জাতীয়

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে গার্ড অব অনার প্রদান

দেশবরেণ্য গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে তাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। পরে ১১টা ৫ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সম্মান জানানো হয়। এরপরপরই সর্বস্তরের মানুষ তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল শুধু গানের জন্য নয় দেশের প্রতি যে অবিস্মরণীয় ভালোবাসা দেখিয়েছেন তা ভোলার নয়। ২০১২ সালে গঠিত মানবতাবিরোধী অপারাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষ্য দেন তিনি। যার কারণে পরবর্তী সময়ে তার ভাই প্রাণ হারান। তার প্রতি আমাদের দেশবাসীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো। ’

সংগীতশিল্পী খুরশিদ আলম বলেন, ‘আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সঙ্গে আমার জানাশোনা ও চলাফেরা দীর্ঘদিনের। তার মধ্যে একটা গুন ছিল যে তিনি নতুনদের সুযোগ দিতেন। এটা এই কারণে বলছি যে, তিনি আমাকে কখনও গান গাইতে দেননি। এ প্রসঙ্গে তার সঙ্গে একবার কথা হয়েছিল তখন বুলবুল হেসে বলেছিলেন আপনিতো প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। আমার মনে হয়, নতুনদের সুযোগ দেওয়া উচিত আপনারও তা করা উচিত। তিনি ভেতরে কিছু রেখে কথা বলতেন না। স্পষ্ট কথা বলতেন।’

সংগীতশিল্পী মনির খান বলেন, ‘এদেশের মাটি, মানুষ ও পতাকা তাকে কখনও ভুলবে না। তার গান ও ত্যাগ কখনও ভুলতে দেবে না।’

বরেণ্য গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘এমন একটা ব্যবস্থা করা উচিত যেন, এমন শিল্পীদের অন্যরকম সম্মান পান। যে সরকারই আসুক তারা সেটা চালিয়ে যাবে। কারণ এমন শিল্পীরা দেশের সম্পদ, দেশের প্রতিনিধি।’

জানা গেছে, আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানানোর পর বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিএফডিসিতে বুলবুলের মরদেহটি নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তার পালস্ পাওয়া না যাওয়ায় দ্রুত তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (আয়েশা মেমোরিয়াল) নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার মরদেহ বাসায় নিয়ে আসা হয়।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত বছরের মাঝামাঝি তার হার্টে আটটি ব্লক ধরা পড়ে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তখন তার হার্টে দুটি রিং পরানো হয়।

Back to top button