জাতীয়

জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় আদিবাসী উদ্যোক্তা

অনন্ত ধামাই: পার্বত্য চট্রগ্রামের পোশাকসহ বিভিন্ন ধরনের পন্যে কথা হয়তো আপনি শুনেছেন। কিন্তু আদিবাসীদের বিভিন্ন রঙ্গের পোশাক ঢাকা শহরে পাওয়া অকপ্লনীয়। এমন পন্যের ভান্ডার মিলেছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রে। ১৬মার্চ থেকে ২৪মার্চ পযর্ন্ত ৭দিন ব্যাপী ৭ম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) মেলায় নারী বির্বতন ফ্যাশন হাউজ স্টল থেকে আদিবাসীদের নিজস্ব তৈরিকৃত পন্য কিনতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলন কেন্দ্রের ‘হল অব ফেম’ এ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মহিদ মাহমুদ হুমায়ুন মেলাটি উদ্বোধন করেন। সারা দেশ থেকে ১৮৮জন নারী উদ্যোক্তা এবং ৯২জন পুরুষ উদ্যোক্তা প্রায় ২৮০ টি এসএমই উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পন্য নিয়ে প্রদর্শন ও বিক্রি করছে এই মেলায়।

জানা যায়, এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের পন্যের বাজারজাতকরনে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি জেলা এই প্রথম মেলায় নানা ধরনের হস্তশিল্প, ডিজাইন ও ফ্যাশন ওয়্যারসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের নিজেদের তৈরিকৃত স্বদেশী পন্য মেলায় বিক্রয়ের জন্য আনা হয়। পার্বত্য চট্রগ্রাম ছাড়াও মনিপুরীদের, মোইরাং এবং ফিজোল মনিপুরী অ্যাম্পোরিয়াম নিজস্ব তৈরিকৃত পন্য নিয়ে মেলায় অংশগ্রহন করে। এই বছরে ২৩টি জেলা রাঙ্গামাটি, সিলেট, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও কুমিল্লা সহ সরাসরি এসএমই মেলা ২০১৯ অংশগ্রহন করে।

রাঙ্গামাটি নারী উদ্যোক্তা সুচরিতা চাকমা জানান,ঢাকা শহরে পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে এ বছরে পাহাড়ী আদিবাসীদের একটি মাত্র স্টল। যা একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা।এই মেলায় ১০০ থেকে ৩,০০০ হাজার টাকা মধ্যে মিলেছে ছোট -বড় ও নারী-পুরুষের বিভিন্ন ধরনের পোশাক এবং ব্যাবহার সামগ্রী। তিনি বলেন-আমি দাম সাধারন মানুষের নাগালে রেখেছি। যেন সাধারন মানুষ কম দামের মধ্যে ভাল পন্য কিনতে সামর্থ্য রাখে।

Back to top button