খাগড়াছড়িতে ৪৬টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ ও তৃতীয় ধাপে অন্তর্ভুক্তির দাবি
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় এসএমসি পরিচালিত জাতীয়করণ থেকে বাদপড়া ৪৬টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ ও তৃতীয় ধাপে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারী রোববার খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, তিন পার্বত্য জেলায় ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ পরিচালিত ২১০টি স্কুল সাম্প্রতিক সময়ে সরকারী করা হলেও খাগড়াছড়ি জেলার ৪৬টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বাদ পড়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো দাবি করা হয়, ২০১৩সালে যাচাই-বাছাই কমিটি স্কুলগুলোকে জাতীয়করণে সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়ন না করায় বেতন-ভাতাসহ সরকারী সুযোগ সুবিধা না পেয়ে স্কুলগুলোর ১৮৪জন শিক্ষক-শিক্ষিকা পরিবার পরিজন নিয়ে অমানবিকভাবে জীবন যাপন করছে। ফলে ৭ উপজেলার ১৫০টি জনবহুল গ্রামের প্রায় ৫হাজার ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হিল পাওয়ার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আলা উদ্দিন। অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ভুয়াছড়ি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নুরুন্নবী, উত্তর গঞ্জপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম, মানিকছড়ির তবলাপাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আথোয়াই মগ, দীঘিনালা মনতলা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অনন্ত চাকমাসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,সহকারী শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।