আবারো ইকো পার্ক আতংকঃ উচ্ছেদ আতঙ্কে মধুপুরের আদিবাসীরা

আইপিনিউজ ডেস্কঃ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় কর্তৃক টাঙ্গাইল জেলাধীন মধুপুর গড়াঞ্চলের অরণখোলা ইউনিয়নের ৯,১৪৫.০৭ একর জমিকে ১৯২৭ সালের বন আইনের (The forest act, 1927) (Act XVI of 1927) ২০ ধারা ক্ষমতাবলে “সংরক্ষিত বনভূমি” ঘোষণা করা হয়েছে। জারি হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও, এতে বলা হয়েছে, ঘোষিত বনভূমি এলাকায় কারো কোন দাবি-দাওয়া উপস্থাপিত হয়নি , তবে কয়েকটি দাবি-দাওয়া থাকলেও তা আইনগত ভাবে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য অরণখোলা ইউনিয়নে জলছত্র, গায়রা, টেলকি, সাধুপাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া, বেরিবাঈদ, গাছাবাড়ী, আমলীতলা, ভূটিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামে যুগ যুগ ধরেই গারো, বর্মন, কোচসহ আরো বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ১৫ হাজারের অধিক মানুষসের বসবাস, এছাড়াও কয়েক হাজার হাজার বাঙ্গালীরাও এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বাস করে আসছে। পাশাপাশি ঘোষিত সংরক্ষিত বনভূমি এলাকার মধ্যে ভূমির উপর কোন ধরনের দাবি-দাওয়া উপস্থাপিত হয় নি বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে, কিন্তু সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণার বিষয়টিই এখনো বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত নয় বলে দাবী করছেন স্থানীয় লোকজন।
এর আগে ইকোপার্ক তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হলে আদিবাসীদের রক্তাক্ত আন্দোলনে থেমে গিয়েছিল সেই উদ্যোগ। পীরেন স্নাল, চলেশ রিছিল সেই আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন। মিছিলের উপর প্রশাসনের করা গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে উৎপল নকরেক পঙ্গু হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন এবার সেই ইকোপার্কের আদলেই এবার সব কিছু করা হচ্ছে বলে আশংকা করছেন। সংরক্ষিত বনভূমির অনেক কিছুতেই ইকোপার্কের বৈশিষ্ট বিদ্যমান বলে দাবী করা হচ্ছে।
এর প্রতিবাদে আগামী ২০ মে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (গাসু) মানববন্ধন করবে। এছাড়াও অন্যান্য আদিবাসী সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) লং মার্চ এর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।