আলোকচিত্রী শহিদুলের মামলার কার্যক্রম স্থগিত
দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়েরকৃত মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
আদেশ দেওয়ার আগে বুধবার এ মামলার নিম্ন আদালতে নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই নথি পর্যালোচনা করে আদালত মামলার কার্যক্রমের উপর এ স্থগিতাদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলাটিকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবীরা জানান, শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়। কিন্তু ওই আইনের পরিবর্তে সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করেছে। একইসঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় যেসব মামলা ইতোপূর্বে করা হয়েছে সেসব মামলার মধ্যে যেগুলো ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সেগুলো চলবে মর্মে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে বলা হয়েছে। ফলে শহিদুলের মামলাটি বর্তমানে তদন্ত পর্যায়ে থাকায় তা আর চলার সুযোগ নেই। এই যুক্তি তুলে ধরে মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। আদালতে শহিদুলের পক্ষে এএফ হাসান আরিফ ও সারা হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে আল জাজিরা টিভির পাশাপাশি ফেসবুক লাইভে এসে বক্তব্য দেন শহিদুল আলম। ওই বক্তব্য ছিলো সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা-এমন অভিযোগ এনে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট তিনি গ্রেপ্তার হন। প্রায় সাড়ে তিন মাস জেল খেটে গত বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান।