জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকটে ব্যাহত খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি সড়কে সংস্কার কাজ
রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের অস্তিত্বই নেই অনেক এলাকায়। সড়ক ধসে গিয়ে মিশে গেছে ছড়ার (পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির নালা) সাথে। সড়কর দুপাশের পাহাড় ধসে মাটি পড়েছে সড়কে। দেখতে সড়ক যেন পাহাড়। সড়কে উপরে পড়েছে গাছ। পড়েছে বিদ্যুতের খুটি।
শুক্রবার সকালে রাঙামাটি সদরের শুকরছড়ির খামার পাড়া গিয়ে দেখা যায় খামার পাড়া থেকে কিচিং পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের উপর পড়েছে মাটি ও গাছ। খামার পাড়া ও কিচিং দুটি অংশে সড়ক পুরো ধসে গিয়ে বিলীন হয়ে গেছে। দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ। রোদে হাঁপাচ্ছেন।
কাধে করে আনারস ভর্তি দুটি ঝুড়ি নিয়ে রাঙামাটি আসছিলেন পূণ্যরাম চাকমা (২৮)। তিনি বলেন, বাগানে আনারস পেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সড়কটি বন্ধ থাকায় এগুলো বাজারে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরাও আনারস কিনতে আগ্রহী নয়। এই অবস্থা আরো কয়েকদিন চলছে আনারসগুলো সব নষ্ট হয়ে যাবে।
বুড়িঘাট থেকে দুই ভাই অসুস্থ মাকে আনছেন রাঙামাটিতে। ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন বলেন, আমাদের মানুষ ভাবে না সরকার। বসে বসে আমাদের টাকা খাচ্ছে। আমরা কষ্ট পাচ্ছি। এতদিন গেল সড়ক সংস্কারের কোন খবর নেই।
বিহিত বিধান খীসা বলেন, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের যে ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাঙামাটি- খাগড়াছড়ি সড়কে। এটি সরজমিনে না দেখলে বুঝা যাবে না। সড়ক ধসে পুরো বিলীন হয়ে গেছে। অনেক ক্ষতি হয়েছে। মানুষ খুব কষ্ট পাচ্ছে। এটি দ্রুত সংস্কার জরুরী।
জনবল ও যন্ত্রাপতি সংকটে প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার কাজ ধীর গতিতে চলছে স্বীকার করে সড়ক ও জনপদের রাঙামাটি অঞ্চলের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো আবু মুছা বলেন, আমরা সড়কটি সচলেরজন্য কাজ করে যাচ্ছি। সমস্যা হচ্ছে আমাদের যন্ত্রপাতি ও জনবলের সংকট আছে। আমাদের সড়কে কাজ করার জন্য স্কেভেটর, চেনড্রোজার, গ্রেডার নেই। এগুলো অবশ্যই থাকা জরুরী। একটি মাত্র পেলোডার আছে সেটির বয়স ৪০ বছরের উপরে। এটি দিয়ে কাজ করানো যাচ্ছেনা। আমাদের রাজস্ব খাতে কোন শ্রমিকই নেই।