মতামত ও বিশ্লেষণ

জাতীয় বাজেটে আদিবাসী উন্নয়ন _ ২০১৭ – সঞ্জীব দ্রং

প্রতি বছর বাজেট এলে আমরা অনেক আশা নিয়ে ক্লান্তিহীনভাবে কথা বলি। আমাদের আশা, এবার বাজেট বক্তৃতায় আদিবাসী মানুষের পরিচয়, অধিকার, সংস্কৃতি, নিজস্ব জীবনধারা, তাদের উন্নয়ন এসব বিষয়ে কিছু উল্লেখ থাকবে। অতীতে ছিল। এবার তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম, তেমন তো চোখে পড়লো না। বাজেট মানে তো শুধু টাকা পয়সা না, এখানে আদিবাসীদের সম্পর্কে রাষ্ট্রের ভাবনা-চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রকাশ ঘটে। দুঃখের বিষয় এবারো আদিবাসীদের বিষয়টি দারুণভাবে উপেক্ষিত। বাজেট বক্তৃতায় ১৪৭ অনুচ্ছেদে লেখা আছে, “সংস্কৃতি ও শিল্প চর্চাকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।”

এবারের বাজেটের পরিমাণ আকার হবে ৪ লক্ষ ২৬৬ হাজার কোটি টাকা। আদিবাসী জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় শতকরা ২ ভাগের বেশি। এ হিসাবে আদিবাসীদের জন্য বাৎসরিক বরাদ্দ হওয়ার কথা কমপক্ষে ৯,২৪৪ কোটি টাকা। প্রকৃত বাজেট বরাদ্দ হলো পাহাড়ে ১,১৫০ কোটি টাকা আর সমতলে সংখ্যাগরিষ্ঠ আদিবাসীর জন্য মাত্র ৩০ কোটি টাকা। দেশে সমতল অ লের ২০ লাখ আদিবাসী মানুষের জন্য বাজেট বরাদ্দ ৩০ কোটি টাকা। পাটিগণিত করলে দাঁড়ায় একজনের জন্য বছরে ১৫০ টাকা। গত বছর এই পরিমাণ ছিল ২০ কোটি টাকা। অনেকে বলবেন, বাজেটে আছে ১৬ কোটি মাছুষের জন্য বরাদ্দ, সেখানে আদিবাসীরাও আছে। বাস্তবতা ভিন্ন। যেহেতু আদিবাসীরা নানাকারণে শোষণ, বৈষম্য ও মানবসৃষ্ট দারিদ্র ও ব নার শিকার, তাই বরাদ্দ শতকরা হিসাবের বাইরে আরো বেশি হওয়া উচিত।

আবার মহসমারোহে এসেছে জাতীয় বাজেট। বাজেট এলে আদিবাসী প্রান্তিক মানুষের জীবনে কী হয়? বাজেটের পর দরিদ্র সাঁওতালের পরিবারে অর্থনৈতিক অবস্থার কি উন্নতি হয়? আদিবাসী সমাজের কেউ কি সরকারি চাকুরী পায়? কত জন শিক্ষিত আদিবাসী বেকারের চাকুরি হবে আগামী মাসে? এর নিশ্চয়তা কী? গোবিন্দগঞ্জে খোলা আকাশের নীচে বেঁচে থাকা সাঁওতালদের কাছে এই ৪ লক্ষ কোটি টাকা বাজেটের প্রতিফলন কী? লংগদুতে ২৫০ বাড়িঘর পুড়ে নিঃস্ব অসহায় পাহাড়িদের কাছে এই বাজেটের মহিমা কী? এখানে আদিবাসীদের, গরিব মানুষের, দলিত হরিজন প্রান্তিক মানুষের, চা শ্রমিকদের স্থান কোথায়? এত বড় বড় মোটা মোট বই, তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তেমন কিছু তো পেলাম না। দেখলাম সবই তো গতানুগতিক। বরং ভ্যাট ও ট্যাক্স বেড়েছে। এই ভ্যাট ও ট্যাক্সের বোঝা কোন না কোনভাবে দরিদ্র আদিবাসী মানুষের কাঁধে পড়বে। জাতীয় বাজেট এলে কত হৈ চৈ হয়। আর জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। আর আদিবাসীদের জীবনের দাম কমে, বেঁচে থাকার আশা কমতে থাকে। অনিশ্চয়তা বাড়তে থাকে।

আমি অর্থনীতিবিদ নই বা বাজেট বিষয়ে জ্ঞানী কেউ নই। বাজেট ও আদিবাসী বিষয়ে কথা বলবার যে টুকু অধিকার আমার আছে, তার ভিত্তি হলো; আমি নিজে এ সমাজের একজন মানুষ এবং এই জীবনে আমার সামান্য দুঃখ ভারাক্রান্ত অভিজ্ঞতা। বলতে পারেন জীবন-অভিজ্ঞতা, যা সুখকর নয়। মাননীয় অর্থমন্ত্রী দয়া পরবশ হয়ে সমতলের ২০ লক্ষাধিক আদিবাসী মানুষের জন্য এবার ৩০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। গতবারের চেয়ে ১০ কোটি বেশি। প্রকৃত সত্য হলো, টাকার পরিমাণ যাই হোক, এই অর্থ বাস্তবায়নে সমতলের আদিবাসীদের কোনো অংশগ্রহণ, ক্ষমতা নেই।

আদিবাসীদের সত্যিই উন্নয়নের ধারায় আনতে হলে জাতীয় বাজেটে পৃথকভাবে যথেষ্ট বরাদ্দ প্রয়োজন। “সবার জন্য সমান অধিকার” – এ ধরনের কথা বললে, আদিবাসীদের উপর ঐতিহাসিক যে বৈষম্য ও শোষণ চলেছে, তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়। এতে আদিবাসী জীবনে শোষণ ও ব না নিয়তির মতো লেগে থাকে। বহুকাল ধরে আদিবাসী জীবনে জাতীয় বাজেট বরাদ্দ বা উন্নয়নের প্রতিফলন নেই।

আজকেও আমি শুরুতে আদিবাসী ও বাজেট ভাবনা নিয়ে কিছু বলতে গিয়ে সব সময়ের মতো প্রখ্যাত লেখক, ম্যাগসেসে পুরষ্কারপ্রাপ্ত, পদ্মভিভূষণ উপাধিতে ভূষিত, বিখ্যাত সব উপন্যাস হাজার চুরাশির মা, অরণ্যের অধিকার ও রুদালির রচয়িতা মহাশ্বেতা দেবীর দ্বারস্থ হলাম। বিখ্যাত এই মানুষটি তার গঙ্গা-যমুনা-ডুলং-চাকা প্রবন্ধে লিখেছেন, “আমি মনে করি ভারতবর্ষে শাসনব্যবস্থা মূল¯স্রোত-চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত। সরকার আদি-তফসিলীদের জন্য এত রকম কাগুজে ব্যবস্থা এই জন্য করেছেন যে, সরকার জানেন ওদেরকে পশ্চাৎপদ করেই রাখা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবিকা, জমির হক, বনজ সম্পদে অধিকার, জীবনের সব ক্ষেত্রেই ওরা বি ত। এই জন্য এত আইন ও স্কীম। কেন্দ্র ও রাজ্য – সব মিলিয়েই আমি “সরকার” শব্দটি ব্যবহার করলাম। আদিবাসী সংস্কৃতি, ভাষা, সমাজ সংগঠন, সবকিছুর অস্তিত্বই বিপন্ন এবং এটাই ভারতের আদিবাসীর ইতিহাস, যে ইতিহাস মানবসৃষ্ট। ওরা মূলস্রোত থেকে দূরে আছেন। মূল¯স্রোত ওদেরকে ভারতবর্ষ শব্দটির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে কোনদিন ভেবেছে কিনা আত্মজিজ্ঞাসা করতে অনুরোধ করি। একটি প্রশ্ন বহুকাল ধরে করে আসছি। আইটিডিপি এলাকায় এবং আদিবাসীদের জন্য সমুদ্রসমান টাকা আসছে, খরচ হচ্ছে। আইটিডিপি এলাকা, আদিবাসী জীবন, মূলত আদিবাসী প্রধান এলাকা (সিংভূম, সাঁওতাল পরগনা, রাঁচি, পালামৌ, হাজারিবাগ); এসব জায়গায় ও আদিবাসী জীবনে ওই বিপুল অর্থ ব্যয়ের প্রতিফলন নেই কেন? কেন তারা ভূমিহীন, দেশান্তরী মজুর, শিক্ষায় এত পিছনে, তৃষ্ণার জলে, সেচের জলে বি ত? ধনী বা উচ্চ মধ্যবিত্ত আদিবাসী কতজন আছেন? এসব টাকা কোথায় যাচ্ছে? সরকারি নিয়ম মতে, যে সব বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলেছি তার বাইরে সেচ-পূর্ত-কৃষি-শিক্ষা, এমন প্রতি দপ্তরের জন্য ৪% টাকা আদিবাসী উন্নয়নে খরচ হওয়ার কথা। বাস্তবে কী হচ্ছে? গরুকে খাওয়ান, সে স্বাস্থ্যপুষ্ট হবে। ঘর সাফ করুন, ঘর পরিস্কার হবে। বই পড়–ন অনেক, জ্ঞান বাড়বে। গাছ লাগিয়ে যান ও যতœ করুন, সে ফুল-ফল-পাতা দেবে। অর্থাৎ যতœ, অর্থ ব্যয়ের প্রতিফলন একটা ছোট-বড় মাপের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক হতে বাধ্য। ভারতবর্ষের সমগ্র আদিবাসী জীবনে, আদিবাসীর জন্য যে ব্যয় হচ্ছে তার প্রতিফলন নেই। তার কারণও সহজবোধ্য (বুঝতে চাইলে), এগুলির যথার্থ রূপায়ণ নেই, তার চেষ্টাও করা হয়নি।” ভারতের অনেক রাজ্যে আদিবাসী জনগণ আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অধিকার ভোগ করছে, স্ব-শাসন ব্যবস্থা সেখানে আছে। এত সবের পরও অনেক রাজ্যে ‘বৃহত্তর স্ব-শাসনের জন্য’ তাদের আন্দোলন চলমান। তারপরও মহাশ্বেতা দেবী এই কথাগুলো বলেছেন। আমাদের দেশের আদিবাসীদের দশা খুব করুণ। এর কারণ জাতিসংঘ বলেছে, ঐতিহাসিকভাবে বিশ্বের আদিবাসী জনগণ নানা শোষণ ও ব নার শিকার।

তবে আমি প্রশংসা করবো, সরকার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, হিজরা জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, দলিত, হরিজন, চা শ্রমিক, ভবঘুরে ও বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম ইত্যাদি হাতে নিয়েছেন। আবার পৃথকভাবে বেদে জনগোষ্ঠীর জন্য ২৭ কোটি, হিজরাদের জন্য ১১.৩৫ কোটি, চা শ্রমিকদের জন্য ১৫ কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

তাছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা বাজেট রাখা হয়েছে। পরিমাণও বেশি। পথশিশু, ভিক্ষুকদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আদিবাসীরা বরাবরের মতো উপেক্ষিত।

কিন্তু কী হলো আদিবাসীদের? বিগত বাজেটগুলোতে (২০১০ থেকে ২০১৩) জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় আদিবাসী / ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনগণের জন্য ছোট্ট পৃথক অনুচ্ছেদ বা প্যারাগ্রাফ থাকলেও গত কয়েকটি বাজেট বক্তৃতায় আদিবাসীদের স্থান হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের মাননীয় সদস্যগণ আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তারা সংসদের কথাও বলেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের চেষ্টায় সফলতা আসেনি। এবার আমাদের আরো বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের প্রতিনিধি দল ককাশের নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দ্রুত দেখা করতে পারেন। এ জন্য হোমওয়ার্ক করে লিখিত আকারে আদিবাসীদের জন্য কী কী খাতে আমরা বরাদ্দ চাই, তা যুক্তি সহকারে তুলে ধরতে হবে।
বাজেট ও আদিবাসী জনগণ
বাজেটে আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ কী পরিমাণ হবে, এ ক্ষেত্রে একটি সমস্যা হলো, আদিবাসীদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ না করা এবং প্রকৃত আদিবাসী জনসংখ্যা কত, তা না জানা। আদিবাসী জনগণ বাংলাদেশের সবচেয়ে বি ত, দরিদ্র ও অনগ্রসর অংশের মধ্যে অন্যতম। সরকারি পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশের জনসাধারণের প্রায় অর্ধেক দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করে। তাদের মাথাপিছু আয়ও অনেক কম। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতল উভয় অ লের আদিবাসীদের সিংহভাগ এখনও জীবিকা নির্বাহের জন্য জুম ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। সমতলের আদিবাসীদের দুই-তৃতীয়াংশ বা তারও অধিক এখন ভূমিহীন। তার ওপর আদিবাসীদের ভূমি নিয়ে বিরোধ সর্বত্র।

আদিবাসীদের জন্য উন্নয়নমূলক বরাদ্দ মূলত সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন একটি কর্মসূচির মাধ্যমে দেওয়া হয়।

এখানে বিগত ৩ বছরের বাজেট পর্যালোচনা করা হয়েছে।

বিগত ৩ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেটের পরিমাণ নিম্নরূপঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বার্ষিক বরাদ্দ
২০১৬-১৭ হতে ২০১৭-১৮ (অংকসমূহ কোটি টাকায়)

নানা কারণে আদিবাসী জনগণ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে না। তাই আদিবাসীদের জন্য জাতীয় বাজেটে পৃথক ও বিশেষ বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। আমি এ লেখার শুরুতে আমাদের পাশের দেশের উদাহরণ তুলে ধরেছি। আদিবাসী তরুণদের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মমুখী শিক্ষা এবং চাকুরির নিশ্চয়তাসহ আত্মকর্ম সংস্থান যাতে তারা করতে পারে, সে জন্য ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। এত শহরে মাইগ্রেশনও কমে যাবে। আদিবাসী তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখতে হবে। এখানে আপনাদের আলোচনার জন্য কয়েকটি দাবি উত্থাপন করছিঃ

এবার জাতীয় বাজেটে পৃথক অনুচ্ছেদ যুক্ত করে আদিবাসী জনগণের উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখতে হবে। বাজেট বক্তৃতায় আদিবাসী বিষয়ে বিবরণী থাকতে হবে।
বাজেট বরাদ্দ সাধারণত হয় মন্ত্রণালয়ভিত্তিক। সমতলের আদিবাসীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। এ পর্যন্ত বিষয়টি দেখার জন্য যেহেতু কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ নেই, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এই থোক বরাদ্দ পরিচালনার জন্য সমতলের আদিবাসীদের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি বা বোর্ড গঠন করা যেতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়, আ লিক পরিষদ ও জেলা পরিষদসমূহের বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে।
সকল মন্ত্রণালয়ের/বিভাগের বাজেটে আদিবাসীদের জন্য সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা যায় এবং বরাদ্দের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আদিবাসীদের কীভাবে সম্পৃত্ত করা যায়, সে বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক একাডেমীগুলোতে আদিবাসী সংস্কৃতি উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও সামাজিক ক্ষমতায়নের বাজেট খাতে আদিবাসী উপকারভোগী যাতে নিশ্চিত হয়, তার জন্য এ বিষয়ে নির্দেশনা থাকতে হবে।
উচ্চ শিক্ষা ও কারিগরী শিক্ষায় বৃত্তিসহ আদিবাসী নারী ও তরুণদের আত্ম-কর্ম সংস্থানের জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকতে হবে।

আপনাদের মূল্যবান সময় ও মনযোগের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

ঢাকা ১৯ জুন ২০১৭ সোমবার, মিডিয়া সেন্টার, জাতীয় সংসদ ভবন
আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস

জাতীয় বাজেটে আদিবাসী উন্নয়ন
আয়োজনে: আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস
মিডিয়া সেন্টার, জাতীয় সংসদ, ১৯ জুন, ২০১৭ এ পঠিত প্রবন্ধ


সঞ্জীব দ্রং; সাধারণ সম্পাদক, আদিবাসী ফোরাম

Back to top button