জাতীয়

আদিবাসী কোটা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে টিআইবি

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে আদিবাসী কোটা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটির মতে, ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়া হয়। এর ফলে আদিবাসীদের কোটাও বাদ পড়ে যায়। অথচ আদিবাসীরা নানা সামাজিক সেবা থেকে বঞ্চিত।

রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংস্থাটি।

‘বাংলাদেশের আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠী: অধিকার ও সেবায় অন্তর্ভুক্তির চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের দাবি আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাদের স্বতন্ত্র পরিচয়ের স্বীকৃতি দিতে হবে। একইসঙ্গে তাদের অধিকার ও অন্যান্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি কোনো বিশেষায়িত মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সব আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সামাজিক নানা বৈষম্যের শিকার আদিবাসী ও দলিত জনগোষ্ঠী। আদিবাসী বা দলিত শিশুরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেলে তাদের নানা অপমানজনক কথা বলা হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে তাদের সঙ্গে বসতে চায় না। এছাড়া তারা চিকিৎসক, ভোট ও ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির পক্ষে আদিবাসীর জন্য বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- দুর্গম অঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তাসহ মৌলিক সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে আদিবাসী কোটা পুনর্বহাল করতে হবে। তাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানবাধিকার কমিশনসহ গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Back to top button