খাগড়াছড়িতে অজ্ঞাত যুবক দ্বারা এক আদিবাসী কিশোরী ধর্ষিত
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মারমা আদিবাসী ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার ৩নং পানছড়ি ইউপির যৌথখামার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে যৌথখামার গ্রামের রাপ্রু মারমার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে একই গ্রামের ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া উমাচিং মারমাকে নিয়ে বাড়ির পাশে বাঁশ ঝাড়ে বাঁশের করুল তুলতে যায়। এ সময় অজ্ঞাতনামা এক যুবক মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
খবর পেয়ে পানছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আ. জব্বারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে খাগড়াছড়ি থেকে ছুটে আসে জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. রইছ উদ্দিন। তিনি জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। ঘটনার পর পরই পুলিশ তৎপর রয়েছে। আসামীকে সনাক্ত করতে পুলিশ সদস্যরা ইতিমধ্যে মাঠে কাজ করছে।
এলাকাবাসী জানান, ঘটনার সময় সাথে থাকা উমাচিং মারমার চিৎকার শুনে জঙ্গলে কাজ করতে আসা দমদম গ্রামের আক্কাছ আলীর স্ত্রী আয়েশা বেগম এগিয়ে এলে ধর্ষক দৌড়ে পালিয়ে যায়।এ সময় এলাকাবাসী ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। ধর্ষিতা জানায়, সে যুবকটির নাম জানে না, তবে দেখলে চিনবে।
পানছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আ. জব্বার জানান, এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন দু’জনকে আটক করলেও ধর্ষিতা তাদের সনাক্ত করেনি। তাছাড়া ধর্ষিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।