চিরবিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবিতা-সোহেল হাজং
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা
অবহেলিত উপেক্ষিত জনসমাজ
নিপীড়িত শোষিত।
অধিকারহীনদের জাগেনি অধিকারের চেতনাবোধ
তখনও।
পরিচয়ের পূর্ণ মর্যাদা নিয়ে বাঁচার সাধ
মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শক্তি যেখানে কুণ্ঠ
নিজদেশে পরবাসী, এই আদিবাসী সমাজ।
ঘুমন্ত মানুষের প্রাণের দাবি নিয়ে
তোমার জাগরূক বক্তব্য সেসময়-
“আমরা করুণার পাত্র হিসেবে আসিনি। আমরা এসেছি মানুষ হিসেবে।
তাই মানুষ হিসেবে বাঁচবার অধিকার আমাদের আছে।”
ভিন্ন ভিন্ন জাতির সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে
তুমিই প্রথম বলেছিলে ৭২’এর গণপরিষদে-
“আমি একজন চাকমা।
আমার বাপ, দাদা, চৌদ্দ পুরুষ-কেউ বলে নাই, আমি বাঙালি।”
এদেশ যে বহু ফুলের সাজানো বাগান
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, বহু ভাষার গাঁথূনি!
তোমার ভাষণেই খুঁজে পাই আমি।
১৯৭২ থেকে ২০১১
যখন খুঁজে চলি মুক্তির স্বাদ, তখনো বিবর্ণ পাহাড়।
সংবিধানে আবারো লেখা হলো জাতিতে সকলে বাঙালী।
লুণ্ঠিত বাগান, জাতি-বৈচিত্র্যের অস্বীকৃতি
তাই আজ স্মরি তোমায়।
খুঁজি তোমারই মতন প্রতিবাদ। সংসদে উচ্চ কণ্ঠে বলবে-
আমি একজন চাকমা, সংবিধানে আমার জাতির নাম কোথায়!
-সোহেল হাজং, ৯ নভেম্বর ২০১৯