জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান
![](https://ipnewsbd.net/wp-content/uploads/2017/06/18902021_149257408950227_1441955745_n-640x480-1.jpg)
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক নিতীষ চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় আজ ১জুন দুপুর ১২ঘটিকা সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.হারুন-অর-রশিদ রাঙ্গামাটিতে আগমন উপলক্ষে সার্কিট হাউজে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও দাবি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
উপাচার্যকে ফুলেল শুভেচ্ছা সহ স্মারকলিপি প্রদান করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার সভাপতি সম্রাট সুর চাকমার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জাফর আহমদ, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর বাঞ্চিতা চাকমা, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর বিধান চন্দ্র বড়ুয়া, রাঙ্গামাটি সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ফিরোজা বেগম চিনু সহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী বৃন্দ।
রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।দীর্ঘ ৫০ বছর পরেও এই কলেজে তেমন কোন উন্নতি হয়নি। তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য এই কলেজে অধ্যয়ন করতে আসে। কিন্তু কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষার উপকরণ সহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। সারা বছর পরীক্ষা থাকায় কলেজে ক্লাশ রুমের সংকটের কারণে যারা ভর্তি হয় তারাও প্রয়োজনীয় ক্লাশ পাচ্ছে না।ফলে ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাঘাত ঘটছে।
উল্লেখ্য যে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি স্নাতক(পাস)কোর্স সহ ১২টি বিষয়ে স্নাতক(সম্মন)এবং ৪টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। কিন্তু বিভাগগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা যথাযথ শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে।কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন সুবিধা না থাকায় শহরে বাসাভাড়া করে লেখাপড়া চালিয়ে নিতে হচ্ছে যার ফলে অনেক ছাত্রছাত্রী অর্থনৈতিক অভাবের কারণে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এসব সমস্যা সমাধানের জন্য নিমোক্ত দাবিসমূহ পেশ করা হয়:
১. অর্থনীতি, ইতিহাস, ইংরেজী, উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগ সমূহের মাস্টার্স কোর্স চালু করা।
২. সমাজ বিজ্ঞান, Human Resource Management, Tourism and Hospitality Management, ফিশারি বিভাগ সমূহের অনার্স কোর্স চালু করা।
৩. শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল ব্যবস্থা চালু করা।
৪. বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণাদি সুব্যবস্থা করা।
৫. কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করা ।
৬. অত্র প্রতিষ্ঠানের পাস কোর্সের শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির জন্য প্রিলি কোর্স চালু করা ।
সবশেষে উপাচার্য ৪টি বিষয়ে মাস্টার্স এবং Tourism and Hospitality Management বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হবে বলে আশ্বাস দেন।