জাতীয়

এ বছর অপরাজিতা সম্মাননা পাচ্ছেন দুই আদিবাসী নারী সহ ৮ নারী

আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): নিজ কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ‘এমজিআই-বাঘ বাংলা অপরাজিতা সম্মাননা ২০২২’ পেয়েছেন দুই আদিবাসী নারী কনকচাঁপা চাকমা ও মিলন চিসিম। কনকচাঁপা চাকমা শিল্প-সংস্কৃতিতে অবদান রাখায় এবং মিলন চিসিম তৃণমূলের আলোকিত নারী হিসেবে এ পুরস্কার পাচ্ছেন।

এবারের ‘এমজিআই-বাঘ বাংলা অপরাজিতা সম্মাননা ২০২২’ পাচ্ছেন ৮ সফল নারী। গত শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের সুরমা হলে এক সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।

মনোনীত অন্য ৬ নারী হলেন হলেন- মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা রোকেয়া কবীর, ভাষা-সাহিত্যে নাসরীন জাহান,উদ্যোক্তা নারী হিসেবে রুবানা হক, বিনোদনে অপি করিম, তথ্য প্রযুক্তিতে ডা. তানজিবা রহমান ও খেলাধুলায় সালমা খাতুন। সম্মাননা হিসেবে তারা প্রত্যেকে একটি ক্রেষ্ট ও ৫০ হাজার টাকার চেক পাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্য কবি আলফ্রেড খোকন, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসের নূর এবং বাঘ বাংলা এন্টারটেইনমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাকিল ইবনে সুলতান।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আগামী ১ মার্চ হোটেল সোনারগাঁওয়ের নির্বাচিতদের সম্মাননা জানানো হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং নারী ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি। সেদিন রাত ৯ টায় অনুষ্ঠানটি এনটিভিতে সম্প্রচারিত হবে।

গত বছরের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়বারের মতো মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং বাঘবাংলা এন্টারটেইনমেন্ট যৌথভাবে এই আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। এই সম্মাননার মূল প্রতিপাদ্য হলো- ‘নারীর আপন দ্যুতিতে ছাড়িয়ে যাওয়ার গল্প।’

পুরস্কার প্রদানের জন্য গঠিত জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের পক্ষে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও জুরি বোর্ডের সদস্য মুস্তাফিজ শফি।

সংবাদ সম্মেলনে মুস্তাফিজ শফি বলেন, ‘আজ থেকে ২০০ বছর আগে নারীরা এতোটা এগিয়ে ছিল না। তারপরও তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অসামান্য অবদান ছিল। এছাড়া এদেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামেও ছিল তাদের ভূমিকা। তৎকালীন বিভিন্ন বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণে নারীরা এগিয়ে এসেছেন। সেটি এখনও চলমান। এসময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের নারীদের সাফল্যের গল্প তুলে ধরার আহ্বান জানান।’

Back to top button