জাতীয়

অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ হবে জমির দামের তিন গুণ

জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দামের দেড় গুণ থেকে বাড়িয়ে তিন গুণ করতে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব সংসদে উঠেছে।
সোমবার এলক্ষ্যে ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল বিল-২০১৭’ সংসদে উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ।

বিলটি পরীক্ষা করে দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

১৯৮২ সালের ‘অ্যাকিউজিশন অ্যান্ড রিকিউজিশন অফ ইমমুভেবল প্রোপার্টি অর্ডিন্যান্স’ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি সংসদে আনা হয়েছে।

সামরিক শাসনের সময় জারি করা ওই অধ‌্যাদেশ উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাংলা করে নতুন করে এই আইন করা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, “সরকারি প্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণ করলে বাজার দরের উপর অতিরিক্ত ২০০ ভাগ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করলে বাজার দরের উপর অতিরিক্ত ৩০০ ভাগ দাম দিতে হবে।”

বিলে বলা হয়েছে, ধর্মীয় উপাসনালয়, কবরস্থান, শ্মশানের জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। তবে জনপ্রয়োজনে বা জনস্বার্থে একান্ত অপরিহার্য হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত ব্যক্তি বা সংস্থার অর্থে স্থানান্তর ও পুনর্নির্মাণ সাপেক্ষে কেবল ওই ধরনের সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা যাবে।

বিদ্যমান আইনে অতিরিক্ত জেলা বা দায়রা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আরবিট্রেটর নিয়োগ দেওয়া হত। প্রস্তাবিত আইনে যুগ্ম-জেলা জজ বা সাব-জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তবে আপিলে থাকবেন জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তা।

বিলে বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় ১২ মাসের জমি কেনাবেচার দলিলের গড় বিবেচনায় নিয়ে জমির দাম নির্ধারণ করা হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে ভূমিমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান অধ্যাদেশে অধিগ্রহণ পদ্ধতি সময়োপযোগী না হওয়ায় এবং অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের যুক্তিসংগত পরিমাণে ক্ষতিপূরণের বিধান না থাকায় ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন-২০১৭’ সময়োপযোগী বিধিবিধান ও ক্ষতিপূরণের পরিমান বৃদ্ধি অন্তর্ভূক্ত করে আইন প্রণয়ন আবশ্যক।”

Back to top button