কল্পনা চাকমা এখন কোথায়? :: বিপ্লব রহমান
জ্বলি ন’ উধিম কিত্তেই!
যিয়ান পরানে কয় সিনে গরিবে
বযত্তান বানেবে বিরানভূমি
ঝারান বানেবে মরুভূমি
গাভুর বেলরে সাঝ
সরয মিলেরে ভাচ।
রুখে দাঁড়াব না কেন!
যা ইচ্ছা তাই করবে
বসত বিরানভূমি
নিবিড় অরণ্য মরুভূমি
সকালকে সন্ধ্যা
ফলবতীকে বন্ধ্যা।
…কবিতা চাকমা।
যতবারই দূর পাহাড়ে যাই, ততবারই মনে পড়ে হারিয়ে যাওয়া পাহাড়ি মেয়ে কল্পনা চাকমার কথা। আজ থেকে ঠিক ১৪ বছর আগে [এখন ১৯ বছর] ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙামাটির দুর্গম বাঘাইছড়ির নিউ লাইল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন তিনি। কল্পনা চাকমা ছিলেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদিকা।
আমি তখন দৈনিক আজকের কাগজের এক খুদে রিপোর্টার। এক সন্ধ্যায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) নেতা সঞ্চয় চাকমা (পরে শান্তি চুক্তিবিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমেক্রেটিক ফ্রন্ট_ইউপিডিএফের দলছুট নেতা, এখন প্রবাসী) আমাকে টেলিফোনে খবর দেন বিপ্লব, আমাদের একটি মেয়ে রাঙামাটি থেকে হারিয়ে গেছে। আমি বিষয়টি পরিষ্কার করে জানতে চাই, হারিয়ে গেছে মানে? সঞ্চয় বলেন, মানে একটি বিশেষ মহল সন্ত্রাসী কায়দায় অস্ত্রের মুখে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। …
আমি ঘটনাটি তাকে বিস্তারিত টেলিফোনে না বলার অনুরোধ করি। ওই রাতেই হাজির হই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ছাত্র সঞ্জয়ের জগন্নাথ হলের দক্ষিণ বাড়ির ৩২৪ নম্বর কক্ষে। ওই কক্ষটি চারজন ছাত্রের জন্য বরাদ্দ হলেও গোটা দশেক পাহাড়ি ছাত্র সেখানে বাস করতেন। আমি, সঞ্চয় ও পিসিপির আরো কয়েকজন মিলে এ নিয়ে আলোচনা করি। আমি পিসিপি নেতাদের জানাই, খবরটি পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রকাশ করা দরকার। কারণ এই একটি অপহরণ সংবাদের মধ্য দিয়েই পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের আগে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া বহু গণহত্যা, গণধর্ষণ, গুম-খুন, অপহরণসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর ফাঁস করা সম্ভব। সঞ্চয় আমাকে জানান, পিসিপির পক্ষ থেকে শিগগির একটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। এই দলটি সরেজমিনে খোঁজখবর নিয়ে জানবে, কল্পনা চাকমা এখন কোথায়? আমি তাঁকে অনুরোধ করি, এই দলে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। তিনি রাজি হন। ওই আলাপে তিনি আরো জানান, সরেজমিনে গিয়ে কল্পনা চাকমা অপহরণ সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য আমি যেন তৈরি থাকি। শিগগির আমাকে খবর দেওয়া হবে।
এই ফাঁকে জানিয়ে রাখি, সে সময় পাহাড়ের এসব মারাত্দক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশ হতো না। একটি বিশেষ মহল রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান_পার্বত্যাঞ্চলের এই তিনটি জেলার সাংবাদিকতা তো বটেই_প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, উন্নয়ন, জনজীবনও নিয়ন্ত্রণ করত। তাই স্থানীয়দের পক্ষে এসব তথ্য-সংবাদ প্রকাশ করা প্রায়ই সম্ভব হতো না। তখন পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ ব্যবস্থাও ছিল খুব নাজুক। একে পাহাড়ের পথ-ঘাট দুর্গম, তার ওপর অ্যানালগ টেলিফোনের যুগ চলছে। উপজেলা পর্যায়ে এসব ফোন মাসের পর মাস বিকল থাকে। মোবাইল ফোনের সুবিধা পাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। এ ছাড়া যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা সত্ত্বেও প্রায় পাহাড়ের এখানে-সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সাবেক গেরিলা গ্রুপ শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র লড়াই চলছে। সব মিলিয়ে পাহাড়-যাত্রা ছিল ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ।
এর পরেও পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে জাতীয় দৈনিকগুলোতে কল্পনা চাকমা ‘নিখোঁজ’ হওয়া-সংক্রান্ত কিছু টুকরো খবর প্রকাশ হয়েছিল। এরই মধ্যে ঘটে যায় আরেক দুঃখজনক ঘটনা। কল্পনা চাকমাকে উদ্ধারের দাবিতে ২৭ জুন পিসিপি তিন পার্বত্য জেলায় হরতালের ডাক দেয়। হরতাল চলার সময় বাঘাইছড়িতে পিসিপির মিছিলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে নিহত হন পিসিপির রূপম, সুকেশ, মনতোষসহ চারজন ছাত্রকর্মী। সংবাদপত্রে এই খবরটিও ছোট আকারে প্রকাশ হয়।
জুলাইয়ের প্রথমার্ধে সঞ্চয় চাকমা আমাকে খবর দেন, আমার যাত্রার দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। ঢাবির জগন্নাথ হলে সাক্ষাতের পর আমার গাইড ঠিক করা হয় দীলিপ কুমার চাকমা নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অনার্সের ছাত্রকে। দীলিপও পিসিপিকর্মী, তাঁর গ্রামের বাড়ি বাঘাইছড়ির কাচালং নদীর পাড়ে, কল্পনাদের বাড়ির কাছেই। এ কারণে সে ওই এলাকার পথ-ঘাট খুব ভালো জানে।
এক ভোরে দীলিপসহ আরো কয়েকজন পিসিপিকর্মীর সঙ্গে আমি যাত্রা শুরু করি। তখন ঢাকার সঙ্গে তিন পার্বত্য জেলার সরাসরি যাত্রীবাহী যোগাযোগের মাধ্যম ছিল লক্কড়-ঝক্কড় ‘ডলফিন পরিবহন’। কিন্তু আমরা পাহাড়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্ব্বার্থে ডলফিন পরিবহন এড়িয়ে চলি। গুলিস্তান থেকে মিনিবাস ধরে ফেনী পর্যন্ত পৌছাই। এরপর আবারও ‘পার্বতী পরিবহন’-এর মিনিবাস ধরে খাগড়াছড়ি। সেখানে থেকে চাঁদের গাড়ি (ওভারলোডেড ভাড়ার জিপ) ধরে দীঘিনালা হয়ে বাঘাইছড়ি বাজার। এরপর দীর্ঘ পথ হেঁটে আমরা পৌছাই স্থানীয় একটি কিয়াং ঘরে। দুপুর গড়াতে শুরু করেছে ততক্ষণে। কিয়াংয়ের কয়েকজন ভান্তে আমাদের কল্পনাদের এলাকা সম্পর্কে খোঁজখবর দেন। পিসিপিকর্মীরা তাঁদের কাছে বারবার জানতে চাইছিলেন, সেখানে যাওয়াটা কতটুকু নিরাপদ? কারণ তাঁদের সবটুকু উদ্বিগ্নতা ঘিরে রাখে ঢাকা থেকে আসা সাংবাদিকটিকে ঘিরেই।
ভান্তেরা আমাদের আশস্ত করেন ২৭ জুনের হতাহতের পর কল্পনা চাকমাদের এলাকা এখন শান্ত। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে কল্পনাদের গ্রামে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক হবে না। প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিতে বড়জোর দুই-এক ঘণ্টা সেখানে কাটানো যেতে পারে। এরই মধ্যে সেখানে এসে হাজির হন এক অতি বৃদ্ধা সন্ন্যাসি। সবাই তাকে ‘সাধু মা’ বলে ডাকেন। তাঁর উচ্চারণে ফুটে ওঠে আদি চাকমা ভাষার বোল। তিনি ভেবেছিলেন, আমরা বোধহয় কল্পনা চাকমার উদ্ধারকারী দল। করজোড়ে কপালে প্রণাম ঠেকিয়ে তিনি বলেন, তোমরাই বুঝি ভগবান!
ওই কিয়াং ঘরেই মাদুর পেতে আমরা চাকমা ব্যঞ্জনে সেরে নেই দুপুরের খাবার। খানিকটা বিশ্রাম নিয়েই আমরা আবার হাঁটতে শুরু করি। শেষ বিকেলের রোদে আমরা পেঁৗছাই রূপকারী গ্রামে। সেখানে রূপালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের এক কোণে মঞ্চ নির্মাণ করে পিসিপি শোক সভার আয়োজন করেছে। মঞ্চের পেছনে সদ্য নির্মিত চারটি কালো রঙের স্মৃতিস্তম্ভ মনে করিয়ে দেয় কল্পনা চাকমাকে উদ্ধারের দাবিতে চারজন তরুণের জীবনদানের কথা। শোকসভাকে ঘিরে কয়েকটি গ্রামের আদিবাসী নারী-পুরুষ-শিশু ভিড় জমান। পুরো স্কুল মাঠ যখন কানায় কানায় পূর্ণ, তখন মঞ্চে ওঠে কল্পনা চাকমাকে নিয়ে লেখা গান ধরেন স্কুলশিক্ষক ব্রহ্মকুমার (লালফা) চাকমা। এবার সমবেশে ওঠে শব্দহীন কান্নার রোল। মঞ্চে পিসিপির ছেলেমেয়েরা বক্তৃতা দিতে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেলেন, কান্নায় তাঁদের গলা বুজে আসতে চায়।
তথ্য সাংবাদিকতার পেশাগত কাজে অনেক আগেই প্রত্যক্ষ দর্শন হয়েছে লোগাং (১০ এপ্রিল ১৯৯২), নান্যাচর গণহত্যা (১৭ নভেম্বর ১৯৯৩) বা ত্রিপুরার একাধিক শরণার্থী শিবির (১৯৯৬)। এসব নিজস্ব অভিজ্ঞতায় এমন বোবাকান্না দেখা হয়েছে বারংবার। এরপরও ওই শোকার্ত জনতার কান্নাটুকু আমায় ঘিরে রাখে, ঝাপসা হয়ে আসতে চায় চশমার কাচ।
স্মৃতির মিনারে পুষ্পার্ঘ্য দেওয়ার পর আবার আমরা হাঁটতে থাকি ফ্যাকাশে সন্ধ্যায়। একজন পাহাড়ির বাড়িতে সামান্য কিছু ভাত-তরকারি খেয়ে শুরু হয় ঝিরিঝিরি বৃষ্টির ভেতরেই টর্চের আলোয় পথ চলা। লম্বা সরু সারিতে আমরা পাহাড়, জলকাদা ভেঙে চলি। আমার সামনে পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশ। পেছনে হেঁটে আসে তাদেরই আরেক অংশ। একবার শুধু একটি বিষধর পাহাড়ি সাপ পথ আগলে দাঁড়ায়। টর্চের আলোতে সাপটিকে দেখে সবাই দ্রুত সতর্ক হয়ে ওঠেন। আমি বিস্ময়ের সঙ্গে দেখি স্কুল-কলেজের ছোট ছেলেমেয়েরা কি অসীম সাহসের সঙ্গে পা থেকে স্যান্ডেল খুলে নিয়ে সাপটি তাড়ায়। সাপটি মেরে ফেলা না ফেলা নিয়েও তাদের মধ্যে সামান্য মতবিরোধ হয়। পরে আবারও মাইলের পর মাইল পাহাড় ভেঙে বৃষ্টিতে ভিজে পিচ্ছিল দুর্গম পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আছাড় খেতে খেতে এক সময় আমরা পৌছাই কল্পনাদের বাড়ি।
এক চিলতে উঠোন ঘিরে ছোট একটি কুঁড়েঘর, অভাবের চিহ্ন সর্বত্র প্রকট। ঘুটঘুটে অন্ধকারে হেরিকেন আর টর্চ হাতে পুরো গ্রাম ভেঙে পরে আগত বাহিনীকে দেখতে। কথা হয় কল্পনার জুম চাষি দুই ভাইয়ের সঙ্গে। তখনো পুরো পরিবারটির আতঙ্ক কাটেনি। নিরাপত্তার জন্য বৃদ্ধ মা বাঁধুনী চাকমাসহ তাঁদের রাত কাটছে অন্যের বাড়িতে।
তাঁরা দুজন অনর্গল চাকমায় বর্ণনা করেন কিভাবে অস্ত্রের মুখে পোশাকধারী সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে যায় জাতীয় নির্বাচনের ভোটের রাতে তাদের আদরের ছোট বোন কল্পনাকে। এক ভাই বেশ কিছুদূর সন্ত্রাসীদের অনুসরণ করলে তাকে মেরে ফেলার জন্য ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। প্রাণ বাঁচাতে কাচালং নদীতে ঝাঁপিয়ে পরে জীবন রক্ষা হয় তাঁর। কিন্তু এরপর আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি তাঁদের বোনের। থানায় এ-সংক্রান্ত অপহরণের মামলা দিতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
কল্পনাদের বাড়ির উঠানেই কথা হয় নানা বয়সী গ্রামের মানুষের সঙ্গে। এমনকি সাদা পোশাকের একজন শান্তিবাহিনীর গেরিলা ক্যাডারের সঙ্গেও। তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম কল্পনা চাকমা অপহরণসংক্রান্ত খবরের মূল্যায়ন। তিনি তখন অস্পষ্ট অন্ধকারের ভেতর স্পষ্ট চোখে চোখে রেখে আমাকে বলেছিলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব অনুসন্ধান চালাচ্ছি। পাহাড়ে বরাবরই নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। কল্পনা চাকমা অপহরণ সেই ঘৃণ্য রাজনীতিরই একটি অংশ।…
সে দিন কল্পনার মা বাঁধুনী চাকমার দেখা মেলেনি। তবে আরো কিছু দিন পরে বৃদ্ধা মা চোখ মুছতে মুছতে বলেছিলেন, তাঁর একমাত্র মেয়ে অপহরণের পর এই অপহরণকে নিয়ে হেলিকপ্টার-রাজনীতির কথা।
পরে বাঘাইছড়ির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, রাঙামাটি পুলিশ সুপার, সেনা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের ভাষ্যসহ দৈনিক আজকের কাগজে কল্পনা চাকমা অপহরণের ওপর যে কয়েকটি প্রতিবেদন লিখেছিলাম, এর একটির সূচনা কথা ছিল : রক্তের ধারা পেছনে যায় না!…
আজ এত দিন পরে যখনই কল্পনা চাকমা অপহরণ, সেনাবাহিনীর (২৪ ডিভিশন, পদাতিক) পক্ষ থেকে কল্পনার সন্ধানদাতাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা, তাকে নিয়ে করা দেশি-বিদেশি অসংখ্য সংবাদ, কলাম ও ব্লগ, মিছিল, মিটিং, মানববন্ধন, নারী সংগঠনগুলো আন্দোলন ও পরে তাদের দীর্ঘ বিস্মৃতি, বিচারপতি আব্দুল জলিলের নেতৃত্বাধীন সরকারি তদন্ত কমিটি ও তার হিমাগারে বন্দি তদন্ত রিপোর্টের কথা ভাবি…তখন বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করি, গত প্রায় দেড় যুগ ধরে কল্পনা অপহরণের মতো এত বড় একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় বাংলাদেশ নামক কথিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বহন করে চলছে! তাঁর পাহাড়ি বন্ধুরা সহকর্মী হারানোর বেদনা বহন করে চলেছেন ওই দেড় যুগ ধরেই।…
অন্যদিকে প্রশ্ন জাগে, আমরা যাঁরা নিজেদের শুভবুদ্ধির মানুষ বলে দাবি করি, সেসব সংখ্যাগুরু বাঙালিদের মনের গহিনে কী দেড় যুগের পুরনো এই কাঁটাটি কোনোই রক্তক্ষরণ করে না? কোথায় আজ কল্পনা চাকমা?
বিপ্লব রহমান; লেখক ও সাংবাদিক