গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হামাসের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গাজা অঞ্চলে হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।আর ‘অপারেশনকালে’ এক কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলও।
নূর বারাকা নামে ওই কমান্ডারকে হত্যা করতে ইসরায়েলি কমান্ডোদের গুপ্তহামলা (স্টিং অপারেশন) চালানোর খবর জানাজানি হয়ে গেলে এই উত্তেজনা ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে গাজা উপত্যকায়। রোববারের (১১ নভেম্বর) ওই হামলার পর ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে গাজা থেকে রকেটও ছোড়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি দল চোরাগোপ্তা কায়দায় একটি বেসামরিক গাড়িতে করে গাজা উপত্যকার তিন কিলোমিটার ভেতরে অনুপ্রবেশ করে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের কাছে তারা চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালিয়ে হামাসের নেতা নূর বারাকাকে হত্যা করে।
এর প্রেক্ষিতে হামাসের সদস্যরা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। সেসময় দু’পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় শুরু হয়। এসময় ইসরায়েলি কমান্ডোদের সরিয়ে নিতে একটি যুদ্ধবিমান থেকে অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এতে প্রাণ যায় আরও ছয় ফিলিস্তিনির।
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গত ২ জুনও গাজায় হামলা চালায়। পশ্চিমা অনেক দেশে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত হামাসকে লক্ষ্য করেই সে হামলা চালানোর দাবি করে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া এ উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে ২০১৪ সালের যুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি বলে মনে করা হচ্ছে।
সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে দুই পক্ষকেই আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।