জাতীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ থেকে ডিনস এওয়ার্ড পেলো প্রকট কার্বারি

ঢাবি প্রতিনিধিঃ এবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ থেকে ডিনস এওয়ার্ড পেয়েছেন রাঙামাটির চাকমা জাতিগোষ্ঠীর প্রকট কার্বারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের ছাত্র প্রকট ‘ডিনস মেরিট লিস্ট অফ একাডেমিক রিকগনিশন’ ক্যাটাগরিতে এ সন্মাননা লাভ করে। আজ নওয়াব আলী সিনেট ভবনে কলা অনুষদের সন্মাননা অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছ থেকে এই সন্মাননা গ্রহন করেন।
প্রকট কার্বারি বাড়ি রাঙামাটির নানিয়ারচর থানার গোলসাছড়ি গ্রামে। বাবা গ্রাম প্রধান শুদ্ধোধন চাকমা মা সুনিতা চাকমা। গ্রামেই প্রাথমিক শিক্ষার ধাপ শেষ করে নানিয়ারচর মডেল হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগে ২০১১-১২ সেশনে ভর্তি হন। এখান থেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। প্রকট কার্বারি স্নাতকোত্তরে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ও প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এই সন্মাননার জন্য মনোনীত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ প্রতিবছর তিনটি ক্যাটাগরিতে ডিনস এওয়ার্ড দিয়ে থাকে। প্রথম ক্যাটাগরিতে সিজিপি ৪ এর মধ্যে ৪ পাওয়াদের ‘ডিনস মেরিট লিস্ট অফ এক্সিলেন্স’, দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে সিজিপিএ ৩.৮৫ থেকে ৪ পর্যন্ত ‘ডিনস মেরিট লিস্ট অফ অনার’ আর তৃতীয় ক্যাটাগরিতে সিজিপিএ ৩.৬০ থেকে ৩.৮৫ পর্যন্ত ‘ডিনস মেরিট লিস্ট অফ একাডেমিক রিকগনিশন’ সন্মাননা দেয়া হয়।
এ সন্মাননা লাভে অনেক উচ্ছাস প্রকাশ করেন প্রকট কার্বারি। মুঠোফোনে আমাদের জানান ‘আমি আনন্দিত, তবে আমাকে আরো বহুদূর যেতে হবে। পালি ও বুদ্ধিস্ট বিভাগে পড়তে গিয়ে চাকরি মিলবেনা এমন নানান কথা শুনতে হয়েছে । তবু আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি যেনো ভাল কিছু হয়। সামনের দিনে আরো ভাল করবার ইচ্ছে রয়েছে। আমি দেশ জাতি মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যেতে চাই।’ ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মকে নানানভাবে কলুষিত করা হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রকৃত মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করার এবং ভবিষ্যতে বৌদ্ধ ধর্ম ও ইতিহাস নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে।’বর্তমানে প্রকট কার্বারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নীরু বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বুদ্ধের শিক্ষাদর্শন’ বিষয়ে এমফিল করছেন।

Back to top button