জাতীয়

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য আদিবাসী শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ

সাঁওতাল, চাকমাসহ বিভিন্ন আদিবাসী শিশুদের জন্য তাদের ভাষায় প্রাক প্রাথমিকের বই প্রকাশ শুরু করলেও ওই ভাষা না জানা শিক্ষকের কারণে সরকারের এই পদক্ষেপ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে এক অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে।
রোববার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ভাষাভাষীর শিশুদের পড়ানোর জন্য ওই ভাষাভাষীর শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার আপাতত না পারলেও বিষয়টিতে দৃষ্টি দেওয়ার আশ্বাস দেন।
দিনাজপুরে আদিবাসী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদান পদ্ধতির অভিজ্ঞতা বিনিময়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র ও শাপলানীড়।
সাঁওতাল শিশু ও তাদের অভিভাবকদের প্রাথমিক শিক্ষায় উৎসাহী করতে শাপলানীড়ের সহায়তায় গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র দিনাজপুর সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ২০১২ সাল থেকে ‘সান্তাল শিশু উন্নয়ন প্রকল্প’ নিয়ে কাজ করছে।
এছাড়া আরেকটি প্রকল্প,‘আওয়ার স্কুল ফর এথনিক চিল্ড্রেন’ এর আওতায় গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র মোট ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে ‘কমিউনিটি মবিলাইজার’ দিয়েছে, যারা আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাদান করে থাকে।
২০১৭ সাল থেকে সরকার আদিবাসীদের পাঁচটি ভাষায় প্রাক প্রাথমিকের বই প্রকাশ শুরু করে।
অনুষ্ঠানে আয়োজকরা তাদের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, সাঁওতাল শিশুরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় তাদের শিক্ষা দিতে বাঙালি শিক্ষকদের নানা রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। ভাষা সমস্যার কারণে প্রাথমিকের আগেই অনেক সাঁওতাল শিশু বিদ্যালয় থেকে ঝরে যায়।
শিক্ষাদান ও গ্রহণ সহজ করতে এবং শিক্ষার প্রতি অনুরাগ বাড়াতে উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আদিবাসীদের ভাষা জানা শিক্ষক নিয়োগের অনুরোধ করেন আয়োজকরা।

Back to top button