৪২২ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৭১ জনকে হত্যা, ২৬ শিশু আত্মহত্যা। নিখোঁজের পর দুই জন ও বিভিন্ন সময়ে ২০ জন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গর্ভপাতের সময় মৃত্যু হয়েছে একজনের। এছাড়া সহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ৭ জন শিশুর।
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যান্ত রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছে ১০৯টি। এতে নিহত হয়েছেন ১১জন। আর আহত হয়েছেন এক হাজার ৪৮৮জন। এই সময়ে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১০৭ নারী। এমধ্যে ৭৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন। এছাড়া শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৮ নারী।
যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনে শিকার হয়েছেন ৫৫ নারী। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১ জন। নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৪ জন। এছাড়া স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ৯ নারীকে। এই সময়ে ১১ গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এসিডদগ্ধ হয়েছেন ৩ জন। সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন।
বছরের প্রথম তিন মাসে ৬৫ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচটি বাসস্থান ভাঙচুর করা হয়েছে। ১৭টি প্রতিমা ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১৯ জন। ৮টি বিভাগে বিভিন্ন স্থানে ৭ বার ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ-এর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নিহত হয়েছেন ৩ জন, আহত ৭ ও অপহরণের শিকার হয়েছেন ৩ জন।
এছাড়া কারা হেফাজতে মারা গেছেন ২৫ জন। এর মধ্যে কয়েদি ১১জন, হাজতি ১৪ জন।

Back to top button