আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): গত ০৪ মে ২০২৪ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলা সদরস্থ যক্ষা বাজার সেনাক্যাম্পের আইনরক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের তিন ছাত্রনেতাকে “অন্যায়ভাবে” আটক করা হয়। উক্ত ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে আটককৃত ছাত্রনেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে। আজ এক বিবৃতির মাধ্যমে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, পিসিপি’র জুরাছড়ি থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুপম চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক সুরেন চাকমা ও তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রনি চাকমা আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সুরেশ কুমার চাকমার নির্বাচনী প্রচারণার কার্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সেনা গোয়েন্দা রবিউল সুরেন চাকমার হাতে নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকানো একটি মানিব্যাগ দেয় এবং বলে সামনে আমাদের লোক আছে তার হাতে দিয়ে দিও। তারপর কিছুদূর যেতে না যেতে সেনাবাহিনীর একটি দল জুরাছড়ি সদর এলাকার ধামাইপাড়া সেতু থেকে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে তাকে যক্ষা বাজার সেনাক্যাম্পে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর একই চেকপোস্ট থেকে নির্বাচন থেকে বাড়ি ফেরার পথে রূপম চাকমা ও রনি চাকমাকে আটক করে সেনাক্যাম্পে নিয়ে যায়।
পিসিপি’র তথ্য ও প্রচার সম্পাদক অন্তর চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “সেনাসদস্যরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ছাত্রনেতাদের ইয়াবা ট্যাবলেট ও চাঁদার রসিদ গুঁজে দিয়ে ছবি তুলে গত ০৫ মে ২০২৪ জুরাছড়ি থানায় সোপর্দ করেছে। জুরাছড়ি থানা তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইন ও চাঁদাবাজির আইনে মামলা দিয়েছে। সেনাবাহিনী কতৃর্ক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিন ছাত্রনেতাকে অন্যায়ভাবে আটক ও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে পিসিপি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ মনে করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশন উত্তরণের নামে সেনাশাসন বলবৎ থাকায় এধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক সকল অস্থায়ী সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার না করে উল্টো সেনাক্যাম্প সম্প্রসারণ এবং চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্মদের নিরাপত্তাবাহিনী কতৃর্ক ধরপাকড়, হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ পাহাড়ের আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অবিলম্বে সকল অস্থায়ী সেনাক্যাম্প প্রত্যাহারপূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এবং আটককৃত তিন ছাত্রনেতার দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানায়।
