খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগে হাই কোর্টের স্থিতিবস্থা জারি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূণ্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উপর তিন মাসের জন্য স্থিতিবস্থা জারি করেছে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম ইমদাদুল হক ও ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ স্থিতিবস্থা জারি করেন।
রীট পিটিশনকারীর পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় জানান, খাগড়াছড়ি জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত চলাকালীন নিয়োগ প্রক্রিয়া চলতে থাকায় পলাশ চৌধুরী ও মো. আবুল কালাম আজাদ নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রীট পিটিশন নং ১৩৩৬২ দায়ের করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট জেলা পরিষদের অধীনস্থ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয় জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন জেলা সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।
সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় ওইদিন পৌর শহর এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ঘেরাও কর্মসূচি পণ্ড হওয়ায় ১৮ সেপ্টেম্বর হরতাল ও ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৩ দিন পর্যন্ত সড়ক অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি।
কিন্তু অবরোধে প্রথম দিন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অভিযোগ তদন্তে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করায় অবরোধ প্রত্যাহার করে অবরোধ আহ্বানকারীরা।
জেলা পরিষদের একটি সূত্র জানায়, গত শুক্রবার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনস্থ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর ২৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। এর এই স্টে অর্ডারের অবস্থা কি হবে তা অনিশ্চিত।
সূত্রমতে, আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মস্থলে যোগদানের সময় থাকলেও ইতিমধ্যে অনেকে স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।
এ ব্যাপারে রীটকারীর আইনজীবী বলেন, তদন্ত কমিটির কাজ চলাকালীন এ নিয়োগ কোনো অবস্থায় বৈধ হবে না।