চলন্ত বাসে ধর্ষণের আসামির জামিন
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে চলন্ত বাসে পোশাকশ্রমিককে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামির মধ্যে একজন আজ বুধবার জামিন পেয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি অভিযোগ গঠনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ‘বিনিময় সার্ভিসের’ চালক হাবিবুর রহমান, ভাড়া আদায়কারী রেজাউল করিম ওরফে জুয়েল ও চালকের সহকারী আবদুল খালেক ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার হন। তাঁরা টাঙ্গাইল কারাগারে আছেন। অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামি মো. আশরাফুল পলাতক।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, কারাগারে থাকা তিন আসামি বুধবার আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. আবদুল মান্নান ২ নম্বর আসামি রেজাউল করিম ওরফে জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌঁসুলি এ কে এম নাসিমুল আক্তার জামিন মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গণধর্ষণের শিকার ওই পোশাকশ্রমিক ধনবাড়ীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল সকালে গাজীপুরের শফিপুর এলাকায় তাঁর কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশ্যে ভোর পাঁচটার দিকে ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে আসেন। ঢাকাগামী একটি বাসে ওঠার পর দেখতে পান আর কোনো যাত্রী নেই। বাসটি তাঁকে নিয়েই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। পথে আসামিরা তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে মধুপুর উপজেলা সদর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পথে ময়মনসিংহ সড়কে নামিয়ে দেওয়া হয়।
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, তদন্ত শেষে এক মাসের মধ্যেই মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান মোস্তফা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এ কে এম নাসিমুল আখতার জানান, মামলাটির অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আশরাফুল এখনো পলাতক। তাঁকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে।