আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সিপিবির নারী সেলের র্যালী
দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না সমাজে তখন শোষণ নিপীড়ন বাড়তেই থাকে এবং এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় নারী সমাজ। যার কারণে আজকে বাংলাদেশে যে কোনো সময়ের চেয়ে নারী নির্যাতন খুন-ধষণ ও শিশু হত্যা ভয়াবহ আকরে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিদিনই দেশের, কোনো না কোনো খানে একাধিক নারী-শিশু খুন-ধষণের শিকার হচ্ছে। তার কোনটা বন্ধ, সুষ্ঠ বিচার বা শাস্তি হচ্ছে না। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আজ ২ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সিপিবি নারী সেল আয়োজিত সমাবেশে পার্টির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ কথা বলেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম। সিপিবি নারী সেলের আহ্বায়ক কমরেড লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কমরেড এ.এন. রাশেদা, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক জলি তালুকদার, কমরেড মাকসুদা আক্তার লাইলী, কমরেড লুনা নূল, মনিরা বেগম অনু, লাকী আকতার, শাহান আরা বেগম, সাকী খন্দকার, আনোয়ারা বেগম, কাজী রীতা।
কমরেড সেলিম বলেন নারী মুক্তির লড়াই একটি রাজনৈতিক মতাদর্শিক লড়াই। সমাজে নারীর অবস্থান কি হবে তা আসলে নির্ভয় করে নারীর প্রতি রাষ্ট্রের কি দৃষ্টিভঙ্গী তার উপর। পুঁজিবাদ নারীকে পণ্যে পরিণত করে, মৌলবাদ নারীকে অধীনস্ত লিঙ্গে পরিণত করে এ দুই সমভাবে নারীমুক্তি ও নারীর সমাধিকারের বিরোধী শক্তি, কাজেই এ দুয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে যা প্রকারওয়ে সমাজ পরিবর্তনের লড়াই। কমরেড লক্ষ্মী চক্রবর্তী বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস শ্রমিক নারীর রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি অর্জন। ন্যায্য মজুরি-শ্রমঘণ্টা বণ্টনের আন্দোলন আজ যারা বিশ্বের নারী মুক্তির লড়াইয়ের অফুরান প্রেরণার দিবসে পরিণত হয়েছে। বক্তরা বলেন পুঁজিবাদ নারী দিবসের তাৎপর্যকে গ্রাস করে তাকে একটি ভোগবাদী উদ্যাপন করেছে। এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। রাষ্ট্রে বিচারহীনতা ও জবাবদিহীতার অভাব সর্বোপরি গণতন্ত্রহীনতার কারণে নারী-নির্যাতন-শোষণ বেড়েই চলে, কাজেই নারী মুক্তির লড়াই নারীর স্বাধীনতা এবং সমাজ পরিবর্তনের জন্য সমান তালে পরিচালিত করতে হবে। আজ বিকেল ৩টায় সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পার্টির পতাকা উত্তোলন করে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পার্টির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সারাদেশে অব্যাহত খুন-ধর্ষণ নির্যাতনের জাগ্রত নারী আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান নিয়ে প্রতীকি মশাল প্রজ্বলন এবং নারী কমরেডদের কাছে মশাল হস্তান্তর করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মৈত্রী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, শিক্ষাবিদ এ.এন. রাশেদা, নারী নেত্রী কমরেড লীনা চক্রবর্তী, জলি তালুকদার, লুনা নূর, মাকসুদা আকতার লাইলী, মনিরা বেগম অনু, আনোয়ারা বেগম, শাহান আরা বেগম, অ্যাড. আইনুন নাহার লিপি, হামিদা আক্তার, কাজী রীতা প্রমুখ।