জাতীয়

চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৫৮,৬০০

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৫৮ হাজার ৬০০। শনিবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই তথ্য জানিয়েছে।
ইউএনএইচসিআর-র আঞ্চলিক মুখপাত্র ভিভিয়ান টান জানান, সবগুলো শরণার্থী শিবির পূর্ণ হয়ে গেছে। মানুষ খুব দ্রুত আসছে। আগামী দিনগুলোতে আরও অনেক বেশি জায়গার প্রয়োজন হবে। ত্রাণ কর্মীরা এতো মানুষকে সহযোগিতা করতে হিমশিম খাচ্ছেন।

শনিবারও বাংলাদেশ-মিয়ানমারকে আলাদা করা নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা এসেছে বলে জানিয়েছেন ভিভিয়ান। তিনি জানান, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেক গর্ভবতী নারী রয়েছেন। আছেন অনেক প্রসূতি। এইসব শিশুদের বয়স একেবারেই কম। অনেকের জন্ম হয়েছে পালিয়ে আাসার সময়েই। তাদের চিকিৎসা সহযোগিতা প্রয়োজন।

এদিকে, রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক সহিংসতায় ৪০০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব আন্তেনিও গুয়ারেস রাখাইন-পরিস্থিতিকে মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা বলে আখ্যা দিয়েছেন। মিয়ানমারকে সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অভিযান সম্পর্ক মহাসচিব-এর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমারে সামরিক অভিযান চালাতে গিয়ে সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী যে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ মহাসচিব। সংযম এবং সুবিবেচনার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার মধ্য দিয়ে চলমান মানবিক বিপর্যয় এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক রাথেংডাংয়ে একদিনেই শতাধিক বেসামরিক হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এরআগে গত বছরের অক্টোবরে সংঘটিত সামরিক অভিযানের সময়ে জাতিসংঘের তরফ থেকে মিয়ানমারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সেখানকার পরিস্থিতিকে তারা আখ্যা দেয় ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হিসেবে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগও তুলেছিল।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। এসব রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে মিয়ানমার। দেশটি তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। বাংলাদেশও রোহিঙ্গাদের প্রবেশে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে ৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাস করছেন।

Back to top button