জাতীয়

জাতিসংঘে আদিবাসী সংক্রান্ত বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে জেএসএস প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের ১৭তম অধিবেশন চলাকালে গত ১৭ এপ্রিল ২০১৮ স্থানীয় সময় দুপুর ১:১৫ টায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব হিউম্যান রাইটস কর্তৃক প্রকাশিত আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ও সংগ্রাম, সংঘাত ও শান্তি সম্পর্কিত ‘ইন্ডিজেনাস পিপলস রাইটস এন্ড আনরিপোর্টেড স্ট্রাগল : কনফ্লিক্ট এন্ড পিস’ শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও বিতরণ অনুষ্ঠান অনু্িষ্ঠত হয়। এতে একজন নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব হিউম্যান রাইটস-এর অধ্যাপক এবং জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের সচিবালয়ের সাবেক প্রধান মিজ এলসা স্টামাটাপোলো-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মোড়ক উন্মোচন ও বিতরণ অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল র‌্যাপোটিয়ার ও ফিলিপাইনের আদিবাসী অধিকার কর্মী মিজ ভিক্টরিয়া টাউলি কর্পুজ; আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের সাবেক চেয়ারপার্সন ও ল্যাতিন আমেরিকা আদিবাসী নেত্রী মির্না কানিংহাম কাইন; ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ট্রিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মিজ আন্ড্রেয়া কারমেন; জাতিসংঘ আদিবাসী অধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কর্মব্যবস্থার সদস্য আলবেট বারুম; কন্ট্রোল আর্মস ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও আদিবাসী মনিপুরী অধিকার কর্মী মিজ বীনালক্ষ্মী নেপ্রেম।
উক্ত অনুষ্ঠানে শ্রী মঙ্গল কুমার চাকমা বইটির প্রকাশক ও লেখকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বইটির গুরুত্বপূণ প্রসঙ্গসমূহ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের আদিবাসীদের বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের কালক্ষেপন নীতির কথা তুলে ধরেন।
বইটিতে তিনি বাংলাদেশের আদিবাসীদের প্রকৃত চিত্র গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি তার আলোচনায় সশস্ত্র বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ ও ক্ষমতাসীন দলের কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীসমূহ জুম্ম জনগণের অধিকারের জন্য ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে তুলে ধরে মিথ্যা প্রচার, পার্বত্য অঞ্চলের সর্বত্র দমন, পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার একটি রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আর বলেন, আমরা বিশ্বাস করছি না যে, জোরালো আন্তর্জাতিক চাপ ব্যতিরেকে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক শক্তিশালী উদ্যোগ এবং সহযোগিতামূলক কর্মকান্ড গ্রহণ ও জোরদার করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Back to top button