অস্তিত্বরক্ষার ৭ দফা দাবি পূরণে ঐক্য পরিষদের সমাবেশ ও মিছিল
ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের ৭ দফা অনতিবিলম্বে পূরণ ও চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে ২০ মে শুক্রবার ঢাকাসহ সারাদেশে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামও এই আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে।
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে প্রতীকী প্রতিবাদের অংশ হিসেবে স্বদেশে সংখ্যালঘু হিসেবে জন্ম নেয়ার অপরাধে কান ধরে তিনবার উঠবস করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়।
সমাবেশে সংখ্যালঘু ও আদিবাসী নেতৃবৃন্দ ৭ দফাকে তাদের অস্তিত্বের সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষে ‘প্রাণের দাবি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ইতোমধ্যে জাতীয় সংলাপে এর যৌক্তিকতা এ দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ মেনে নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরনের লক্ষে এ দাবি পূরণে সরকার অনতিবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মীয় বৈষম্যবিরোধী মানবাধিকারের আন্দোলন চলবে।
চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ বলেন, এতে সারা দেশে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মাঝে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরী হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আস্থাহীনতায় ভুগছে। জাতীয় ঐক্য,শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে তারা এর চির অবসানের দাবি জানান।
সমাবেশে যুক্ত নির্বাচনের ভিত্তিতে সংসদে সংখ্যালঘু-আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্যে ৬০ টি আসন সংরক্ষণ, জীবন-জীবিকার সর্বক্ষেত্রে ন্যায্য হিস্যা প্রদান, সাংবিধানিক বৈষম্য বিলোপকরণ, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি সম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানার বহন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতিমন্ডলীর সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রানা দাশগুপ্ত, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সদস্য চৈতালী ত্রিপুরা, কাজল দেবনাথ, জয়ন্ত সেন দীপু, মনীন্দ্র কুমার নাথ, জয়ন্ত কুমার দেব, নির্মল রোজারিও, এ্যাডভোকেট তাপস পাল, নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, এ্যাডভোকেট দিপংকর ঘোষ, রূপচাঁদ বিশ্বাস প্রমুখ।