চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় পিসিপির বিবৃতি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, কে দায়ী করে জাতীয় পত্রিকাগুলো যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে এবং পিসিপিকে সাংগঠনিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য হামলার দায়ভার চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
পিসিপি(জেএসএস) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ১৮ তারিখ কৃতি চাকমা ও তার সঙ্গীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে খেলতে গেলে সেখানে ইউপিডিএফ এর দ্বারা আক্রমনের শিকার হয় । রুপন, অংকন, অর্পন ও ত্রিরত্নের নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের একদল লোহার রদ, ক্রিকেট স্টাম্পসহ প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কৃতি চাকমা ও তার ক্রিকেট খেলার সঙ্গীদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। অতর্কিত আক্রমণে কৃতি চাকমা, ম্যাকলিন চাকমা ও সাধারণ শিক্ষার্থী সোহাগ চাকমা আহত হয়। তাদের আক্রমণের খবর পেয়ে মিন্টু চাকমা, তরুন বিকাশ চাকমা, সুমেধ চাকমা, আশুতোষ চাকমাসহ সিনিয়ররা সমাধানের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। দ্বিতীয়বার হামলায় চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তরুন বিকাশ চাকমা, মিন্টু চাকমা, সুমেধ চাকমাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আবার রাতে হলে সোহাগ এবং তার বন্ধু সৌরভ চাকমাকে আক্রমন করে এবং অপহরণ করার উদ্দেশ্যে তুলে নিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের সামনে এসে সৌরভ চাকমা চিৎকার করলে সিনিয়র ভাইদের মাধ্যমে পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরই জের ধরে পরদিন ১৯ তারিখ সকালে নাস্তা করে ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইট এলাকায় কৃতি চাকমা ও তরুন বিকাশ চাকমার উপর নাহারকুঞ্জ কটেজের সামনে হামলা করে এবং তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু প্রতিরোধের মুখে তারা পালাতে বাধ্য হয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়রি দায়ের করা হয়েছে।
বিবৃতিতে পিসিপিকে জড়িয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট খবর প্রকাশের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরণের খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির দাবি এবং ভবিষ্যৎতে যাতে ক্যাম্পাসে এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দাবি জানানো হয়।