জাতীয়

ঢাবি’তে পিসিপি ঢাকা মহানগর এর ৩১তম কাউন্সিল সম্পন্নঃ সভাপতি জগদীশ এবং সম্পাদক শুভ চাকমা

আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): আজ ০৭অক্টোবর ২০২৩, সকাল: ১০ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার ৩০তম বার্ষিক শাখা সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমার সঞ্চালনায় ও সংগঠনের সভাপতি রেং ইয়ং ম্রোর সভাপতিত্বে উক্ত কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৯৯নং রাঙ্গামাটি পার্বত্য আসনের সাবেক সাংসদ ও জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার। এছাড়া সম্মানীত অতিথি উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক থোয়াইক্যজাই চাক, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চ্যুং ইয়ুং ম্রো, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিকা চাকমা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুম্ম আত্মনিয়ন্ত্রণাধীকার প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামে যারা নিহত হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঊষাতন তালুকদার বলেন, আমাদের আজকের যে উপস্থিতি তা কি গতানুগতিক নাকি প্রয়োজনের তাগিদে? গত কয়েকদিন আগে কলকাতায় মানবাধিকার ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে সম্মেলন হয়েছিল। কিন্তু সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করল আমরা নাকি রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ করছি। কিন্তু আমরা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ করছি না। আমরা আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি।

তিনি আরও বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে পড়াশোনার পাশাপাশি আপনাদেরকে অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে সামিল হতে হবে। শুধু পড়াশোনা করলেন আর নিস্তেজ পড়ে থাকলে হবে না। তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন সফল করতে প্রয়োজন অস্ত্র। আর সেই অস্ত্র হচ্ছে সুসংগঠিত সংগঠন। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদই পাহাড়ের জু্ম্ম শিক্ষার্থীদের কাছে শক্তিশালী হাতিয়ার। তাই আপনাদের সবাই পিসিপিতে যুক্ত হয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরা অত্যন্ত জরুরী। আমার অস্তিত্বের জন্য যদি আমিই রক্ত, জীবন দিতে না পারি, তাহলে এই শিক্ষার গুরুত্ব কোথায়? চুক্তি বাস্তবায়ন হবে কিনা, অধিকার আদায় হবে কিনা সেটা নির্ভর করবে প্রতিবাদ সংগ্রাম ভরা সেই রক্ত আপনার আছে কিনা এবং আপনি তা বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত কিনা।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী কাউন্সিলের সফলতা কামনা করে বলেন, আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম দিন ক্লাসে গিয়েছিলাম তখন আমি কোনো আদিবাসী বন্ধুদের পাইনি। কিন্তু আন্দোলন সংগ্রামে আমি অনেক আদিবাসী বন্ধুদের পাশে পেয়েছি। পাহাড়ে যখন আন্দোলন, গণহত্যা চলেছিল তখন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ স্বোচ্ছার ছিল। এই সংগঠনটি গণহত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়েই প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আমরা আগে ভাবতাম শুধু বাঙালীরাই নির্যাতিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের মাধ্যমে জানতে পারলাম বাঙালী ছাড়াও জুম্ম জাতিও নিপীড়িত এবং নিষ্পেষিত। তাদের সংগ্রামকে জানা ও প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমার মধ্যে যে প্রতিজ্ঞা ছিল তা এখন শিক্ষকতা করার সময়ও আমি চলমান রেখেছি। আমি একজন বাঙালী হলেও আদিবাসীদের আন্দোলন একজন বন্ধু হতে পেরেছি। আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডে আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অনেক দূর এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে ঢাবির এই অধ্যাপক আরো বলেন, সারা বিশ্বে আদিবাসীদের আন্দোলন এখনও চলমান রয়েছে। সেই আন্দোলনের সাথে দেশের আদিবাসীদের আন্দোলনকে একাত্ম করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন মানে রাস্তাঘাট, বিল্ডিং ও পর্যটন। সেখানে বাস্তবে ওই এলাকার মানুষদের মুল অধিকারগুলোই প্রতিষ্ঠিত হয়নি, উন্নয়ন তো দূরে থাক। সেখানে উন্নয়নের নামে ভূমি বেদখল, পাহাড়ীদের উচ্ছ্বেদ এবং মিলিটারির দ্বারা একটা বাকরুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাহাড়ীদের রাখা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে আদিবাসীদের জন্য একটা জীবন্ত কারাগারে পরিণত করা হয়েছে।

ছাত্রনেতা থোয়াইক্যজাই চাক বলেন, নানান বাধা পেরিয়ে পিসিপি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চুক্তি ২৫টি বছর পেরুলেও এখনও মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। আমরা সবাই একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসকে সঠিকভাবে জেনে সেইভাবে লড়াই সংগ্রামে থাকতে হবে। লড়াই সংগ্রামের জন্য আমাদের পিসিপির ৪টি মূলনীতি শিক্ষা, সংহতি, সাম্য, প্রগতি সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের যে সমস্যা তা রাজনৈতিক। সেই সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। শিক্ষা সংহতি সাম্য প্রগতির পতাকা তলে এসে আপনাদের সবাইকে পিসিপির সাথে লড়াই সংগ্রামে থাকার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

ভূমি বেদখল, নারী ধর্ষণ, ইসলামীকরণ পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান উল্লেখ করে এই ছাত্রনেতা আরো বলেন, সেইগুলো বন্ধ করার জন্য আমাদের জোড়ালো প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য যা যা করা দরকার তা করার জন্য সকল জুম্ম তরুণকে সেইভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। জুম্ম জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্বেচ্ছায় আপনারা পিসিপিতে যুক্ত হবেন বলে আশা রাখি।

উক্ত সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি সতেজ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের আজ ২৫টি বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের অর্জনের খাতা এখনও শূন্য। কেননা, ভূমি কমিশন আজ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আজ শাসক দলের জুম্ম নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের আখড়াই পরিণত হয়েছে। আমরা দেখতে পেয়েছি সম্প্রতি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের দ্বারা শিক্ষক নিয়োগের যে প্রক্রিয়া সেটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সেখানে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৩৭জনের মধ্যে কয়জন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন এই প্রশ্নটা থেকেই যায়। কেননা, অভিযোগ আছে কোনো কোনো চাকরী প্রার্থীর কাছ থেকে ১৯ লক্ষ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। এইসবের বিরুদ্ধে জুম্ম ছাত্র সমাজকে প্রতিবাদ করতে হবে। জেলা পরিষদগুলোর এই অস্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মূলত পাহাড়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মধ্য দিয়ে জুম্ম প্রজন্মকে বিকলাঙ্গ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে আমরা ২০১৯ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকুরীতে আদিবাসী কোটা বহাল রাখার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছিলাম দাবি করে তিনি আরো বলেন, আমরা সবসময় জুম্ম ছাত্র-যুব সমাজের জন্য নিজেদের সমস্তটুকু দিয়ে লড়াই চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সরকার আমাদের কোনো কথায় শুনেনি। সেজন্য আমাদের মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমার দেখানো পথই অনুসরণ করতে হবে। এম এন লারমাও প্রথমে সংসদে দাঁড়িয়ে ‘বাঙালি’ বানানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সংসদ ত্যাগ করেন। তিনি শিখিয়েছেন যে প্রতিবাদ যখন প্রতিকারহীন হয়ে থাকে তখন প্রতিরোধই একমাত্র পন্থা হয়ে দাঁড়ায়।

সম্মেলনে নারী নেত্রী চন্দ্রিকা চাকমা বলেন, পিসিপির জন্ম হয়েছে নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে। যে যত আদর্শবান সেই তত ক্ষমতাশালী, ত্যাগী, সাহসী, বিপ্লবী ও দূরদর্শী হতে পারে। মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র এই কালজয়ী উক্তিটির যে ব্যাপ্তি ও বিশালতা তা আমাদের মত অধিকারকামী মনের চেতনায় ধারণ করা দরকার। আমি মনে করি, একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে গড়ে উঠতে গেলে একজন রাজনৈতিক কর্মীর এই গুণগুলো থাকা আবশ্যক। আজকে কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব পাব আমরা। যার মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর কমিটি আগের চাইতে আরও উজ্জীবিত, সংগ্রামী চেতনা নিয়ে জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধীকার প্রতিষ্ঠায় মুক্তির সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

ছাত্রনেতা চ্যুং ইয়ুং ম্রো বলেন, বাংলাদেশে আমরা মোট ৫০টিরও বেশি আদিবাসী জাতি রয়েছি আমরা। কিন্তু আমরা আমাদের অধিকার এখনও পায়নি। আমরা যারা আদিবাসী তরুণ রয়েছি, এখনই সময় আমাদের অস্তিত্ব ও অধিকারের দাবি জোড়ালোভাবে করার। আমরা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি প্রতিনিয়ত। পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলের আদিবাসীরাও ঠিক একইভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। মধুপুরে কৃত্রিম লেক খনন করা হচ্ছে। সেখানকার যুব সমাজ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছিল। ৫% আদিবাসী কোটার দাবিতে আমরা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে আসছি। ওই সমাবেশ ও সংগ্রামগুলোতে বাংলাদেশ আদিবাসী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্ব বহাল ছিল। কিন্তু সরকার আমাদের কথা শুনেনি। এসবের জন্য আমাদেরকে নতুনভাবে সংগঠিত হতে হবে।

সম্মেলনে অংশগ্রহনকারীদের একাংশ

পরে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুপ্রিয় তঞ্চঙ্গ্যা ঢাকা মহানগর শাখার অধিনস্ত ১৯ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি ও
১৯ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখার কমিটি ঘোষণা করেন এবং নতুন নেতৃবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

এর পরবর্তীতেই পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক থোয়াইক্যজাই চাক ঢাকা মহানগর শাখার ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রস্তাবিত সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। পরে সম্মেলনে উপস্থিত শতাধিক কাউন্সিলর করতালি দিয়ে নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানান এবং নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান ছাত্রনেতা থোয়াইক্যজাই চাক।

এদিকে সভাপতির বক্তব্যে রেং ইয়ং ম্রো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি সমস্যা জর্জরিত এলাকা। পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে একটু স্বস্তির নি:শ্বাস নিয়েছিলাম। কিন্তু তার পরবর্তীতে তা স্বস্তির কারণ হয়নি। ইসলামীকরণ, উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য উগ্র বাঙালীরা প্রতিনিয়ত ভূমি বেদখল ছাড়াও নানা ষড়যন্ত্র করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের যে সমস্যার কথা বলেছি সেটি দিনদিন বেড়েই চলেছে এবং যে সিস্টেমে রাষ্ট্রতন্ত্র আমাদের পরিচালিত করছে সেটি আমাদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিচ্ছে। যে যন্ত্রণা আমাদের অতীতে অনেক ভুগিয়েছে সেই যন্ত্রণা যাতে জুম্ম জনগণ ভুলে না যায় সেটি বারবার সময়ে প্রয়োজনে তুলে ধরার কাজ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’র তকমা মাথায় লাগিয়ে আমাদের আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার অনীহা প্রকাশ করে। তাদেরও ভাবতে হবে পাহাড়ের পরিস্থিতি দিন দিন কোথায় চলে যাচ্ছে। আমরা কোটা রক্ষার আন্দোলন করেছিলাম। সেখানে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের অধিকাংশই পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং কাতের অধিকাংশই সেরকম চাকুরী নেওয়ার মানসিকতায় নেই। কিন্তু যাদের জন্য এই আন্দোলন তারা অনুপস্থিত। পিসিপির আন্দোলন হচ্ছে পুরো জুম্ম জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। আগামীদিনের লড়াইয়ে সকল জুম্ম শিক্ষার্থীদের সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি সম্মেলন ও কাউন্সিল সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

Back to top button