মতামত ও বিশ্লেষণ

টাঙ্গাইল বনবিভাগ কী চায়? পাভেল পার্থ

নিদারুণ করোনাকালে মধুপুর শালবন আবারো শিরোনাম হলো। হতেই পারে। কিন্তু করোনাকালে মধুপুর কী শিরোনাম হতে পারতো? বিশেষ করে করোনাযাপনের দীর্ঘ ছয় মাসের পর? যখন দেশ দুনিয়া দেখল প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি প্রবল ভালোবাসা আর দরদ ছাড়া এই দুনিয়ায় বাঁচার আর কোনো পথ নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতি ইি মাটি ও জলাভূমি সুরক্ষার আহবান জানালেন। পরিবেশ-বন ও জলবায়ু মন্ত্রী ঘোষণা দিলেন ‘সব সংকটের সমাধান আছে প্রকৃতির মাঝে’। প্রতিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় আদিবাসী ও গ্রামীণ সমাজের অবদান প্রচার করলো জাতিসংঘ। বিদ্যায়তন থেকে নাগরিক সমাজ সকলেই নিম্নবর্গের প্রতিবেশ-দরদের প্রতি সংহতি জানালেন নানাভাবে। কিন্তু টাঙ্গাইল বনবিভাগ করোনাকালের এই বিশ্ব পরিবেশবার্তাকে কোনো পাত্তাই দিল না। রাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রসংঘ সকলের করোনাকালীন প্রকৃতি-বার্তাকে অস্বীকার করলো। আবারো মধুপুরে এক মান্দি পরিবারের কলাবাগান বিনাশ করে মধুপুরকে এই করোনাকালে ‘অস্থিতিশীল’ করে তোলার পরিস্থিতি তৈরি করলো। এক সপ্তাহ পার হয়নি, ৮ সেপ্টেম্বর ‘বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্র’র দক্ষিণএশিয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন হলো বাংলাদেশে। যেখানে জনঅভিযোজন চর্চাগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বপরিসরে মাথা তুলে দাঁড়াবার একটা জায়গা তৈরি করলো। টাঙ্গাইল বনবিভাগ স্থানীয় পর্যায়ের অভিযোজনচর্চাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ‘অবৈধ বনভূমি উদ্ধারের নামে’ সেখানে পুঁতে দিল আগ্রাসি একাশিয়া গাছের চারা। রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের প্রাণ-প্রতিবেশ সুরক্ষার উদ্যোগ নিয়ে নানা তর্ক আছে মানছি, কিন্তু বাসন্তী রেমার কলাবাগান কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিশ্চিতভাবে রাষ্ট্র নেয়নি। এমনকি ‘পরিবেশ-বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ও’ এমন নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত কী করোনাকালে নিতে পারে? এটি একেবারেই টাঙ্গাইল বনবিভাগের স্থানীয় বন কার্যালয়ের। আর এমনসব নিষ্ঠুর ও হঠকারী সিদ্ধান্ত আজকের নয়। বারবার এমন নির্দয় বাহাদুরি করেছে টাঙ্গাইল বনবিভাগ। বারবার রাষ্ট্র ও কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে। স্থানীয়ভাবে আদিবাসী-বাঙালি দ্বন্ব-সংঘাত উসকে দিয়েছে। মিথ্যা বনমামলা থেকে শুরু করে খুনখারাবি, ভূমিউদ্ধারের নামে উচ্ছেদ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট কোনোকিছুই বাদ রাখেনি। টাঙ্গাইল বনবিভাগের এমনসব অপরিনামদর্শী আচরণ স্থানীয় মান্দি ও কোচ জনগণের মনে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জমা হয়েছে হয়েছে এক রুদ্ধ অভিমান। রাষ্ট্রই সহায়, রাষ্ট্রকেই এই বৈরিতা চুরমার করতে সোচ্চার হতে হবে। টাঙ্গাইল বনবিভাগের যাবতীয় কর্তৃত্ব, বাহাদুরি আর অন্যায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। মধুপুর শালবন দেশের এক বৈশিষ্ট্যময় বাস্তুসংস্থান। উদ্ভিদ-প্রাণি-অণুজীববৈচিত্র্যের সাথে মান্দি ও কোচ জনগোষ্ঠীও এই বাস্তুসংস্থানের অংশ। ২০০০ সন থেকে নানাভাবে টাঙ্গাইল বনবিভাগকে এই ছোট একটা অরণ্য-দর্শন বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছি। গবেষণা, লেখালেখি, আলোচনা, বইপুস্তক, নথি-প্রমাণসমেত। কিন্তু বনবিভাগ নির্বিকার। থামেনি রক্তপাত, কমেনি বাহাদুরি। এমনকি এই নিদারুণ করোনাকালেও।

৫০০ শবরী কলাগাছের নিথর শরীর
১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টার দিকে পেগামারি গ্রামের বাসন্তী রেমা ও গেটিস যেত্রা পরিবারের ৫০ শতক জমির পাঁচ শতাধিক শবরী কলা গাছ কেটে ফেলে বনবিভাগ। টাঙ্গাইল বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক জামাল হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে ‘বনভূমি’ রক্ষার নামে এই বিনাশ চলে। কলাবাগান কেটে বনবিভাগের লোকজন সেখানে আগ্রাসি একাশিয়া চারা লাগাতে চেয়েছিল। জানা যায় এই জমির পাশে বনবিভাগের ২০০৭-২০০৮ সনের আগর চাষ প্রকল্প ছিল। আগর চাষ ব্যর্থ হয়, এখন বনবিভাগ কাজুবাদাম বাগান করতে যাচ্ছে। এভাবে আর কত? প্রাকৃতিক শালবন উপড়ে একবার রাবার বাগান, একবার একাশিয়া, একবার দেয়াল তুলে ইকোপার্ককান্ড, একবার বিস্ময়কর দরপত্র, একবার কলাবাগান, একবার আগর, একবার কাজুবাদাম।

মধুপুর শালবনের জনইতিহাস
২০০২ সনে মধুপুর শালবনে জনইতিহাসের এক করুণ বয়ান খুঁজে পাই। জানতে পারি মান্দি, কোচ, হাজংয়েরাই ছিলেন এই অঞ্চলের আদিবাসিন্দা। মান্দি ভূবিদ্যা অনুযায়ী দুনিয়া তিনভাগ। ‘হারঙ্গা’, ‘হাফাল’ আর ‘হাবিমা’। মধুপুর হলো হাবিমা মানে ‘মাতৃগর্ভভূমি’। এখানকার শালবনের মান্দি নাম ‘বলশালব্রিং’। এখানে বাইদ ও চালা জমি আছে। চালা জমিনেই শালজংগল আর এখানেই মান্দিরা করতেন ‘হাবাহুয়া (জুমআবাদ)’। মাতৃসূত্রীয় মান্দি জাতির ভূমিব্যবস্থাপনারীতি অনুযায়ী জমির উত্তরাধিকার হতো নকনাপ্রথার মাধ্যমে, এছাড়া ছিল মাহারিভিত্তিক (বংশগোত্র) সামাজিক ‘আখিং জমি’। টাঙ্গাইলের পন্নী ও পরবর্তীতে নাটোরের মহারাজাদের জমিদারি শাসন ভূমিতে মান্দিদের প্রথাগত অধিকার অস্বীকার করে। খাজনার মাধ্যমে সামাজিক ভূমিতে তারপরও জুমআবাদ করতেন মান্দিরা। জমিদারি শাসন বিলুপ্ত হলে ‘পূর্ব পাকিস্থান প্রাইভেট ফরেস্ট অ্যাক্ট’ এবং ‘বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ত¡ আইনের’ মাধ্যমে ১৯৫০ সনে মধুপুর শালবনের সমগ্র ভূমির মালিকানা স্বত্ব নেয় রাষ্ট্র। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান ও মোনায়েম খানের আমলে মান্দিদের উচ্ছেদের জন্য ‘জাতীয় উদ্যান (!)’ নাম দিয়ে ২০,৮২৭.৩৭ একর শালবনে তারের বেড়া দেয়া হয়। ১৯৭৭-৭৮ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য বনবিভাগ দখলকৃত ‘সংরক্ষিত বন এলাকায়’ করা হয় বম্বিং রেঞ্জ। ১৯৮৪ সালে বনবিভাগ ‘ফরেস্ট গেজেট-নোটিফিকেশন’ এর মাধ্যমে একটি দাপুটে-উচ্ছেদ নোটিশ পাঠায় মান্দিদের। ১৯৮৯-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণের টাকায় টিএনডিপি’র সাড়ে সাতহাজার একর উডলট ও এগ্রোফরেষ্ট্রি বাগান করার ফলে অনেক মান্দিরা আপন জায়গা জমিন হারায়। ২০০০ সালে বনবিভাগ মধুপুরের ৩ হাজার একর ‘কোর এরিয়াতে’ ৬১ হাজার রানিং ফুট দেয়াল তুলে ইকোপার্ক নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নেয়। ২০০৩ থেকে প্রশ্নহীনভাবে এই কাজ শুরু হয়। প্রাণ-প্রকৃতি ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় ইকোপার্কবিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ি। এতো প্রাচীন একটি বন, কিন্তু বনবিভাগের এখানকার প্রাণবৈচিত্র্য ও প্রতিবেশভিত্তিক কোনো নথি তখন ছিল না। ২০০৪ সনে প্রকাশিত হয় ‘মধুপুরের প্রাণবৈচিত্র্য’। বইটির কপি নানাসময়ে রসুলপুর ও দোখোলা বনবিভাগের অফিসেও দিয়েছি। জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ বইটি গ্রামে গ্রামে সরবরাহ করেন। দানা বাঁধে ইকোপার্কবিরোধী আন্দোলন। ২০০৪ সনের ৩ জানুয়ারি ইকোপার্কবিরোধী আন্দোলনের এক মিছিলে বনবিভাগ ও পুলিশের গুলিতে শহীদ হন পীরেন স্নাল। মারাত্মক জখম হয় উৎপল নকরেকের। ২০০৬ সনের ২১ আগস্ট ঝরা শালপাতা কুড়ানোর দায়ে বনবিভাগ গুলি করে গরিব নারী শিশিলিয়া স্নালকে। মাগন্তিনগর-বেরীবাইদ গ্রামের আদিবাসী নেতা ট্রাক চালক ইউনিয়ন টেলকী শাখার সভাপতি চলেশ রিছিলকে ১৮ মার্চ ২০০৭ তারিখে যৌথবাহিনী গ্রেফতার করে এবং যৌথ বাহিনীর হেফাজতে বিচারবর্হিভূত অবস্থায় তার প্রশ্নহীন করুণ মৃত্যু হয়। পাশাপাশি নানাসময়ে মধুপুরে নিহত হন গীদিতা রেমা, বিহেন নকরেক, সেন্টু নকরেক, নিন্তনাথ হাদিমা, অধীর দফো। শুরু হয় ইউএসএইডের নানা প্রকল্পভিত্তিক কর্মসূচি। ২০১৬ সনের ১৫ ফেব্রুয়ারি মধুপুর বনের অরণখোলা মৌজার ৯,১৪৫.৭ একর ভূমিকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। মধুপুর এভাবেই ক্ষমতা ও অধিপতি ব্যবস্থার নানা কর্তৃত্ব ও বাহাদুরিতে ঐতিহাসিকভাবে এক প্রশ্নহীন বিচারহীনতার ময়দান হয়ে ওঠে।

কলাচাষ পরিবেশ ধ্বংস করে!
জাতিসংঘ কলাচাষের জন্য ২০১৪ সনে এক সতর্কবার্তা দিয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোকে। পানামা নামক এক ছত্রাকজনিত রোগের কারণে ধ্বংস হতে পারে সেখানকার কলাচাষ এবং বাড়তে পারে দারিদ্র্য। কিন্তু মধুপুর কলাবাগান আমদানি এবং ধ্বংস উভয়ই হয়েছে বনবিভাগের মাধ্যমে। নানাসময়ে। ২০০৭ সনে অবৈধ বনভূমি উদ্ধারের নামে একের পর এক কলাবাগান কেটে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়। বনবিভাগ মোড়ে মোড়ে সাইনবোর্ড টানায় ‘কলাচাষ পরিবেশ ধ্বংস করে’। যদিও এর কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক নথিপ্রমাণ বনবিভাগের কাছে আছে কীনা কে জানে? কিন্তু এই কলাআবাদ তো আর এমনি এমনি মধুপুরে শুরু হয়নি। ১৯৫০ এর পর একেবারে জোর করে ১৯৫৬ সনে পুরোপুরি জুমআবাদ নিষিদ্ধ হয় মধুপুরে। তারপর মান্দিরা জীবন বাঁচাতে খুঁজতে থাকেন টিকে থাকার সূত্র। টেলকীর মিজি মৃ শুরু করেন মিশ্র ফসলের সাথে আনারসের আবাদ। মধুপুর হয়ে যায় আনারসের এক বৃহৎ উৎপাদনস্থল। ১৯৫০ এর পর থেকে মধুপুরে নানা জায়গা থেকে উচ্ছেদ হয়ে আসে অভাবী বাঙালিরা। পাল্টে যায় জনমিতির চিত্র। চালা জমি নয়, নিচু বাইদ জমিনে শুরু হয় ধানের আবাদ। ভূমি নিয়ে শুরু হয় আরেক দরবার। পরবর্তীতে ‘সামাজিক বনায়নে’ কিছু জমি বরাদ্দ পাওয়ার পর মান্দিরা পেঁপে, কচু, আনারস, আদা, হলুদ, শিমূল আলুসহ শুরু করেন মিশ্রফসলের চাষ। তারপর আসে কলা। কলা টেনে আনে বহুজাতিক হরমোন ও বিষের বাণিজ্য। মধুপুরের মান্দিদের অনেকেই বারবার এই মাটির পবিত্রসত্তা সুরক্ষায় জানপ্রাণ দিয়ে নানা অভিযোজন কারিগরি খুঁজেছেন, সফল হয়েছেন। কিন্তু বাজার ও ক্ষমতা তা রাখতে চায়নি। একেকবার একেক ফসল চাপিয়ে দিয়েছে। এর ভেতর মধুপুরের মান্দি মেয়েদের এক বড় অংশের অভিবাসন ঘটে শহরের পার্লার ও গার্মেন্টসে। আমূল পাল্টে যেতে থাকে মান্দি ভূমির প্রথাগত ব্যবস্থাপনার ধরণ।

জানতে হবে, মানতে হবে
আমাদের কি মনে আছে বাংলাদেশের সংবিধান কোথায় রচিত হয়েছিল? স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান রচিত হয়েছিল মান্দি, কোচ, বর্মণ আদিবাসী এলাকায়। মধুপুর শালবনের দোখলাতে। আর এখানেই আজ দেশের একজন নাগরিক নিজের কলাবাগানের সুরক্ষা দিতে পারছেন না। রবিনস বার্লিং মান্দিদের অভিবাসন তর্ক নিয়ে ১৯৮৬ সনে প্রকাশিত একটি লেখায় জানান, ‘মান্দিদের উৎপত্তির উৎস সমূহ কি কি?’ আমি বিশ্বাস করি যে মান্দিরা বর্তমানে যেখানে বসবাস করছে সেটাই তাদের আদি আবাসস্থল, সেখানেই বিকশিত হয়েছে মান্দিদের সভ্যতা। রবিনস বার্লিং মধুপুর নিয়ে লিখেছেন ‘স্ট্রং উইম্যান অব মধুপুর’। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেড ২০১৭ থেকে ২০১৮ মধুপুরের ৪৪টি গ্রামের ১১ হাজার ৪৮ পরিবারের ওপর একটি জরিপ করে। দেখা যায়, ৪৪টি গ্রামে মান্দি ও বাঙালি মিলিয়ে জনসংখ্যা ৪৭ হাজার ৭২৬। এর ভেতর ৬৪.৬১ শতাংশ বাঙালি এবং মান্দি ৩৫.৩৯ শতাংশ। ১৯৫১ সনের জনশুমারী অনুযায়ী মধুপুরের অরণখোলা ইউনিয়নের জনসংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৮০০ জন এবং এদের প্রায় সকলেই ছিলেন মান্দি ও কিছু কোচ জনগোষ্ঠী। মধুপুরে নিদারুণভাবে জনমিতির বদল ঘটে চলেছে। যেমন বদলে যাচ্ছে মধুপুর শালবনের বাস্তুতন্ত্র। চিন্তা করা যায় এই বনে একসময় ময়ূর, হাতি, বাঘ, চিতা, কাঠময়ুর, গিলা, কুচ, হস্তীকর্ণপলাশ ছিল! মধুপুর নিয়ে অনেক গবেষণা, পুস্তক, প্রামাণ্যচিত্র, লেখালেখি, নাটক, গান আছে। এগুলো সবই পাবলিক প্রকাশনা। টাঙ্গাইল বনবিভাগকে এসব কাজ দেখতে হবে, জনভাষ্য বুঝতে ও জানতে হবে। রাষ্ট্র ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন’, ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন’, ‘জীববৈচিত্র্য আইনের’ মাধ্যমে অরণ্যভূমি এবং বননির্ভর জনগণের অধিকার সুরক্ষায় অঙ্গীকার করেছে। গায়ের জোরে টাঙ্গাইল বনবিভাগ এমন কিছু করতে পারেনা যাতে রাষ্ট্র এবং জনগণের ভেতর বারবার বৈরি সম্পর্ক তৈরি হয়। সরকারের স্বপ্নআকাংখা চুরমার হয়ে যায়। বাসন্তী রেমা পরিবারের কলাবাগান ধ্বংসের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হোক। নিশ্চিত হোক মধুপুর হাবিমার সর্বপ্রাণবাদী অধিকার।
……………………………………………
পাভেল পার্থ, প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য বিষয়ক গবেষক। [email protected]

Back to top button