আদিবাসীদের বিষয়ে সরকার দৃষ্টিহীনঃ সৈয়দ আবুল মকসুদ
![](https://ipnewsbd.net/wp-content/uploads/2016/11/wsi-imageoptim-1-1.jpg)
‘সমতলের আদিবাসীদের উপর চলমান নির্যাতন ও ভূমি দখলের প্রতিবাদে এবং বাজেটে আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে’ ২৯ মে রবিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও কাপেং ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ; বর্ষীয়ান রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি; বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আজকে জানতে পারলাম যে আদিবাসীদের বিষয়ে একটু নরমভাবে কথা বলার জন্য নাকি সরকারের প্রতিনিধিরা অনুরোধ করেছেন । তাহলে একজন আদিবাসী নারী ধর্ষিত হলে কি বলতে হবে ‘কত নারীইতো ধর্ষণের শিকার হয়, আমাদের এক আদিবাসী নারী আজ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একইভাবে কি বলতে হবে আজ ভূমিদস্যুরা অমুক জায়গার আদিবাসীদের জায়গা জমি কেড়ে নিয়েছে। তিনি এসময় সরকারকে দৃষ্টিহীন আখ্যা দিয়ে বলেন, চারদিকে এতো অন্যায় অত্যাচার তা কি সরকারের চোখে পড়বেনা। নিশ্চয় সরকার দৃষ্টিহীন হয়ে গেছে।’
আদিবাসীদের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে চার হাজার কোটি টাকা লোপাটের বিষয়টি অর্থমন্ত্রী যদি সামান্য টাকা বলেন তাহলে আদিবাসীদের জন্য গত বছরে বরাদ্দকৃত ২০ কোটি টাকাতো সামান্যের চাইতেও সামান্য টাকা। তাই আমি অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য আদিবাসীদের জন্য সামান্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হোক। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো বিপন্ন আদিবাসীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেনা এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আদিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার পেছনে যদি রাজনৈতিক দলগুলো দাঁড়াতো তাহলে স্থানীয় প্রশাসন আদিবাসীদের বিষয়ে আন্তরিক হতো এবং আদিবাসীদের উপর নির্যাতন কিছুটা হলেও কমে যেত।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, আদিবাসীদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার কারা করছে তা কিন্তু আমরা জানি। এমনকি প্রভাবশালী দলের নেতারাও কিন্তু অনেক সময় ভূমিদস্যুদের ও নির্যাতনকারীদের সহায়তা করছে। গোপনে মধুপুরে আদিবাসীদের জায়গায় সরকার যে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করেছে সেটা অন্যায়। এর আগেও সেখানে রক্তপাত হয়েছে। এটি নিয়ে নিশ্চয় সরকারের পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে। তারপরেও আবারো সরকার এ কাজ কিভাবে করছে সেটি আমার বোধগম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, গোবন্দিগঞ্জের সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম এলাকায় রংপুর সুগার মিলের নামে অধিগ্রহণকৃত আদিবাসীদের জমিগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সরকার নিশ্চুপ হয়ে আছে। মিলের নামে যে জমি সেখানে এখন আখ চাষের পরিবর্তে মাছ চাষ হচ্ছে, ধান, গম আর আলু চাষ হচ্ছে। মিলের যে জমি লীজ দেওয়া হয়েছে সেটা অন্যায়, যারা দিয়েছে এবং যারা নিয়েছে তারা উভয়েই শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।
তিনি আরো যোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন চাষের জমিতে কোন কলকারখানা হবেনা। আমি সেটি মনে করিয়ে দিতে চাই। আদিবাসীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ বিষয়ে তিনি বলেন, বাজেটে সকলের সমান অধিকার একটি ন্যায্য অধিকার। এটা কোন দান দক্ষিনার বিষয় নয়। তাই আদিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজেট বরাদ্দ অত্যাবশ্যক।
ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়িতে যে বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যা করা হলো তার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন নিজেদের লোকজনরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু হিসেবে নয় নাস্তিক হিসেবে নাকি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শাস্তি দিয়েছেন বলে সেখানকার সাংসদ সেলিম ওসমান বলছেন। আসলে এভাবেই এদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসী মানুষদের প্রতি অত্যাচার নির্যাতন চলছে, শিক্ষকদের প্রতি। বাদশা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানের ভিতরে সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের প্রতি যে ধরনের নির্যাতন চলছে ঠিক সেরূপ নির্যাতন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের প্রতি করা হচ্ছে এবং আমাদের সমাজে, সাংস্কৃতিক অঙ্গণে, রাজনৈতিক অঙ্গণেও এরূপ বিরূপ সংস্কৃতির চর্চা চলছে। যার কারণে প্রশাসনও সেইরূপ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছেনা। তিনি এই আগামী অর্থবছরে সমতলের আদিবাসীদের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানান।
সঞ্জীব দ্রং বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যেসব কথা বলা হয়েছে সেগুলো নতুন কোন কথা নয়। আদিবাসীদের উপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন নিপীড়ন, ভূমি দখল, আদিবাসী নারী ধর্ষণ এগুলো ঘটতেই আছে। আজকের মূল বক্তব্যে অনেক দোষী ব্যক্তিদের নামও বলা আছে। তারপরেও যদি প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তা সত্যিই দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামে বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি তাদের অনুরোধ করেছেন যেন আমরা আদিাবসীদের ব্যাপারগুলো একটু নরম করে বলি। বাজেটের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রতি বছর আমরা দাবি করি, অর্থমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করি কিন্তু কোন কাজ হয়না। প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করা হয়না। আমি এই দেশের মানবিক মানুষদের প্রতি আহ্বান জানাই আপনারা আদিবাসীদের পাশে থাকবেন। এদেশের সুশীল সমাজ, শিক্ষক, উন্নয়ন কর্মী, সাংবাদিক বন্ধুরা সকলেই আদিাবসীদের পাশে থাকবেন বলে আশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সমতলসহ পাহাড়ের আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, উচ্ছেদ, মারপিট, হত্যাসহ আদিবাসী নারীদের ধর্ষণ এর মতো ঘটনাগুলো একের পর এক ঘটে যাচ্ছে। এ কারণে আদিবাসীরা প্রতিনিয়ত শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছে এবং অনেকেই ভয়ে এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। ইতোমধ্যে গত কয়েক বছরে আদিবাসীরা অনেকেই দেশত্যাগ করেছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ২০১৪ নির্বাচনী ইশতেহারে আদিবাসীদের উপর ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসানের’ (২২.১ ধারা) অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে সেটি হচ্ছেনা।
উত্তরবঙ্গসহ সমতলের আদিবাসীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন, মারপিট, উচ্ছেদসহ সকল ধরনের সহিংসতার পেছনে ভূমি দখলই প্রধান কারণ বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন, এখন পর্যন্ত যত ঘটনা ঘটেছে তার সবটাই মূলত ভূমি কেন্দ্রিক। সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ভূমি কমিশন গঠনের জন্য সরকার ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে যথাক্রমে অনুষ্ঠিত ৯ম ও ১০ম জাতীয় সংসদে নির্বাচনে অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু সরকার পূর্ববর্তী মেয়াদে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ তো গ্রহণই করেনি, এমনকি বর্তমান মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকার এ বিষয়ে এখনো নিশ্চুপ রয়েছে। যার কারণে ভূমি কেন্দ্রিক সমস্যাগুলো দিন দিন আরো জটিল হয়ে পড়ছে এবং আদিবাসীদের উপর সহিংসতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম এলাকার হাজার হাজার আদিবাসী গরীব কৃষকদের দখল হওয়া ১৮৪২.৩০ একর সম্পত্তি ফেরতের দাবি জানিয়ে বলেন, চুক্তি হওয়ার পরেও ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বর্তমানে সেটি শর্তভঙ্গ করে সমস্ত সম্পত্তিতে ইক্ষু চাষের পরিবর্তে সেখানে ধান, গম, ভুট্টা, তামাক, সরিষা, আলু চাষাবাদ করে আসছে। প্রান্তিক কৃষকদের সম্পত্তি এখন ধনিক শ্রেণীর পেশী শক্তির প্রভাবশালী ব্যক্তিগণের কাছে মহিমাগঞ্জ সুগার মিলস্ কর্তৃপক্ষ যোগসাজসে পত্তন বা লীজ প্রদান করেছে। ফলে স্থানীয় প্রান্তিক মানুষ, আদিবাসী, ভূমিহারা কৃষকরা এক বেলা আধা পেট খেয়ে নিজের জমি জায়গা থাকা সত্ত্বেও অন্যের জমিতে কামলা খেটে জীবন ধারণ করতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি মধুপুরে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা বিষয়ে বলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর বন থেকে ১৫ হাজার আদিবাসীকে উচ্ছেদের চক্রান্ত করা হচ্ছে। সরকার গোপনে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে টাঙ্গাইল জেলার অরণখেলা ইউনিয়নের জলছত্র, গায়রা, টেলকি, সাধুপাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া, বেরিবাঈদ, গাছবাড়ী, আমতলী, ভূটিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রাম জুড়ে ঘোষিত সংরক্ষিত বনভূমি এলাকার মধ্যে ভূমির ওপর কারো কোন ধরনের দাবী-দাওয়া উপস্থাপিত হয়নি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণার বিষয়টি এখনো বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত নয়। আদিবাসীদের অজান্তেই সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণার কাযর্ক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। এর আগেও মধুপুরে ইকোপার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আদিবাসীদের রক্তাক্ত আন্দোলনে তা থেমে গিয়েছিল। সে সময় বনরক্ষীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন পীরেন স্নাল। ভূমি আন্দোলনে আরো নিহত হন চলেশ রিছিল ও পঙ্গুত্ব বরণ করেন উৎপল নকরেক। আবারো যেন রক্তক্ষয় না হয় সেজন্য সরকারের প্রতি তিনি আকুল আহ্বান জানান।
আদিবাসী নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদিবাসী নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রশাসন আন্তরিক নয়। ধর্ষণের মতো কাজ করার পরেও দোষী ব্যক্তিরা পার পেয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বরং ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বা নারীটিকেই সামাজিক বঞ্চনা, অপবাদের শিকার হতে হচ্ছে। এভাবে দেখা যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে চরম বিচারহীনতার সংস্কৃতি আদিবাসীদের আরো প্রান্তিক ও নিঃস্ব করে দিয়েছে। আদিবাসীদের প্রতি রাষ্ট্রের বিমাতাসুলভ আচরণ, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া, ন্যায় বিচার না পাওয়া, জাতিগত বৈষম্যের শিকার হওয়াসহ নানা কারণে আদিবাসীরা বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আগামী বাজেটে অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে যেন আদিবাসীদের জন্য ন্যায় সঙ্গত ও পর্যাপ্ত পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ করা হয় এবং বাজেট বক্তৃতায় আদিবাসীদের জন্য আলাদা একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়।
এছাড়াও তিনি সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও কাপেং ফাউন্ডেশনের পক্ষে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ জানান:
১. সারাদেশের আদিবাসীদের উপর সহিংসতা বন্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা;
২. আদিবাসীদের উপর সহিংসতার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা;
৩. সহিংসতার শিকার আদিবাসী নারী, পুরুষ ও শিশুদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও আইনী সহায়তা প্রদান করা;
৪. সমতলের আদিবাসীদের ভূমি রক্ষার্থে একটি স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠন করা;
৫. সমতলের আদিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা;
৬. খাস জমি-জঙ্গল-জলাধার ভূমিহীন ও দরিদ্র আদিবাসীদের মাঝে বন্টনের ব্যবস্থা করা;