জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুম্ম শিক্ষার্থীদের “নবীন বরণ ও বিদায়ী সংবর্ধনা-২০১৬” অনুষ্ঠিত

৫ই মে “মুক্তির মাদল বাজুক নবীন-প্রবীণের মনে , দ্রোহে দ্রোহে চুর্ণ করি ঐক্য বাণে” এ স্লোগান রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ২০১৫-২০১৬শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ও সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ হওয়া জুম্ম শিক্ষার্থীদের নিয়ে “নবীন বরণ ও বিদায়ী সংবর্ধনা-২০১৬” জগন্নাথ হল টিভি রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, চেয়ারম্যান; পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রী দীপায়ন খীসা, সদস্য; তথ্য ও প্রচার বিভাগ; পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিষী চাকমা; প্রভাষক; পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, উচিন লয়েন, প্রভাষক; ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চঞ্চনা চাকমা; সভাপতি; হিল উইমেন্স ফেডারেশন; কেন্দ্রীয় কমিটি এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নিপন ত্রিপুরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, সবাইকে একসাথে থাকতে হবে এবং জাতিকে সেবা করার মনোভাব রাখতে হবে। পড়াশুনার পাশাপাশি নিজ জাতির অধিকার আদায়ে ঢাবির ছাত্র হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখার আহবান জানান। তিনি সবাইকে এম এন লারমার সম্পর্কে জানার আহবান জানান। তিনি নবীনদের উদ্যেশ্যে আরও বলেন, যেহেতু অনেক প্রতিযোগিতা করে চান্স পেয়েছ, তাই তোমাদের উপর দায়িত্বও অনেক বেশি বেড়েছে, নিজেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের তুলনায় সেরা প্রমাণ করতে হবে। IMG_0114

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দীপায়ন খীসা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস যেমন জাতির মুক্তির ইতিহাস, ঠিক তেমনি জুম্ম শিক্ষার্থীদেরও সেভাবে সামনের দিনে জাতির দুর্দিনে এগিয়ে আসার আহবান জানান। কেবল পাঠ্য পুস্তক নয়, পাশাপাশি বিভিন্ন মনিষীর লেখা বই পড়ার জন্য নবীনদের পরামর্শ দেন। সামনের দিনে পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়ন আন্দোলনে জেএসএসের চলমান কর্মসূচির সাথে ঢাবির ছাত্র হিসেবে তার দায়িত্বের জায়গা থেকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, জনসংহতির আন্দোলন ক্রমান্বয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। তার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার জন্য আহবান জানান।

অনুষ্ঠান শেষাংশে নবীন ও প্রবীণদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে “নবীন বরণ ও বিদায়ী সংবর্ধনা” দেওয়া হয়, এবং আলাদা আলাদা ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

Back to top button