মতামত ও বিশ্লেষণ

চতুর্থ জাতীয় আদিবাসী নারী সম্মেলনঃ ঢাকা ঘোষণা

আমরা বাংলাদেশর পার্বত্য চট্টগ্রাম, উপকূল অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, সিলেট, ও ঢাকা অঞ্চলসহ সারাদেশের আদিবাসী নারীরা “আদিবাসী নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এগিয়ে আসুন” শ্লোগানকে সামনে রেখে ২৭-২৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে ঢাকার সিবিসিবি সেন্টারে চতুর্থ জাতীয় আদিবাসী নারী সম্মেলনে মিলিত হই। এই সম্মেলনে আমরা দেশের বিভিন্ন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর শতাধিক নারী প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছি। এছাড়াও আদিবাসী যুব, শিক্ষার্থী, মানবাধিকারকর্মী, এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে যুক্ত সকল বয়সের বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিরাও উপস্থিত হয়েছেন। আমরা এই সম্মেলন থেকে আদিবাসী নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় আশাবাদী ও অনুপ্রাণিত হয়েছি যে, আমরা আদিবাসী নারীরা এই সম্মেলনে এসে আমাদের নারীদের অঞ্চল ভিত্তিক সমস্যা, লড়াই-সংগ্রাম, অর্জন, সীমাবদ্ধতা এবং ভবিষ্যত করনীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেছি। এই সম্মেলনে আমরা আদিবাসী নারীদের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি, আদিবাসী নারীর মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০, ও আদিবাসী নারী, মাঠ পর্যায়ে ও জাতীয় পর্যায়ে আদিবাসী নারীর নেতৃত্ব¡ বিকাশ, শক্তিশালী নারী সংগঠন গড়ে তোলা, আদিবাসী সমাজ ব্যবস্থায় নারী অধিকার ও আদিবাসী নারী সংগঠনের মধ্যে সংহতি জোরদারকরণ এবং ভবিষ্যত কর্মকৌশল ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছি। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে যেসব নারী সংগঠন আদিবাসী নারী অধিকার প্রশ্নে সংবেদনশীল সেসব সংগঠনগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদারকরণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও সম্মেলনে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের অংশগ্রহণও আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছে।

সম্মেলনে যেসব কারণে বাংলাদেশের আদিবাসী নারীরা বেশি বেশি নির্যাতিত হচ্ছে তা আলোচনা করতে গিয়ে দেখা গেছে যে, একজন আদিবাসী নারী প্রথমত নারী হওয়ার কারণে, দ্বিতীয়ত আদিবাসী হওয়ার কারণে, তৃতীয়ত শ্রেণী-বিভক্ত ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে, চতুর্থত প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করার কারণে, পঞ্চমত ভিন্ন সংস্কৃতি ধারণ করার কারণে, ষষ্ঠত দরিদ্রতার কারণে, সপ্তমত সাম্প্রদায়িক ও অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু থাকার কারণে আমরা আদিবাসী নারীরা নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার বেশী হচ্ছি। এর পাশাপাশি অন্যান্য যে কারণগুলো উঠে এসেছে সেগুলো হলো আদিবাসীদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকা, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব, ন্যায্য বিচারের অভাব, শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসরতা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোড়ামি ইত্যাদি।
আদিবাসী নারীরা যেসবক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে সেসব আলোচনা করতে গিয়ে যা পাওয়া গেছে তা হলো, আদিবাসী নারীরা পরিবারে, নিজ সমাজে, নিজ সমাজের বাইরে, শহুরে জীবনে, রাষ্ট্রীয়ভাবে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, রাস্তাঘাটে ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং যাদের দ্বারা আদিবাসী নারীরা বেশী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে সেগুলো হলো: রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভূমিদস্যু, হীন মানসিকতা সম্পন্ন পুরুষ, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা পোষণকারী নারী-পুরুষ, সামজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, ধর্মীয় গোড়ামির ধারক, আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু বা সহকর্মীদের দ্বারা, পার্বত্য চট্টগ্রামের সেটেলার বাঙালিদের দ্বারা এবং রাজনৈতিক কর্মীদের হাতেও আমরা আদিবাসী নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।
সম্মেলনে আগত সকল অঞ্চলের আদিবাসী নারীদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে একেবারেই অঞ্চলভিত্তিক বেশ কিছু সমস্যার কথা উঠে এসছে। যেখানে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষেত্রে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া, স্বাধীন রাষ্ট্রের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সামরিক শাসন অব্যাহত থাকা, পর্যটন-রিজার্ভ ফরেষ্ট-লিজ-ক্যাম্প স্থাপন ইত্যাদি অজুহাতে ভূমি জবরদখল এবং সেটেলারদের সেখানে পুনর্বাসন করা। উত্তরবঙ্গের আদিবাসী নারীদের ক্ষেত্রে সমতল ভূমি কমিশন না থাকার কারণে ভূমি থেকে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা ও মজুরি বৈষম্যর কথা উঠে আসে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ফরেস্ট ঘোষণা, ইকো পার্ক ও বন বিভাগের মামলা, সিলেট অঞ্চলের ক্ষেত্রে পানপুঞ্জি ও চা বাগান সংক্রান্ত সমস্যা, উচ্ছেদ আতঙ্ক এবং উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষেত্রে যোগাযোগ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যার কথা উঠে আসে।
আদিবাসী নারীর প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘণের সুষ্ঠু বিচার প্রদানে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রের অবহেলা এবং বিশেষ কোন উদ্যোগ না নেওয়ার প্রসঙ্গও চলে আসে। শুধু তাই নয়, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র যে পলিসি ও আন্তর্জাতিক আইন গ্রহণ করেছে সেটারও যথাযথ বাস্তবায়নের অবহেলা আলোচনায় ওঠে এসেছে। আদিবাসী নারীদের নেতৃত্ব বিকাশ ও রাজিৈনতক ক্ষমতালাভে রাষ্ট্র এখনও তৎপর নয় বলেই পরিলক্ষিত হচ্ছে।

উক্ত সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা এই সম্মেলন থেকে আদিবাসী নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিম্নলিখিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়:
১) আদিবাসী নারী সমাজের উপর চলমান পারিবারিক, সামাজিক, সাম্প্রদায়িক ও রাষ্ট্রীয় বৈষম্য, বঞ্চনা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম পরিচালনা করা;
২) দেশের বিভিন্ন স্তরে আন্দোলনরত আদিবাসী নারী সংগঠন, কর্মী ও সংগঠকদের মধ্যে যোগাযোগ, ঐক্য ও সংহতি জোরদার করা;
৩) সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে আদিবাসী নারীর অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সংগ্রাম পরিচালনা করা;
৪) জাতীয় পর্যায়ে মূলধারার জনগোষ্ঠী কর্তৃক পরিচালিত নারী সংগঠন ও আন্দোলনের সাথে আদিবাসী নারী সংগঠন, কর্মী ও সংগঠকদের যোগাযোগ, ঐক্য ও সংহতি জোরদার করা;
৫) আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আদিবাসী নারী সংগঠন ও নেটওয়ার্কসহ আদিবাসী জাতিসমূহের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সাথে অধিকতর যোগাযোগ, ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলা;
৬) রাষ্ট্রীয়, সমাজ ও পারিবারিক জীবনে আদিবাসী নারীদের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনমত গঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করা;
৭) সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে আদিবাসী নারী নেতৃত্ব গঠনের কার্যক্রম জোরদার করা;
৮) একটি সমতাভিত্তিক আদিবাসী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করা;
৯) একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা।
১০) আদিবাসী নারীদের সমস্যা চিহ্নিত করে সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা;
১১) আদিবাসী নারীদের নেতৃত্ব বিকাশ ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মসূচী গ্রহণ এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সম্মেলন ইত্যাদি আয়োজন করা;
১২) আদিবাসী নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে লবি, এডভোকেসি এবং মতবিনিময় করা;
১৩) আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের একটি নিয়মিত প্রকাশনা বের করা;
১৪) বাংলাদেশের আদিবাসী নারীদের সহিংসতার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি পর্যবেক্ষক কমিটি গঠন করা ও এই কমিটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পরপর আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস এবং সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা পেশ করা;
১৫) আদিবাসী সমাজের নারী পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণের জন্য সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা।
সম্মেলনে উপস্থিত সকল নারীদের সম্মতিতে নিম্নোক্ত সুপারিশমালা/দাবিনামা পেশ করা হয়:
১) জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার পরিষদগুলোতে আদিবাসী নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা;
২) প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীসহ সরকারি চাকরির সকরক্ষেত্রে আদিবাসীদের জন্য ৫% কোটা সংরক্ষণ করা এবং আদিবাসী নারীদের বিশেষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
৩) আদিবাসী নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সহিংসতার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা;
৪) সহিংসতার শিকার আদিবাসী নারী ও শিশুদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা প্রদান করা;
৫) জাতীয় ও স্থানীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে আদিবাসী নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে আদিবাসী নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সম্পত্তিতে আদিবাসী নারীর উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা, আদিবাসী শিশুদের জন্য মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা।
৬) সকল ক্ষেত্রে আদিবাসী নারীদের সিদ্ধান্ত-নির্ধারণী ভূমিকাসহ তাদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা;
৭) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ, দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা এবং এলক্ষ্যে সময়সূচি ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা;
৮) সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের বেহাত হওয়া ভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য একটি পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করা;
৯) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর জাতিসত্তা, ভাষা ও সংস্কৃতিসহ সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা।
১০) ২০২১ সালের আদমশুমারীতে আদিবাসী জাতিসত্তার বিভাজিত তথ্য সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা যেন প্রত্যেকটি জাতিসত্তার আর্থ-সামাজিক বিষয়ে আলাদা আলাদা তথ্য পাওয়া যায়।
জাতিসংঘসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে:
১) ইউএন উইমেনসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন বিশেষায়িত সংস্থাগুলো কর্তৃক আদিবাসী নারী সংগঠনের সাথে অংশীদারিত্ব কার্যক্রম গ্রহণ করা;
২) জাতিসংঘ কর্তৃক আদিবাসী নারীদের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিং সেল তৈরি করা;
৩) জাতিসংঘের বিভিন্ন স্পেশাল রেপোটিয়ার এর মাধ্যমে আদিবাসী নারীদের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা;
মানবাধিকার কমিশনের কাছে:
১) নির্যাতনের শিকার আদিবাসী নারীদের আইনী সহায়তা ও পরামর্শ প্রদানের ব্যবস্থা করা;
২) মানাবাধিকার কমিশনে আদিবাসী নারী প্রতিনিধিত্বের ধারবাহিকতা বজায় রাখা;
৩) আদিবাসী নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতি ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা ও মানবাধিকার উন্নীতকরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
সুশীল সমাজের কাছে:
১) আদিবাসী নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ আদিবাসী নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সম্মিলিতি সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করা;
২) সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক আদিবাসী নারী অধিকার সংক্রান্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা;
আদিবাসী সংগঠনগুলোর কাছে:
১) আদিবাসী নারী সংগঠনগুলোকে সহযোগি সংগঠন হিসেবে সাথে নিয়ে করে কাজ করা এবং আদিবাসী নারী সংগঠনগুলোর সাথে সমন্বয় করে কাজ করা;
২) প্রথাগত ব্যবস্থায় এবং আদিবাসী সমাজে আদিবাসী নারীদের প্রতি যেসব বৈষম্য আছে সেগুলো দূরীকরনে কাজ করা এবং প্রথাগত প্রতিষ্ঠানে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা;
৩) আদিবাসী নারী নেতৃত্বকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করা;
৪) আদিবাসী নারীর সামাজিক নিরাপত্তা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
৫) আদিবাসী নারীদের সম্পত্তির মালিকানার দাবিকে জোরদার করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
৬) নারী-পুরুষের মধ্যে বিরাজমান পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা দূরীকরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

………………………………………
বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক চতুর্থ সম্মেলনের গৃহীত ঢাকা ঘোষণা

Back to top button