ট্রাম্প-কিম বৈঠকে কোরিয় উপদ্বীপে পরমানু নিরস্ত্রীকরণে যৌথ চুক্তি
আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের স্যান্টোসা দ্বীপের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই নেতা সাংবাদিকদের সামনে একটি যৌথ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং কোন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে এটি প্রথম বৈঠক।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে বৈঠকে কোরিয় উপদ্বীপে ‘পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ’এর অঙ্গীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। এ ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসন উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন বলে জানা যায়।
উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ট্রাম্প বলেন “আমি আসলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চাই” তবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে এই পদক্ষেপ নিতে চান না তিনি। ট্রাম্প জানান “আমরা যখন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে পারবো তখনই উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।”
মি. ট্রাম্প জানিয়েছেন যে স্বাক্ষরিত বিবৃতির শর্ত অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র এখনই সেনাবাহিনী সরিয়ে নেবে না। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা যৌথ সামরিক মহড়া দেয়া বন্ধ করবে তারা। নিয়মিত এসব সামরিক মহড়ার কারণে ক্ষুব্ধ ছিল উত্তর কোরিয়া।
দুই নেতার এই বৈঠককে অনেকেই ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন।
দক্ষিন কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জায়ে-ইন জানান, ‘দুই কোরিয়া ও আমেরিকা মিলে শান্তি ও সহযোগিতার নতুন ইতিহাস রচনা করলো।’
উত্তর কোরিয়ার মিত্র চীন এই বৈঠককে নতুন ইতিহাসের সুচনা বলেও অভিহিত করেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো এবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্ব ও চেষ্টাকে প্রশংসা ও উত্তর কোরিয়ার পরমানু নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যৌথ ঘোষণায় তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। এছাড়া কোরিয় উপদ্বীপে কিভাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করা হবে সে প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
তথ্যসূত্রঃ রয়টার্স, বিবিসি।