অন্যান্য

আজ ৯ জুন ১১৭ তম আদিবাসীদের নেতা বিরসা মুন্ডা’র দিবস

ভারত উপমহাদেশে আদিবাসীদের মুক্তির জন্য যুগে যুগে যত মহান নেতা অবতীর্ন হয়েছেন তাদের মধ্যে বিরসা মুন্ডা একজন। তিনি ব্রিটিশদের দীর্ঘকালের অত্যাচার এবং অধীন থেকে মুন্ডাদের শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য জীবন উৎস্বর্গ করছেন। লক্ষ লক্ষ মুন্ডা তাকে অনুসরন করে মুক্তির আশা বুকে ধারণ করেছিলেন। বিরসা মুন্ডা বুঝতে পেরেছিলেন যে ব্রিটিশরা মুন্ডাদেরকে শোষণ করতে আসছে, মুন্ডাদের সম্পদ লুট করে বিদেশে নিয়ে যাবে। এজন্য তিনি মুন্ডাদের মুক্তির পথপ্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত হন। ঊনিশ শতকের শেষের দিকে আদিবাসীদের নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে আদিবাসীরা সোচ্চার হতে থাকে। ছোটনাগপুর অঞ্চলে তিনি অত্যাচারিত এবং অপদস্ত মুন্ডা আদিবাসীদের বিদ্রোহী নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বিরসা মুন্ডা ১৮৭৫ সালে ১৫ই নভেম্বর তৎকালীন বিহার এবং বর্তমান ঝাড়খান্ডের খুঁটি জেলার উলিহাতু গ্রামের এক দারিদ্র পিড়িত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবা সুগনা মুন্ডা এবং মা করমি হাতু। বিরসা মুন্ডা আদিবাসী মুন্ডা জনগোষ্ঠীদের জমিদারী, মিশনারী এবং বৃটিশ শাষকদের শোষন-নীপিড়ন এবং জিম্মীর হাত হতে রক্ষার জন্য আন্দোলন করেন এবং মুন্ডা জনগোষ্ঠীর লোকজন বিরসার নতুন ধর্মমন্ত্রে বিক্ষাত হয়ে ‘বিরসাইত’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। ১৮৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিরসা মুন্ডা তাঁর বিরসাইতদের নিয়ে শোষন বঞ্চনার বিরম্নদ্ধে প্রথম আক্রমন করেন মিশনগুলোতে। আগুন জ্বলতে থাকে সমসত্ম এলাকায়। এ সময় বেশ কিছু ইংরেজ সাহেব, মিশনারী সাহেব,পুলিশ,চৌকিদার আহত এবং নিহত হন। বিরসার এই আক্রমনে ইংরেজ গোষ্ঠী নড়েচড়ে বসেন এবং বিরসার বিদ্রোহ দমনের জন্য সাঁড়াশি অভিযান চালান। কিছুদিন আত্মগোপন থাকাবস্থায় ১৯০০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ইংরেজ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং ১৯০০ সালের ৯ জুন রাঁচি জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেন। প্রতিবছর এই দিনে সকল আদিবাসী বিরসা মুন্ডারকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

Back to top button