আদিবাসী কোটা পুনর্বহালের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ
সকল ধরনের চাকরিতে ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ।
গতকাল শনিবার (২ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে মিছিল বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ঘুরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে ১,৯৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু এ ফলাফলে আমরা হতাশ ও অসন্তুষ্ট। কারণ এ নিয়োগে কোনও ক্যাডারে আদিবাসী কোনও প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি। তাদের কাউকে এখানে বিবেচনায় আনা হয়নি।
আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক অনন্ত ধামাই বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন—আদিবাসী প্রার্থী থাকলে তাদের সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন হয়নি। বিষয়টি আমাদের অত্যন্ত হতাশ ও অবাক করেছে। আমরা আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে আদিবাসীদের জন্য ৫% কোটা পুনর্বহালের জানাচ্ছি।’
সংগঠনের সাধারণ সদস্য সচিব অলিক মৃ’র সঞ্চালনায় অনন্ত ধামাই আরও বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলেও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে নতুন নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। আমরা সে নীতিমালার মুখ আজও দেখিনি। এভাবে চলতে থাকলে পরের বিসিএস ও সরকারি অন্যান্য পরীক্ষাতেও আদিবাসীদের সুপারিশ না পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই শুধু প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক আশ্বাসে আমরা সন্তুষ্ট নই।
বিক্ষোভ সমাবেশে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন আদিবাসী ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করেন।
১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা নিশ্চিত করে অবিলম্বে একটি নীতিমালা প্রণয়নের দাবি করেন তারা।