জাতীয়

ইমতিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলাঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড়

আইপিনিউজ ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আইনজীবী ও লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে ফেসবুকে উসকানিমূলক লেখালেখির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন শফিকুল ইসলাম নামের একজন।

বিভিন্ন মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরে ৫৭ ধারা বাতিলের দাবী জানিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত এই আইন বহাল রয়েছে। এই ধারার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং লেখক।

আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার মামলার খবরে ফেসবুকে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ নিন্দা জানাচ্ছেন।

শিল্পী অরুপ রাহী উনার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন (পোস্টের আংশিক অংশ), ৫৭ ধারায় মামলা ইমতিয়াজ মাহমুদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে! দারুন বাংলাদেশ! দারুন বাংলাদেশের উন্নয়ন গণতন্ত্র! সমাজে ন্যায়ের পক্ষের সাহসী উচ্চারন করা কোনো মানূষ রাখা যাবে না- সকল উপায়ে ন্যায়ের পক্ষের আওয়াজ বন্ধ করতে হবে- এমন পরিকল্পনা থাকলেই কেবল এত প্রতিবাদের পরেও এমন আইন থাকে, তাতে মামলা দেয়া- নেয়া হয়।

আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম লিখেছেন, শুধূ ৫৭ ধারা নয়, গণবিরোধী সকল আইনেরই বিলোপ চাইতে হবে। ইমতিয়াজ এর মামলা প্রত্যাহার কর।

গণজাগরণ মঞ্চের নেতা আকরামুল হক লিখেছেন, সংবেদনশীল কোন নাগরিক সমালোচনা করলেই ৫৭ ধারার প্রয়োগ ঘঠছে, অথচ পেট্রোল বোমায় মানুষ খুনের কোন বিচার হয়না। রাষ্ট্রের অনুভূতি !

ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট অজল দেওয়ান লিখেছেন, ইমতিয়াজ ভাই যদি দোষী হয়ে থাকেন, তবে পাহাড়ের প্রতিটি প্রতিবাদী মানুষ সে দোষে দুষ্ট। প্রতিটি প্রগতিশীল মানুষ সে দোষে দুষ্ট।

নিপন ত্রিপুরা লিখেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা এবং বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি স্যার Imtiaz Mahmood বিরুদ্ধে সেটেলার সফিকুল ইসলাম কর্তৃক ৫৭(২) ধারার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর, করতে হবে। সে সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক হামলার উস্কানিদাতা, মদদদাতা কথিত সাংবাদিক ফিরোজ মান্না এবং নপংশুক ছাত্রলীগ নামধারী নেতা সেটেলার খোর্শেদ তাসকিনকে গ্রেফতার করতে হবে।

নিধারঞ্জন কোচ লিখেছেন, সময়ের অন্যতম প্রতিবাদী লেখক Imtiaz Mahmood এর বিরুদ্ধে আনিত ৫৭ ধারা প্রত্যাহার করা হোক। ৫৭ ধারা বিলুপ্ত না হলে ভিন্নমতে সহনশীলতার শিক্ষা আদৌ হবে না।

সুমন কর্মকার শাওন লিখেছেন, এ ধারা কেমন ধারা,বাক স্বাধীনতা বন্ধ করা। ৫৭ ধারায় Imtiaz Mahmood এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

অঞ্জন রয় লিখেছেন, এবারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী Imtiaz Mahmood এর বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা হলো। এতো অল্প সময়ে বাংলাদেশে আর কোন আইনের এতো বেশি অপপ্রয়োগের ঘটনা আমার জানা নেই- চিন্তার স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের সংবিধানিক অধিকার- ৭৫ ধারা সেই অধিকারকেও চ্যালেন্জ করছে। ক্রমাগত এই আইনের অপব্যাবহার দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে- ৫৭ ধারা বাতিল চাই।

বাংলাদেশে ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাস লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নেতিবাচক শিরোনামের বিপরীতে যার সুন্দর-সজীব-তথ্যনির্ভর-বিশ্লেষণধর্মী লেখনশৈলী প্রতিরোধের সাহস যোগায়, প্রেরণা সঞ্চার করে তার নাম ইমতিয়াজ মাহমুদ Imtiaz Mahmood ।সকল প্রকার সংকীর্ণতার উর্ধেধ খুব কম মানুষই লিখতে পারে।বিশেষ করে আদিবাসীদের চলমান সংকটে তার লেখনি চোখে পড়ার মতো। শুধু কি ভার্চুয়াল জগতেই সক্রিয়?পেশায় আইনজীবী হলেও,জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিবাদেই ইমতিয়াজ ভাইকে সামনের সারিতেই দেখা যায়। ৫৭ ধারায় তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি যে হয়রানিমুলক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করে হররানির খড়গ বাকস্বাধীনতা পরিপন্থী ৫৭ ধারা বাতিল কর।

দেবজনি জনি লিখেছেন, বর্তমান সময়ের নির্মম সত্য তুলে ধরার কারনেই Imtiaz Mahmood ভাইয়ের বিরুদ্বে ৫৭ ধারার নোংরামি। পাহাড়ের বিষফোড়া সেটলার ইস্যুতে সত্য বলার কারনেই এই নোংরামি। সত্য উন্মোচিত হবেই। প্রয়োজনে ৫৭ ধারাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই সত্যের মুখোমুখি হব।

দেওয়ান মাবুদ আহমেদ লিখেছেন, নিপীড়নের সুযোগ আছে এমন সব আইন বাতিল হোক। Imtiaz Mahmood ভাই পাশে আছি।

Back to top button