শিল্প ও সংস্কৃতি

আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আদিবাসী কালচারাল ফোরামের গান ও নৃত্য প্রতিযোগীতা

সতেজ চাকমা: আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে বিভিন্ন আদিবাসী ও প্রগতিশীল সংগঠনগুলো নানা ভাবে এবছরের আদিবাসী দিবসকে উৎযাপনের চেষ্টা করছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের উৎয্পনে ভিন্ন রূপ দিতে বাধ্য করেছে করোনা মহামারী। সারা বিশ্ব ব্যাপী চলমান এ মহামারীর বাস্তবতাকে অনুধাবন করে আদিবাসী দিবসের অধিকাংশ কার্যক্রম অনলাইন ভিত্তিক হবে বলে জানিয়েছেন আদিবাসী নেতৃবৃন্দ। সেই উৎযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আদিবাসী কালচারাল ফোরামও আয়োজন করেছে গান ও নৃত্য প্রতিযোগীতার। এ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারীদের পরিবেশনাগুলো আদিবাসী কালচারাল ফোরামের ফেসবুক পেইজ থেকে প্রচারিত হবে বলেও জানান সংগঠনটির সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে আদিবাসী কালচারাল ফোরাম এবছরের আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলে উৎযাপনের জন্য তাদের এই প্রতিযোগীতার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- কোভিড-১৯ মহামারীতে আদিবাসীদের বৈচিত্রময় সংস্কৃতি।বাংলাদেশে বসবাসরত সকল আদিবাসী নৃত্যশিল্পী ও সঙ্গীতশিল্পীরা এ প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করতে পারবে বলে জানান আয়োজকরা।

এ বিষয়ে মুঠো আলাপে সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট আদিবাসী অধিকার কর্মী চন্দ্রা ত্রিপুরা আইপিনিউজকে বলেন, এই মহামারীর সময়ে আমরা আমাদের আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিকে একসাথে উৎযাপন করতে চাই। আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির মধ্যে করোনার মত মহামারীকে মোকাবেলার জন্য কিছু ঐতিহ্যগত উপাদান নিহিত আছে যার জন্যই বাংলাদেশের আদিবাসীদের মধ্যে এই করোনার সংক্রমণ এবং আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীর সংখ্যা একেবারেই কম।

তিনি আরো বলেন, আমাদের আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির মধ্যে মহামারী মোকাবিলার জন্য ‘লক ডাউন’ প্রথাটি খুব স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যমান ছিল। যার জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণার অনেক আগেই আদিবাসীরা গ্রামে গ্রামে তাঁদের ঐতিহ্য ও প্রথানুসারে লক-ডাউন ঘোষণা করে। যার ফলে এই করোনা সংক্রমনের ঝঁকি অনেকখানি কমানো গেছে। এইসব বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির ধারক ও উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা এবারের আদিবাসী দিবসে সকল আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে উৎযাপন করতে চাই অনলাইন মাধ্যমে।

উক্ত প্রতিযেগীতায় অংশগ্রহনকারীদের পরিবেশনা মূল্যায়ন করতে দুটি ব্যবস্থার কথাও জানান তিনি। প্রথমত বিচারক প্যানেলের বিবেচনার উপর ৭০ শতাংশ এবং অনলাইন মাধ্যমে দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার উপর ৩০ শতাংশ নাম্বার প্রদান করে এ প্রতিযোগীতার বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান চন্দ্রা ত্রিপুরা।

উক্ত প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের জন্য নিম্নের লিংকে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আয়োজকরা অনুরোধ করেছেন। লিংকটি হলো- https://forms.gle/ZP4xR9h2CaA4dC9q6

Back to top button