মতামত ও বিশ্লেষণ

আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইশতেহারে অঙ্গীকার চাইঃ সোহেল হাজং

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। পরবর্তী সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে বেঁধেছে বড় বড় জোট। নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা শুরু হয়েছে। জনগণের সমর্থন লাভের জন্য এই নির্বাচনী ইশতেহারে সাধারণত ভালো ভালো কথা লেখা থাকে। তবুও এক দলের সাথে অন্য দলের কথার কিছুটা তারতম্য থাকে। আর যাই হোক, নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকার জানা যায়। তাই নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ইশতেহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, নির্বাচনী ইশতেহারে যে অঙ্গীকারগুলো করা হয়, ক্ষমতা গ্রহণের পর অধিকাংশ দলই তা মনে রাখে না। আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের বেলায় এ অবিচারটুকু বেশি হয়।
দেশের অবহেলিত এ আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী সবসময় স্বপ্ন দেখে কোন প্রগতিশীল সরকার তাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে। বিশেষ করে নির্বাচনী ইশতেহারে তাদের অধিকারের কথাগুলো সুস্পষ্টভাবে লেখা থাকবে এবং ক্ষমতা লাভের পর অঙ্গীকারের শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আদিবাসীদের প্রত্যাশা আরও বেশি।
আওয়ামী লীগ বরাবরই বেশ গুরুত্ব দিয়ে আদিবাসী অধিকারের বিষয়গুলো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্ত করেছে। আওয়ামী লীগের নবম নির্বাচনী ইশতেহার (২০০৮)-এ বলা হয়েছিল, [ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, আদিবাসী ও চা বাগানে কর্মরত শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর ওপর সন্ত্রাস, বৈষম্যমূলক আচরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের চির অবসান, তাদের জীবন, সম্পদ, সম্ভ্রম, মানমর্যাদার সুরক্ষা এবং রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকারের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। আদিবাসীদের জমি, জলাধার এবং বন এলাকায় সনাতনি অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণসহ ভূমি কমিশন গঠন করা হবে। সংখ্যালঘু, আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যমূলক সকল প্রকার আইন ও অন্যান্য ব্যবস্থার অবসান করা হবে। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের জন্য চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। পাবর্ত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। অনগ্রসর অঞ্চলসমূহের উন্নয়নে বর্ধিত উদ্যোগ, ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী, আদিবাসী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের অধিকারের স্বীকৃতি এবং তাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনধারার স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণ ও তাদের সুষম উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। বস্তি, চর, হাওড়, বাওড় ও উপকূলসহ সকল অনগ্রসর অঞ্চলের মানুষের জীবনের মান উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।] আওয়ামী লীগের নবম নির্বাচনী ইশতেহারে ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের পর আদিবাসীদের ক্ষেত্রে এই ইশতেহারের কথাগুলো তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি। বরং উল্টো নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পর। আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানে ‘উপজাতি’, ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’ ‘নৃ-গোষ্ঠী’ ও ‘সম্প্রদায়ের’ সংস্কৃতি নামে একটি ধারা (২৩,ক) সংযোজন করে। এই উদ্যোগটি আরও ভালো ও গ্রহণযোগ্য হতে পারতো। হয়নি। আদিবাসীদের মতামত গ্রহণকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। অন্যদিকে, একই সংবিধানের ৬(২) ধারায় “বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালী বলিয়া পরিচিত হইবেন” মর্মে উল্লেখের মাধ্যমে দেশের সকল জনগণকে বাঙালী বলা হয়েছে। এভাবে দেশে বাঙালীর বাইরে অন্যান্য জাতিগুলোর পরিচয় এবং অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। তবে, ২০১০ সালের ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন’ পাস করা হয়েছে যেখানে মাত্র ২৭টি আদিবাসী জাতির নাম (যদিও ‘উসাই’ ও ‘মং’ এ ২টি জাতির নাম ত্রুটিপূর্ণ ছিল) অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এখন বাদপড়া বাকি জাতিগুলোর নাম অন্তর্ভূক্ত করে ৫০টি জাতির নাম অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত হলেও এখনও তা গেজেটে প্রকাশ পায়নি। এ ইশতেহারে ভূমি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ থাকলেও সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক কোন ভূমি কমিশন গঠন করা হয়নি। অপরদিকে ইশতেহারে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের কথা অঙ্গীকার করা হলেও সরকারের দুই মেয়াদ ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও সরকার চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ইশতেহারে বলা হয়েছিল, ‘ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের জন্য চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।’ কিন্তু ২০১৮ সালে এসে আমরা দেখতে পেলাম ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত কোটা তোলে দেয়া হল।
আওয়ামী লীগ এর দশম নির্বাচনী ইশতেহারেও (২২.১ ও ২২.২ ধারায়) আগের মতোই আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুন্দর সুন্দর কথা লেখা ছিল। কিন্তু এ ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ‘আদিবাসী’ শব্দের পরিবর্তে ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’, ‘নৃ-গোষ্ঠী’ ও ‘উপজাতি’ শব্দ ব্যবহার করেছে। এ ইশতেহারের অঙ্গীকার অনুযায়ী, আদিবাসীদের মানবাধিকার লংঘনের অবসান, তাদের জীবনধারা, জমি, বসতভিটা ও অন্যান্য সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল। হয়নি। তাদের ক্ষমতাসীন সময়ে বরং আদিবাসীদের ওপর বড় রকমের মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে গাইবান্ধার সাঁওতাল পল্লী উচ্ছেদ ও ২০১৭ সালের রাঙামাটির লংগদুতে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ তার প্রমাণ। আর আদিবাসী নারী ও কন্যাশিশুর ওপর তো প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, হত্যার মতো ভয়াবহ শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেই চলেছে। যার কোন ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার এখনো আদিবাসীরা পায়নি। তারপর, গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ সরকার সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠনের কাজ শুরুই করতে পারে নি বা উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু দশম নির্বাচনী ইশতেহারে তারা উল্লেখ করেছে যে, ‘সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জমি, জলাধার এবং বন এলাকায় অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণসহ ভূমি কমিশনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে’! এছাড়াও, এ ইশতেহারে আবারো আদিবাসীদের জন্য চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ কোটা বা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার কথা থাকলেও আদিবাসী কোটার পূর্ণ বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নিয়ে বরং ১ম ও ২য় শেণীর সরকারি চাকরিতে সকল কোটা তোলে দেয়া হয়। যার ফলে এখন আদিবাসী যুবদের মাঝে আরও পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচনী ইশতেহারে তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আদিবাসী বিষয় অন্তর্ভূক্ত করেছে। বিএনপি ২০০১ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও উপজাতীয় জনগণ’ অনুচ্ছেদে যে যে বিষয়গুলির ওপর জোর দিয়েছিল তা হলো: (১) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গভীরতর করা, (২) সব সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন, সম্ভ্রম ও সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করা, (৩) অনগ্রসর পাহাড়ী ও অন্যান্য জাতিসমূহের জনগণের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রক্ষা, (৪) চাকুরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের সকল সুবিধা বজায় রাখা, (৫) আলফ্রেড সরেনসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নারী নির্যাতন, জমিদখল, মন্দিরদখল, প্রতিমাভাঙ্গা ইত্যাদি অপরাধের বিচার করা এবং (৬) পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো ইত্যাদি। আমরা দেখেছি, ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন হয়েও বিএনপি সরকার তাদের ইশতেহার অনুযায়ী আদিবাসী বিষয়ক প্রতিশ্রুতিগুলোর অনেকাংশই বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তাদের ইশতেহারে উল্লেখিত অঙ্গীকার অনুযায়ী বহুল আলোচিত আলফ্রেড সরেনসহ কোন আদিবাসী হত্যার বিচার সেসময় সম্পন্ন হয়নি। কল্পনা চাকমা অপহরণের বিষয়টিও তারা বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে পারেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানে তাদের উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকা ছিল না। জাতীয় পার্টি ২০০৮ সালে ‘প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নই আমাদের অঙ্গীকার’ নামে যে নির্বাচনী ইশতেহার রচনা করেছিল সেখানে আদিবাসী বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ/লাইনও স্থান পায়নি।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-এর ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-এর ২০০৮ ও ২০১৪ সালের ইশতেহার আদিবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দলগুলো ইশতেহারে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, আদিবাসীদের সংস্কৃতি সংরক্ষণ, বিকাশ ও অধিকার রক্ষায় আইন তৈরি, আদিবাসীদের ওপর সকল ধরণের বৈষম্যের অবসান ও তাদের ওপর হত্যা, অত্যাচার ও উৎপীড়নের ঘটনার বিচার করা ইত্যাদি বিষয়গুলি প্রাধান্য পেয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিপিবি গত ১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে যেখানে আদিবাসী হিসাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানসহ বিভিন্ন অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
বাস্তবতা হলো ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে দেখা গেছে, আদিবাসী ইস্যুতে নির্বাচনী ইশতেহারের বাস্তবায়ন আশানুরূপ নয়। তবে ইতিবাচক দিক হলো, এই ইশতেহারের অঙ্গীকার একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করে এডভোকেসী কাজের জন্য। এই নিয়ে সরকার বা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনা, সংলাপ, দরকষাকষি করার কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নাগরিক সমাজ, এনজিও, মিডিয়া, আদিবাসী সংগঠনসহ সকলকে এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে আদিবাসী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নি¤েœাক্ত বিষয়াবলী প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখতে চাইঃ
১. আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা। ২. আদিবাসীদের আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অধিকারসহ ভূমি অধিকার, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতি প্রদান করা। ৩. আদিবাসীদের সুরক্ষায় একটি আদিবাসী অধিকার আইন প্রণয়ন করা। ৪. সমতলের আদিবাসীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করা এবং জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারে আদিবাসী/আদিবাসী নারী প্রতিনিধিদের জন্য নির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণ করা। ৫. পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করা এবং এ লক্ষ্যে সময়সূচি-ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ঘোষণা করা। ৬. সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের ভূমি সমস্যা সমাধানে একটি পৃথক ও কার্যকর ভূমি কমিশন গঠন করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে শক্তিশালী করা। ৭. আদিবাসী নারী, শিশু ও জনগণের ওপর সকল ধরণের সহিংসতামূলক কর্মকা-ের চির অবসানে ব্যবস্থা নেয়া এবং তাদের ওপর সংঘটিত সকল সহিংসতার সুষ্ঠু বিচার করা। ৮. আদিবাসী যুবদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করাসহ সকল সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের জন্য ৫% কোটা সংরক্ষণ করা। ৯. আদিবাসী যুবরা যাতে রাজনীতিতে উৎসাহিত হয় এবং এগিয়ে আসে তার জন্য সচেতন করা এবং রাজনৈতিক দলে যুবদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করা।
পরিশেষে, আদিবাসী অধিকারগুলো অতীতের মতো শুধু নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তি করলেই চলবে না, এর যথাযথ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক দলগুলোকে আরো আন্তরিক হতে হবে।
…………………………………….
সোহেল হাজং – কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম

Back to top button