এসো জুম্ম তরুন প্রতিশোধের শপথে প্রয়োজনে খেলি ভাঙনের খেলা- সতেজ চাকমা
জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো,
আর কতদিন বলো সইবো
এবার আদেশ করো তুমি ,আদেশ করো
ভাঙনের খেলা খেলবো!!
এই গানটি অনেক সময় শোনা হয়।জীবনের বিভিন্নি প্রেক্ষাপটে যখন আঘাত আসে আশার মশাল যখন নিভু নিভু হয়ে জ্বলতে থাকে তখন এমন কথা ও সুরের সমন্বয়ে সৃষ্ট গানের দুএকটি কলি শুনলেই কেমন যেন দুচোখ বেয়ে অবিরাম পড়তে থাকে অনুরাগ,অভিমান,ক্ষোভ ও দু:খের জল।আমি যদি ভূল না করি গানটি সম্ভবত দেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া ”জন্ম থেকে জ্বলছি” চলচ্চিত্রের একটি গান । গানটির রচয়িতা আমজাদ হোসেন এবং সুরকার আলাউদ্দীন আলী।সে যাই হোক, প্রিয় পাঠক বন্ধু গানটির আদ্যপান্ত জানানোর উদ্দেশ্য এ লেখার কাজ নয় ।কিন্তু এই গানটি এখন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি জুম্ম ছাত্র-যুবকের শোনা উচিত বারংবার আর গানটির উপরোক্ত কলিগুলো যে বার্তা দিতে চাচ্ছে তার নির্যাসটুকু নিয়ে আমাদের মত তরুণ ছাত্রদের আরো সংগঠিত হওয়ার সময় এসছে বলবো না বেশ গড়িয়েই যাচ্ছে। আমি,আপনি এবং আমরা সবাই জানি আমাদের প্রিয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভীষণ এক করুণ বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।সেই ব্রিটিশদের আধা-উপনিবেশিক শাসন থেকে শুরু করে, পাকিস্তান আমল পেরিয়ে বর্তমানের কথিত অসাম্পদায়িক,গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সৃষ্টি উত্তর সময়ে পদার্পন করেও পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগনের রেহায় মিলছে না ঐ উপনিবেশিক শাসনের কাঠামো থেকে ।১৯৭২ সালে রচিত সদ্য স্বাধীন দেশের সংবিধানে দেশে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর জাতীয়তা ও পরিচয়ের স্বীকৃতি না দিয়ে সংবিধানের ৬ষ্ঠ অনুচ্ছেদে (ক) ধারায় বলা হয় ”বাংলাদেশে বসবাসকারী সকল জনগন বাঙালী বলিয়া গণ্য হইবে”। এমনি জাত্যভিমানী এক চরিত্র উন্মোচনের মধ্য দিয়ে শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে যুগ যুগ ধরে বসবাসরত স্বকীয় ইতিহাস,শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ জুম্ম জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বকে যে নাকচ করে দেয় তখন থেকেই জুম্ম জনগণকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার যে খেলা শুরু হয়েছিল তার শেষ কখন হবে তা আমাদের কাছে এখন দিবালোকের মত পরিস্কার ।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বে পাকিস্তান সরকার কতৃক জুম্ম জনগনকে নিশ্চিহ্নকরনের ফাঁদ পাতা হয় কাপ্তাই বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ।এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে তৎকালীন জুম্ম ছাত্র নেতৃত্ব বিশেষ করে জুম্ম জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা এবং জুম পাহাড়ের বুকে আলোর মশাল জ্বালিয়ে মুক্তির স্বপ্ন ফেরি করে বেড়ানো তৎকালীন জুম্ম তরুণ ছাত্র এম.এন. লারমা বলেছিলেন- ”কাপ্তাই বাঁধ, জুম্ম জনগনের মরন ফাঁদ”।এই ফাঁদে পড়ে জুম্ম জনগন তাদের যুগ যুগ ধরে বসবাসকৃত পূর্বপুরুষদের বাস্তুভিটা,৫৪ হাজার একর ফসলি জমি, তিল তিল করে গড়া ঘর, কত ’ভোরোন্দি আদাম’ ও স্বপ্নের সমগ্রতা হারিয়ে যুগপথভাবে চলা জীবনগুলোতে ফাটল ধরাতে বাধ্য হয় ।কেউ এদেশে থাকলো আবার কেউবা অজানা উদ্দেশ্যে চলে গেল সেই উপনিবেশিকদের অঙ্গুলিহেলনে ভাগ করা মানচিত্রের অপর প্রান্তে ।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পর দেশ কেমন করে চলবে দেশ তার মূল চালিকাশক্তি সংবিধানে জুম্ম জনগনকে সুরক্ষা দেওয়াতো দূরে থাক উপরন্তু অস্বীকারের মধ্য দিয়ে জুম্ম নিধনের পলিসি নেয়া হতে থাকে একের পর এক । ১৯৭৫ সাল পরবর্তী প্রায় ১৬ বছর সামরিক শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ঠ ছিল দেশ । সেই ’৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসকদের একগুয়েমি ও প্রবল জাত্যভিমানী চরিত্রের কারণে পাহাড়ের জনপদে এক রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলল দুই দশকেরও অধিক সময় ধরে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-যুব সমাজের বিশাল একটি প্রজন্ম ত্যাগ স্বীকার করল । সামরিক শাসনের বন্দুকের নলের মুখে বড় হতে লাগল পাহাড়ের ছোট্ট শিশুরা । অনেকেই শাহদাৎ বরণ করল । উল্লেখ্য বিষয পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগন কখনো কোনো বিজাতীয় শাসকের কাছে এমনিতেই হার মানেনি মানবেও না । ব্রিটিশদেও কাছেও হার মানেনি, পাকিদের কাছেও নয় ।তারই ধারাবাহিকতায় বাঙালী জাত্যভিমানী,দাম্বিক শাসকগোষ্ঠীও তাদেও যে একরোখা দমননীতি,জাত্যভিমানী ও জুম্ম নিধনের পলিসি ও মনোভাবের কারনে পাহাড়ে দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সশস্ত্র সংঘাত চলে । আমরা জুম্ম জনগন সংঘাতে সমাধান এ বিশ্বাসে বিশ্বাসী নয় ।যার ফলে পাহাড়ের সবুজের শ্বাসত সুন্দরের মাঝে সরল স্বাভাবিকভাবে যাপিত জীবনগুলো সবসময় শান্তির খোঁজে উদগ্রীব ছিল এখনো আছে ।পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে বিভিন্ন সরকারের মধ্যেকার চলা ২৬ বার ধারাবাহিক বৈঠকের ফলশ্রুতিতে পার্বত্য জনগন একটি চুক্তি পাই । যে চুক্তির মধ্য দিয়ে পাহাড়ী সরল প্রাণ জনগন শাসকদের বন্দুকের ব্যারেলের বিপরীতে যে বন্দুকগুলো ২৪ বছর ধরে আকড়ে ছিল সেইসব অস্ত্র শাসকদের হাতে জমা দিল ভ্রাতৃত্বেও সুন্দর ও সরল বিশ্বাসে ।
কিন্তু সেই শান্তি আজও ধরা দেয়নি । বরঞ্জ এ অশান্তির স্রোত ক্রমশ ঘোলা হচ্ছে ।আর ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে অবিরাম । এমন একটি সময়ে এ লেখাটি লিখতে বসেছি যখন সবুজ পাহাড়ের প্রতিটি পরতে পরতে হতাশার মেঘ ঘনীভূত হতে হতে জমাট বেধেছে অসংখ্য ক্ষোভের বরফকুন্ড ।জলপায় রঙাদের পদচারণায় পাহাড়ের সবুজ পৃষ্ঠ এখন বেশ রিক্ত,বিরক্ত ও বিক্ষুব্ধ । সেনা-সেটলারদের ক্রমাগত নিপীড়ন,নির্যাতনের গ্লানিতে পাহাড়ের জুম্মদের জীবনের রঙ ফ্যাকাশে হতে হতে বিষাক্ত রূপ নিয়েছে ।
উর্দি পরা হায়েনাদের লালসার তীব্রতাই জুম্মবীরা এখন নিজ বাড়ীতেও নিরাপদ নয় ! ২০১৮ এর শুরুর দিকে ২২ জানুয়ারী বিলাইছড়ির সেই মারমা জুম্মোবীদের ঘটনাটা কী আভাস দেয় ? সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মাটিরাঙ্গায় সেটলার কর্তৃক এক ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণের মধ্য দিয়ে ৮ মার্চ পাহাড়ে নারী দিবস উৎযাপন! একই সাথে সর্বশেষ পাহাড়ের মানুষ যখন বাংলা বছরের শেষে নিজেদের সবচেয়ে বৃহৎ সামাজিক উৎসব বিঝু বৈসুক,সাংগ্রাই ,বিষু,বিহু ও চাংক্রান পালন করতে যাচ্ছে ঠিক তখনি ১২ এপ্রিল অর্থাৎ ফুল বিঝুর দিনে আলীকদমে আবারো সেটলার বাঙালী কর্তৃক এক ত্রিপুরা জুম্ম কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয় ।এমনিতর এক ভয়াবহ বাস্তবতা চলছে জুম-পাহাড়ে । তুমাসিং, সবিতা, বলিমিলা,সুজাতাদের নামের সাথে যুক্ত হচ্ছে অসংখ্য নাম । এতদিন দেখেছি ধর্ষনের ঘটনাগুলোর পেছনে মূল নায়ক হিসাবে ভূমিকা রাখে সেটলার-বাহিনী কিন্তু এখন দেখি সরাসরি মূল নায়কের ভূমিকা নিচ্ছে পাহাড়ে নিরাপত্তার নামে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা খোদ সেনাবাহিনী।
জুম্ম নারী ধর্ষনের কাব্য বললে আরো অনেক বলা যাবে ।এখন আসি দ্বিতীয় কাপ্তাই বাধঁ ,আবারো জুম্মদের মরণ ফাঁদ পাতার কাহিনীতে । বান্দরবানে প্রবাহিত নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম মাতামুহুরী নদী । এ নদীতেই একটি বাধঁ দেওয়া হবে । “দ্বিতীয় কাপ্ত্ইা বাধঁ”! উন্নয়নের ¯্রােতধারায় যুক্ত করা হচ্ছে আরেকটি প্রকল্প। গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক আজাদীতে মাতামুহুরী নদীতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সংবাদ প্রকাশিত হয় । নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর জোর দেয়ার অংশ হিসেবে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পর আরেকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ওয়েব পেইজেও এ প্রকল্পটির বিষয়ে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে । মাত্র ৭৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন এ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে মাতামুহুরী নদীতে। এ প্রকল্পটি বা¯তবায়িত হলে লামা-আলীকদম উপজেলা এবং চকরিয়া বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের চাষাবাদযোগ্য অসংখ্য ভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। প্রকারান্তরে লামা-আলীকদমে বসবাসরত নিরীহ জুম্মদের উপর ঝুলছে আরেকটি মরণ খড়গ । কাপ্তাই বাধেঁর অভিশপ্ত স্মৃতিগুলো এখনো জুম্মদের ক্ষুব্ধ মননের ক্যানভাসকে আন্দোলনে আলোড়িত করে ।এখন আরেকটি কাপ্ত্ইা বাধঁকে নিয়ে ভাবনার শেষ নেই।
অন্যদিকে পাহাড়ে জুম্মদের অধিকারের নামে চুক্তিউত্তর সময়ে গড়ে ওঠা তথাকথিক বিপ্লবী সংগঠনগুলোর বিবদমান পরিস্তিতির কথা ন্ইা বললাম । এসব কথা বলবে জুম্ম আমজনতা ।নানিয়াচরে পর পর ঘটা মর্মান্তিক ঘটনার পর যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে চলছে আবারো জুম্মদের হয়রানি ।
ফলত: দেখা যাচ্ছে অস্ত্র ফেলে শান্তির খোঁজে আবদ্ধ চুক্তির বাস্তবায়নতো হয়ই নি উপরন্তু জুম্ম নিধনের নানা পলিসি পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান রয়েছে ।পাহাড়ের বর্তমান শিক্ষার পরিস্তিতি নিয়েও বেশ উৎকন্ঠার জন্ম দেয় নিয়মিত। এছরের এসএসসি পরীক্ষায় রুমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে মাত্র একজন! চট্টগ্রাম বোর্ডের ফলাফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ পাহাড়ে দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থা । একথাটা বারংবার জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় এসছে । কিন্তু তারপরেও তিন জেলা পরিষদ কর্তৃক অসচ্চভাবে ক্রমাগত নিয়োগ চলছে অদক্ষ শিক্ষকের ।প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ভেঙে পড়া এ দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে বিভিন্ন সংস্কারের বিপরীতে উচ্চ শিক্ষার জিকির তুলে চলছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তথা বান্দরবানে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ !এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়বে কারা?
সবোপূরী দু’দশকের অধিক সময় ধরে চলা সশস্ত্র সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় সত্তর-আশির দশকের অসংখ্য জুম্ম তরুণের সশস্ত্র বিপ্লবের বিনিময়ে অর্জিত “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি” অবাস্তবায়নের বর্তমান বেহাল দশা এবং রাষ্ট্রের দেয় প্রতিশ্রুতিভঙ্গ ও বিশ্বাসঘাতকতার দাতভাঙা জবাব দিবে কারা !
জুম-পাহাড়ের বর্তমান চতুর্মুখী চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় যেখানে প্রয়োজন পড়েছে শিক্ষিত,ত্যাগী ও মারমুখী এক প্রজন্মের সেখানে এ প্রজন্মের অধিকাংশের সুবিধাবাদীতা ও চলমান সমস্যাগুলোর সমগ্রতার সাথে মানিয়ে চলবার যে সেকেলে ও প্রগতিবিরোধী অবস্থান তা দেখলে সত্যিই মনে মনে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে – “আমরা কী আসলেই হারতে যাচ্ছি ?”
নেতিবাচকতার এ অহরহ হতাশার মধ্যেও এম.এন লারমার রক্ত বহনকারী এ প্রজন্মকে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে হবে । অতিশীঘ্রই নির্ধারণ করতে হবে নিজেদের করণীয় ।পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের চলমান আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সামিল হতে হবে আর স্লোগানের আওয়াজকে সংগঠিত করতে হবে ।সমস্বরে স্লোগান ধরতে হবে- ”এ লড়াই বাচাঁর লড়াই , এ লড়াইয়ে জিততে হবে ।”
সবশেষে বলবো,জুম্ম জনগনের বর্তমান সংকটে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের সবচেয়ে তরুণ,শিক্ষিত ও প্রতিবাদী এ প্রজন্মকে অবশ্যই নতুন আশা স্বপ্নের মশাল জ্বালিয়ে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের দলীয় সংগীতের সেই ”জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে নিয়ে” পাহাড়ের জুম্ম জনগনকে দিশা দেখাতে হবে ।বিজাতীয় শাসক-শোসকদেরকে সরল বিশ্বাসে করা সন্ধি ভঙ্গের প্রতিশোধ নিতেই হবে।জুম্ম নিধনের পলিসি এখনো জাত্যভিমানী শাসকদের মাথায় ঘুর্ণায়মান । কাজেই প্রয়োজনে ”ভাঙনের খেলা” আয়োজনের মধ্য দিয়ে হলেও লারমার স্বপ্ন ও জুম্ম জনগনের আশা আকাংখাকে বাস্তব রূপ দিতে হবে।সে প্রতীক্ষায় আজো স্লোগান ধরি শত শত জুম্ম ছাত্র-যুবার মুষ্টিবদ্ধ হাতের শপথের মিছিলে মিছিলে।কাজেই আসুন তরুণ জুম্ম ছাত্র-যুবরা প্রতিশোধের শপথে প্রয়োজনে খেলি ভাঙনের খেলা।
…………………………..
সতেজ চাকমা, শিক্ষার্থী -ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।