খাগড়াছড়িতে মানসিক প্রতিবন্ধী জুম্ম নারীকে গণধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় ৭ জন গ্রেফতার

খাগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার ১নং গোলাবাড়ি ইউনিয়ন সংলগ্ন বলপিয়ে আদাম নামক গ্রামে নিজ বাড়িতে ৯ জন সেটেলার বাঙালী কর্তৃক মানসিক প্রতিবন্ধী এক জুম্ম নারীকে গণধর্ষণ এবং বাড়ীর মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাটের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চট্রগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ১. মো: আব্দুর রশিন (৩৭), পিতা: শামসুল হক, সাং- মুসলিম পাড়া, মাটিরাঙ্গা।
২. মো: আমিন (৪০), পিতা: মৃত আবুল কাশেম, সাং- তৈচালা পাড়া, রামগড়;
৩. মো: বেলাল হোসেন (২৩), পিতা: মৃত আকবর আলী, সাং- কুমিলা টিলা, খাগড়াছড়ি সদর;
৪. মো: আব্দুল হালিম (২৮), পিতা: হাবিল মিঞা, সাং- আমতলী, মাটিরাঙ্গা;
৫. মো: ইকবাল হোসেন (২১), পিতা: ইমরান হোসেন, সাং-হাফছড়ি, গুইমারা;
৬. মো: শাহিন মিঞা (১৯), পিতা: আব্দুল কাদের, সাং- বড়পিলাক, গুইমারা;
৭. মো: অন্তর (২০), পিতা: আহমদ উল্লাহ, সাং-দারোগাপাড়া, রামগড়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে জেলা সদরের গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সন্নিকটস্থ বলপাইয়্যে আদাম গ্রামের বিন্দু লাল চাকমার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এসময় প্রায় সমবয়সী ডাকাত দলের সদস্যরা একটি কক্ষে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে হাত, পা ও মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে রেখে গণধর্ষণ করেছে। এসময় তারা কানের দুল, আংটিসহ অন্তত ৩ ভরি স্বর্নালঙ্কার, মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছন বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার পূর্ণ জীবন চাকমা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুর রশিদ জানান, আমরা চট্রগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। চট্রগ্রামে এখনো আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।