অন্যান্য

খাগড়াছড়িতে নারীদের মিছিলে বিজিবি-পুলিশের হামলার ঘটনায় সিএইচটি কমিশনের উদ্বেগ প্রকাশ

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে গত ৭ জুন খাগড়াছড়ির স্বনির্ভ্র বাজারে হিল উইমেন্স ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত শান্তিপূর্ণ্ মিছিলে বিজিবি-পুলিশ হামলা চালায়। এসময় মিছিলে অংশগ্রহণকারী নারীদের সাথে অশোভন আচরণ ও তাদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ্ করা হয় এবং মিছিল থেকে কমপক্ষে ২১ জনকে আটক করা হয়। পরে ১৩ জনকে ছেড়ে দিলেও বাকি ৮ জনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করায় পার্ব্‌ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং এ ধরনের হামলা ও আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

পার্ব্‌ত্য চট্টগ্রাম কমিশন আরও উদ্বিগ্ন যে, মাত্র ৫ দিন আগে রাঙ্গামাটির লংগদুতে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সামনে দুর্বৃ্ত্তরা পাহাড়িদের কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়ে দুই শতাধিক বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করেছে। সেসময় তারা নিষ্ক্রিয় দর্শ্‌কের ভূমিকা পালন করেছেন। অন্যদিকে একুশ বছর আগে অপহৃত হওয়া পাহাড়ি নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাতে গেলে খাগড়াছড়িতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ্ করে তাদের আহত করা হয়েছে। যে কোন গণতান্ত্রিক দেশে সভা, সমাবেশ করার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রয়েছে। আমাদের সংবিধানেও ৩৭ ও ৩৯.২(ক) ধারায় সমাবেশের অধিকার, বাক্-স্বাধীনতার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তাই সেদিন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের শান্তিপূর্ণ্ মিছিলে বিনা উস্কানিতে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য নারীদের সাথে অশোভন আচরণ ও মারধর করেছে তাদের চিহ্নিত করে সাংবিধানিক অধিকার হরণের দায়ে যথাযথ আইন প্রয়োগ করে শাস্তির ব্যব্স্থা গ্রহণ করা হোক। একইসাথে পার্ব্‌ত্য চট্টগ্রাম কমিশন আটককৃত নারীদের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারেরও জোর দাবি জানাচ্ছে।

হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণের একুশ বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু কল্পনা অপহরণ মামলার তদন্ত এখনও চলছে। পার্ব্‌ত্য চট্টগ্রাম কমিশন কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার পুনঃতদন্ত কাজ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে দ্রুত সম্পন্ন করে দোষীদের সাব্যস্ত করা ও তাদের বিচার করারও জোর দাবি জানাচ্ছে।

Back to top button