হাত বাঁধা অবস্থায় আদিবাসী নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার একটি ধানখেত থেকে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় এক আদিবাসী নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ২৩ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়নামোড় এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আদিবাসী নারীর নাম বৃষনি পাহান (৫৫)। তিনি উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেনুপুর গ্রামের মুড়াপাড়ার মৃত সাধন পাহানের মেয়ে ও পেশায় একজন কৃষিশ্রমিক ছিলেন। আনুমানিক ২৫ বছর আগে তার স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর তিনি বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
নিহতের স্বজনদের ভাষ্যমতে, গত ২২ তারিখ (শুক্রবার) সকালে পাশের গ্রাম দামারপাড়ায় এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজে গিয়েছিলেন বৃষনি। ওই দিন আর বাড়িতে ফেরেননি। পরিবারের লোকজন গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে ২৩ নভেম্বর সকালে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কাটলা এলাকার একটি ধানখেতে বৃষনির মরদেহ উদ্ধারের খবর পান তাঁরা। তাঁর সঙ্গে কারও কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না বলে দাবি স্বজনদের।
খবর পেয়ে ২৩ তারিখ সকাল ১০টার দিকে সেখানে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মঞ্জরুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হকসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যেরা।
বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মঞ্জরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে মৃতের পরনের একটি ছেঁড়া পেডিকোট ও রক্তাক্ত দাঁত উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৃষনি পাহানকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।