আঞ্চলিক সংবাদ

জামালপুরে মা-শিশুর পুষ্টি ও যত্ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জামালপুর প্রতিনিধি: বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো অধ্যুষিত দিগলাকোনায় গ্রাম উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে গর্ভবতী মা ও শিশুর পুষ্টি, গর্ভকালীন ও প্রসবোত্তর যত্ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৬ এপ্রিল দুপুরে কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমাজ পরিচালিত স্থায়ীত্বশীল জীবিকায়ন ও সহনশীলতা কর্মসূচির (CMLRP) সার্বিক সহায়তায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ মাতৃত্ব বিষয়ক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রুরাল মিডওয়াইফ মিসেস প্রণালী ম্রং।

গর্ভবতী, দুগ্ধদানকারী মা ও শিশুর উপস্থিতিতে তিনি মাতৃত্বকালীন পুষ্টি ও যত্ন বিষয়ক নানান বিষয়ে আলোকপাত করেন।

আলোচনায় জানা যায়, গর্ভবতী মহিলার নিয়মিত শারিরিক পরিক্ষা, সুষম খাবার গ্রহণ, সময় মতো টিটি টিকা প্রদান, পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, শরীরের যত্ন নেয়া ইত্যাদি মেনে চলতে হবে। পুষ্টির ঘাটতি পূরণে পর্যাপ্ত শক্তিবর্ধক, ক্ষয়পূরনকারী ও রোগ প্রতিরোধকারী খাদ্য গ্রহণ; কারন মাতৃত্বকালীন পুষ্টি ও যত্নে ঘাটতির ফলে গর্ভপাত, অপরিনত, মৃত শিশু ও প্রসবকালীন মৃত্যুঝুঁকি দেখা দেয়।

প্রসবকালীন সময়ে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ও দক্ষ ধাত্রীর সাহায্য এবং জরুরী মুহূর্তে অগ্রিম হাসপাতালে নেয়ার সু-ব্যবস্থা করা।

তাছাড়া, শিশুর জন্মের পর ৬ মাস পর্যন্ত শুধু মাত্র মায়ের বুকের দুধ এবং ৬ মাস পর মায়ের দুধের পাশাপাশি সুষম খাবার দেয়া।
মা ও শিশুর সুস্থ্যতায় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার ও সঠিক পরিচর্যার বিকল্প নেই। যেকোন সমস্যা বা প্রয়োজনে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে যোগাযোগ বা পরামর্শ করা।

এছাড়াও গর্ভবতী-দুগ্ধবতী মায়ের পুষ্টি ও শিশুর ১ হাজার দিনের খাদ্যে বাড়ির আশপাশে বা হাতের কাছে পাওয়া উপাদান। যেমন : শাঁক-সবজী, ফল-মূল, মাছ-মাংস ও পানীয়গুলোর উৎস ও পরিচিতি বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হয়।

প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণকারী দুগ্ধবতী ও গর্ভবতী মায়েরা গ্রাম্য ধাত্রী প্রণালী ম্রং ‘র বিষয়ে জানায়, “দিদির পরামর্শ ও সহায়তায় নিরাপদ প্রসব সম্ভব হয়েছে। তিনি প্রসব পরবর্তীকালিন পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন। এতে সুস্থ্য সবল বাচ্চার কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে না।”

এ ব্যাপারে প্রশিক্ষক প্রণালী ম্রং আইপি নিউজকে বলেন, “আমি কারিতাসের CMLRP প্রকল্পের আওতায় ‘নিরাপদ মাতৃত্ব’ বিষয়ে Community Helth & Natural Family Planing (CHNFP) হতে প্রশিক্ষন গ্রহণ করি এবং ট্রেনিং শেষের পর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।”

তিনি আরোও বলেন, “শিশুর হাসিতে মায়ের খুশি। মা সুস্থ্য থাকলে শিশু থাকবে ভালো। তবে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, অপপ্রথা ও অসচেতনতার ফলে শিশুর নানান সমস্যা হয়। মাঠ পর্যায়ে কাজ করে এসব সমস্যা চোখে পড়ে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কর্মশালার আয়োজন করি।”

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সুরঞ্জন রাকসাম, ফিল্ড এ্যানিমেটর বিনয় চিসিম প্রমূখ।

Back to top button